অনেক মামলাতেই ‘ওয়ান্টেড’, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শার্প শ্যুটার নবীন নিহত, UP এসটিএফ এবং দিল্লি পুলিশের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Hapur Encounter: অপরাধ সমাজে যেমন থাকে, তেমনই তা দমনের জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করে চলে প্রশাসন। তারই প্রমাণ নতুন করে পাওয়া গেল দেশের অন্যতম কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের এক শার্প শ্যুটারের মৃত্যুতে। এই এনকাউন্টার নিঃসন্দেহেই ইউপি এসটিএফ এবং দিল্লি পুলিশের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করল। জানা গিয়েছে যে এই এনকাউন্টার ঘটেছে মঙ্গলবারে।
অপরাধ সমাজে যেমন থাকে, তেমনই তা দমনের জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করে চলে প্রশাসন। তারই প্রমাণ নতুন করে পাওয়া গেল দেশের অন্যতম কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের এক শার্প শ্যুটারের মৃত্যুতে। এই এনকাউন্টার নিঃসন্দেহেই ইউপি এসটিএফ এবং দিল্লি পুলিশের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করল। জানা গিয়েছে যে এই এনকাউন্টার ঘটেছে মঙ্গলবারে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায় এক হাই-প্রোফাইল এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের এই কুখ্যাত শার্প শ্যুটার। যাঁরা খুব ভাল বন্দুক চালাতে পারেন, নিশানা যাঁদের অব্যর্থ, তাঁদের পোশাকি ভাষায় শার্প শ্যুটার বলা হয়ে থাকে। ইউপি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এসটিএফ-এর নয়ডা ইউনিট এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এই এনকাউন্টারকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
এক ঝলকে প্রোফাইল: নিহত অপরাধীর নাম নবীন কুমার, সে গাজিয়াবাদের লোনির বাসিন্দা সেবা রামের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নবীন কুমার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সক্রিয় সদস্য এবং একজন শার্প শ্যুটার ছিলেন। তিনি গ্যাংয়ের কুখ্যাত অপরাধী হাশিম বাবার সঙ্গে মিলে অনেক জঘন্য অপরাধ করেছিলেন। এক সময়ে দিল্লির ত্রাস ছিলেন এই হাশিম বাবা। বলা হয় যে এখনও জেলের ভিতর থেকে তিনি নানা অপরাধের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ফলে, খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, ডাকাতি এবং এমসিওসিএ-র (মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন) মতো গুরুতর অপরাধের জন্য দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে নবীনের বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দিল্লির আদালতও তাকে দুটি মামলায় শাস্তি দিয়েছে। যদিও নবীনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
advertisement
হাপুরে লুকিয়ে থাকার খবর মিলেছিল: ২০১৫ সালে, ইউপি এসটিএফ এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তথ্য পায় যে নবীন কুমার হাপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় লুকিয়ে আছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, যৌথ দল মঙ্গলবার রাতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশ নবীনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করলে, সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। পাল্টা জবাবে পুলিশও গুলি চালায়, ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নবীন গুরুতর আহত হয়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
advertisement
ডজন ডজন মামলায় ওয়ান্টেড তকমা ছিল: এসটিএফ প্রধান অমিতাভ যশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে নবীন কুমার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শ্যুটার দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। দিল্লির ফর্শ বাজার থানায় দায়ের করা খুন এবং এমসিওসিএ-র মতো গুরুতর মামলায় তাঁকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবীন হাশিম বাবার সঙ্গে মিলে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল অপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
advertisement
বিষ্ণোই গ্যাং কি এবার দুর্বল হয়ে পড়বে: লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিতে তাদের অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দল সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এই গ্যাংয়ের শ্যুটাররা সুপারস্টার সলমন খানকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে সিধু মুসেওয়ালা এবং করণী সেনার সভাপতি সুখদেব সিং গোগামেদীকে হত্যা করা পর্যন্ত নানা চাঞ্চল্যকর অপরাধ ঘটিয়েছে। এই এনকাউন্টারকে গ্যাংয়ের কার্যকলাপ দমনের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
advertisement
কিছুদিন আগে শার্প শ্যুটারদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল: দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং ইউপি এসটিএফের এই যৌথ অভিযান আদতে এক বিস্তৃত চলমান অভিযানের অংশ। সম্প্রতি, দিল্লি পুলিশ পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান থেকে এই গ্যাংয়ের আরও সাতজন শ্যুটারকে গ্রেফতার করেছে। এই শ্যুটাররা সুনীল পেহলওয়ানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল। পুলিশ তার এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক দুর্বল করার চেষ্টা করছে। একই সময়ে, আগ্রার সিয়া থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দুই দুষ্কৃতীর সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য এসএন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই অভিযুক্ত অপরাধী করণ এবং অতুল খুড়তুতো ভাই, তাঁরা দুজনেই সম্প্রতি সাইয়া এলাকায় ডাকাতি করেছিলেন। সংঘর্ষের পর, পুলিশ একটি পিস্তল, কার্তুজ, নগদ টাকা এবং লুট হওয়া বাইক উদ্ধার করেছে। বর্তমানে পুলিশ দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজে ব্যস্ত।