কোটি টাকা নগদ, সাড়ে তিন কোটির সোনা মধ্যপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে যা উদ্ধার হল! শুনলে মাথা ঘুরে যাবে আপনার

Last Updated:
এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! বৃহস্পতিবার সকালে ভোপালবাসীর ঘুম ভাঙল এই ক্রাইম থ্রিলারে। জানা গিয়েছে, পিডবলুডির মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার জিপি মেহরার কাছ থেকে উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, সাধারণ একটি তদন্ত করতে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির কথা সামনে আসে।
1/6
ইনকাম ট্যাক্স রেইড সব সময়েই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। তবে দেশে ঘটে যাওয়া এ হেন কুখ্যাত অভিযানগুলির মধ্যে একটি এতটাই বিশাল ছিল যে তা নিয়ে বলিউড একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করেছিল। রেইড ছবিটার কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। যদিও অনেকে জানেন না যে এই চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। বলা হয় যে আয়কর দফতরের এই অভিযানটি ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড। এর আগে, কোনও একক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান চালানো হয়নি।
এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! বৃহস্পতিবার সকালে ভোপালবাসীর ঘুম ভাঙল এই ক্রাইম থ্রিলারে।
advertisement
2/6
তৎকালীন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়িতে আয়কর অভিযান করা হয়। পরে জানা যায়, ধীরাজ সাহু সরকারকে ১৫০ কোটি টাকা আয়কর দেন। Representative Image
জানা গিয়েছে, পিডবলুডির মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার জিপি মেহরার কাছ থেকে উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ।সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, সাধারণ একটি তদন্ত করতে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির কথা সামনে আসে।
advertisement
3/6
কত টাকা উদ্ধার হয়?
জিপি মেহরার বাড়ি থেকে এত পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যে টাকা গোনার মেশিন আনতে হয়।একই সঙ্গে প্রায় কয়েক কেজি সোনা এবং রূপো যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ১৭ টন মধু!
advertisement
4/6
ভারতের বৃহত্তম আয়কর অভিযানের ভিতরের গল্পটা জানলে চোখ কপালে উঠবে !
বৃহস্পতিবারে ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্টের আধিকারিকরা ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন। শুধু ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি নয় গোটা ভোপাল এবং নর্মদাপুরমে তল্লাশি চালানো হয়।মেহরার মণিপুরম কলোনির বাড়ি থেকে মোট ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার, ৫০ লক্ষ টাকার অলঙ্কার এবং ৫৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও শহরের দানাপানি এলাকায় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ওই ইঞ্জিনিয়ারের নামে রয়েছে বলে জানান।
advertisement
5/6
অভিযানটি সম্পন্ন করতে দুই দিন, তিন রাত সময় লেগেছিল। উদ্ধার করা টাকা গুনতে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারী সহ ৪৫ জনের একটি দল টাকা গুনতে বসে গিয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই উত্তর প্রদেশের কানপুরের ব্যবসায়ী ইন্দর সিং-এর বাড়িতে দেশের সবচেয়ে বড় এই আয়কর অভিযান চালানো হয়। সর্দার ইন্দর সিং ছিলেন কানপুরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। ১৯২৮ সালে ইন্দর সিং কানপুরে সিং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠা করেন, যা ভারতের প্রথম ইস্পাত রি-রোলিং মিল ছিল। তিনি উত্তর ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে ওয়াগন কারখানাও (সিং ওয়াগন ফ্যাক্টরি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতীয় রেলওয়েতে টাই বারের বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে ওঠেন।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, তাঁর থেকে মোট ২৬ লক্ষ নগদ, ২.৬ কেজি সোনা যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এবং সাড়ে পাঁচ কেজি রূপো উদ্ধার হয়েছে।কিন্তু, ওই ইঞ্জিনিয়ারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। নর্মদাপুরমের সোহাগপুরের সাইনি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ১৭ টন মধু রয়েছে, ছ'টি ট্রাক্টর রাখা হয়েছে। এছাড়াও, ৩২টি কটেজ যা নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে। একইসঙ্গে পুকুর এবং মাছ চাষের ব্যবস্থাও রয়েছে।
advertisement
6/6
 গাড়ির ক্ষেত্রে, ফোর্ড এনডেভার, স্কোডা স্লাভিয়া, কিয়া সনেট এবং মারুতি কিয়াজ উদ্ধার হয়েছে।
গাড়ির ক্ষেত্রে, ফোর্ড এনডেভার, স্কোডা স্লাভিয়া, কিয়া সনেট এবং মারুতি কিয়াজ উদ্ধার হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement