নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে তুলেছিলেন ২২৪২ টাকা, ২৬ বছর বাদে চোকাতে হল ৫৫ লক্ষ টাকা!

‘লঘু পাপে গুরুদন্ড’ - এই প্রবাদ বহুল প্রচলিত৷ অনেকটাই এরকমই হল একটি মামলায়৷ ১৯৯৪ সালে একটি চেক ভুল করে ভাঙানো হয়েছিল৷ ২৬ বছর আগের সেই সময়ে সেই চেকের মূল্য ছিল ২২১২.৫ টাকা৷ এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই চেকের ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যক্তিকে দিতে হবে ৫৫ লক্ষ টাকা৷ যে ব্যক্তি এই কাজ করেছিলেন তাঁকে এই অপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দিয়েছে৷ জরিমানা বাবদ সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে ৫ লক্ষ টাকা৷ অন্যদিকে সেটেলমেন্টের জন্য দিতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা ৷ Photo -File

মহেন্দ্র কুমার শারদা ১৯৯২ সালের মে মাসে ওম মহেশ্বরীর ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন৷ মাহেশ্বরী সেই সময়েও স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ছিলেন৷ ১৯৯৭ সালে মাহেশ্বরী দিল্লির শারদার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন৷ মাহেশ্বরী জানিয়েছেন ওঁর ম্যানেজার শারদা অবৈধভাবে ওঁর নাম ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলেন৷ এরপর চেক দিয়ে কমিশন ও ব্রোকারেজ টাকা বার করে নেন৷ শারদা সেই সময় ২২১২.৫০ টাকা তুলেছিলেন৷Photo -File

শারদার ওপর প্রথমে ধোঁকা দেওয়া ও ফ্রডের অভিযোগ দেওয়া হয়৷ পরে অবশ্য সেই ব্যক্তি সেটেলমেন্টের জন্য তৈরি হয় ৷ যদিও এই বছর জুলাই মাসে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর ওপর থেকে অভিযোগ তুলতে নারাজ ছিল, তারা জানিয়ে দেয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ মারাত্মক ৷Photo -File

এরপর মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়৷ সেখানে অভিযুক্ত জানায় সে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি চায়৷ ন্যায়মূর্তি সঞ্জয় কে কউলের বেঞ্চ জানায় কেন শারদা দেশের আইন ব্যবস্থার দূর্মূল্য সময় এতদিন ধরে এভাবে নষ্ট করেছে, এর জন্য তাঁকে আলাদা করে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়৷ এবার এই মামলার পরের শুনানির তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর৷Photo -File