Dharmendra Passed Away: ‘ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নায় মাথা ঠুকেছিলাম,’...সহ্য হয়নি রাজনীতি, খোলাখুলি বলেছিলেন সব কথা

গোটা ৬টা দশক ধরে তিনিই রাজত্ব করেছেন হিন্দি সিনেমায়৷ সুদর্শন, সুঅভিনেতা, ভক্তদের ধ্যান জ্ঞান সবই তিনি৷ সেই ধর্মেন্দ্রই একসময় যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে৷ খুব ছোট হলেও খুবই উল্লেখযোগ্য ছিল সেই যাত্রাপথ৷

সোমবার, ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র৷ ২০০৮ সালে পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি৷

২০০৪ সালে বিজেপির ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ প্রচারে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন ধর্মেন্দ্র৷ তার আগে বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা এল কে আডবাণী এবং সতীর্থ শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি৷

২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রাজস্থানের বিকানের কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি৷ হন সাংসদ৷ কিন্তু, সে বছর অটরবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিপুল হার হয়৷

সে বছর ধর্মেন্দ্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের রামেশ্বর লাল দুদিকে ৬০ হাজার ভোটে পরাস্ত করেন৷ তবে রাজনীতি তাঁকে খুব বেশি টানেনি আর৷

২০০৯ সাল পর্যন্ত সাংসদ হিসাবে নিজের মেয়াদ পূর্ণ করেন ধর্মেন্দ্র৷ এই সময়কালে তাঁকে বিশেষ সংসদেও যেতে দেখা যায়নি৷ যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে৷

অভিনেতা সানি দেওল পরে জানান যে, তাঁর বাবা রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য অনুতপ্ত ছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতাকে তার জন্য আবেগগতভাবে ক্লান্তিকর এবং তাঁর মেজাজের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছিলেন।

ধর্মেন্দ্র লুধিয়ানার একটি জনসভায় বলেছিলেন, ‘‘রাজনীতিতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি আবেগের বশে মাঠে নেমেছিলাম... যেদিন আমি রাজি হয়েছিলাম, সেদিন আমি ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নায় মাথা ঠুকে আমার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেছিলাম। রাজনীতি এমন একটি জিনিস যা আমি কখনও করতে চাইনি৷’’