

লকডাউনের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কল-কারখানা বন্ধ। যানবাহন চলছিল না। প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানো হচ্ছিল না। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। যমুনায় ফিরে এসেছিল নীল জল। কিন্তু সে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না।


ফের দূষণে জেরবার দিল্লি। ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। বৃহস্পতিবার দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই লাগামছাড়া ছিল। এদিন দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৫২, যা বিপজ্জনক৷ দিল্লি-সহ গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, নয়ডা, বাঘপত, মুরতালে বাতাসের অবস্থা শোচনীয় ৷


এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ০ থেকে ৫০ হল সবচেয়ে ভালো৷ ৫১ থেকে ১০০ হল, সন্তোষজনক৷ ১০১ থেকে ১০০ মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ অতি খারাপ৷ ৪০০ থেকে ৫০০ হল বিপদজ্জনক৷


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ধূলিকণার স্বাভাবিক মাত্রা ৬০ পিএম। aqicn.org-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শহরের আবহাওয়াতে দূষণের মাত্রা এখন থাকছে মাঝারি থেকে খারাপ।


বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লি-এনসিআর-র বেশ কিছু যায়গার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল খারাপ থেকে মাঝারি। রোহিনী -২৫৭ , দ্বারকা - ৩৯৫, পুসা রোড - ২৪৯, মন্দির মার্গ- ২৫১, নয়েডা সেক্টর ৬২ - ২৮২, নয়েডা সেক্টর ১২৫ - ১৯৯, গাজিয়াবাদ - ২৩৯, আনন্দ বিহার -৩৭৯ এবং পাটপারগঞ্জ - ২২৫। রাজধানীর বায়ুদূষণের পিছনে নানা কারণের পাশাপাশি কাঠগড়ায় উঠেছে পড়শি রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাসও। তাতেই নাকি দূষণের ছবিটা আরও জটিল হচ্ছে।


প্রতি শীতে শুষ্ক আবহাওয়ায় ধূলা ও ধোঁয়া মিশে দিল্লির বাতাস মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়ে। সে সময় বাসিন্দাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও বেড়ে যায়। তবে সরকারি ডেটা অনুযায়ী, গত দুই বছরের তুলনায় এবছর অক্টোবর মাসে দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমান বেশি।