Delhi Blast Update: দেখতে নুনের মতো, কাজে ভয়ঙ্কর! ‘মাদার অফ সেটান’ TATP...দিল্লি বিস্ফোরণে মারাত্মক রাসায়নিকের ব্যবহার, প্রকাশ্যে তথ্য

নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে এবার সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ ২০০৫ সালে লন্ডনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, ২০১৫ সালে প্যারিস হামলা এবং ২০১৬ সালে ব্রাসেলসের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয়েছিল, সেই রাসায়নিক ব্যবহার হয়েছে দিল্লির বিস্ফোরণে৷

‘মাদার অফ সেটান’, অর্থাৎ, শয়তানের মা হিসাবে পরিচিত TATP-র হদিস মিলল দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িতে৷

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যে আই-২০ গাড়িতে করো বিস্ফোরক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিল উমর নবি৷ সেই গাড়িতেই মিলেছে TATP-র হদিস৷ এখন প্রশ্ন হল কী এই TATP?

TATP— অর্থাৎ, ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড। এই TATP একটি শক্তিশালী প্রাইমারি বিস্ফোরক, যা রাসায়নিকের সাথে মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়। TATP বা মাদার অফ সেটান-কে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে মিশিয়েই দিল্লি বিস্ফোরণের বিস্ফোরক তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা৷

এই TATP— সামান্য তাপের তারতম্যেই প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে এবং এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল—ঝাঁকুনি বা আঘাতের সাথেও প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এজেন্সিগুলির ধারণা, TATP থাকার কারণে i20 গাড়িটি অনিচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরিত হয়ে থাকতে পারে।

অন্যান্য, বাণিজ্যিক বিস্ফোরকের মধ্যে যেমন নাইট্রোজেন পাওয়ার যায়, এই ধরনের আইডি-তে তা থাকে না৷ ফলে ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে তল্লাশি চালালো এই বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়াও মুশকিল৷ এজেন্সির আশঙ্কা নওগামে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক সামগ্রির মধ‍্যে TATP মেশানো ছিল। আর সেই কারণেই নওগাম বিস্ফোরণ ঘটেছে।