উৎসব মাটি করতে ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়! কবে কোথায় তৈরি হতে চলেছে? বাংলায় প্রভাব পড়বে? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

Last Updated:
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, একটি নিম্নচাপ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ।
1/5
পুরুলিয়া: উৎসবের মরসুম কাটতে না কাটতে আবার বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরমে ভুগছে বঙ্গবাসী। সকাল থেকেই ঝলমল করে রোদ উঠতে দেখা যাচ্ছে। জেলা পুরুলিয়াতে সকাল থেকে গরমের দাপট থাকলেও রোদ পড়তেই রাতের দিকে হালকা ঠান্ডার আমেজ রয়েছে। এইদিন পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
আশঙ্কা সত্যি করে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ক্রমেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী ২৭ অক্টোবরের সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।
advertisement
2/5
মূলত নিম্নচাপের কারণেই ভ্যাপসা গরম ও জেলায়, জেলায় বৃষ্টি হতে চলেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে যে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়েছে তার অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর। আবার নতুন করে দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে তার অভিমুখও উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, একটি নিম্নচাপ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে । গত ছয় ঘণ্টায় এটি প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে এটি পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৫১০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, চেন্নাই থেকে ৮৯০ কিমি পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে এবং বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৯২০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
advertisement
3/5
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কিমি। ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধস নিয়ে আসে।  এর আগে টাইফুন ইয়াগি (২০২৪) এসেছিল এবারের Cyclone Kajiki সেটির মতোই শক্তিশালী বলে বিবেচিত, যা প্রায় ৩০০ জনকে হত্যা করেছিল এবং ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছিল। ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বিমানবন্দর বন্ধ, নৌকাগুলিকে উপকূলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ Photo Courtey- Facebook
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি আগামীকাল (২৬ অক্টোবর) গভীর নিম্নচাপে এবং ২৭ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৮ অক্টোবর সকাল নাগাদ এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে অনুমান।
advertisement
4/5
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হয়তো সরাসরিভাবে ভারতীয় উপকূলে হবে না, তবে ঝড়ের প্রভাব পড়বে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে। এই পরিস্থিতিতে, আইএমডি মুম্বই, ঠাণে, পালঘর, রায়গড়, রত্নাগিরি এবং সিন্দুদুর্গ জেলায় সতর্কতা জারি করেছে, যেখানে ৪ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝড়টি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে অন্ধ্র উপকূলের মাচিলিপত্নম ও কালিঙ্গপত্নমের মধ্যে, কাকিনাডা সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে।
advertisement
5/5
আমরা আজ কথা বলছি ১৮৬৪ সালের ৫ অক্টোবরের দুর্যোগ নিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি তখন আমদানি ও রপ্তানির এক অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। কিন্তু বরাবরই সামুদ্রিক ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই অঞ্চলকে। ওই দিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঝড়ের তাণ্ডবে মারা যান প্রচুর সাধারণ মানুষ।
সেই সময়ে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, যা দমকা হাওয়ায় ১১০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস।
advertisement
advertisement
advertisement