Cyclone Montha: আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা...! খেলা ঘোরাবে 'সাইক্লোন' মন্থা! এই মুহূর্তে বাংলা থেকে কত দূরে? ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় গতি হবে কত? এল ভয়ঙ্কর সতর্কবাণী!

বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে এই মরশুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণিঝড় মন্থা। মঙ্গলবার গভীর রাতে এটি উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে ওড়িশা এবং অন্ধ্র প্রদেশে তোলপাড় চালানোর আশঙ্কা। আইএমডি-র পূর্বাভাস বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ ইতিমধ্যেই একটি সতর্কতা জারি করেছে। সেই অনুযায়ী জানা যাচ্ছে মন্থা অন্ধ্রের কাকিনাড়া থেকে প্রায় ৮৩০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে রবিবার গভীর রাতে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকার ওয়েবসাইট জুম.আর্থ অনুসারে, এই ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস-সহ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। কিছু কিছু রাজ্যে সরকারি জুনিয়র কলেজগুলি ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

ইতিমধ্যেই অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশের স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় 'মন্থা'র পূর্বাভাস এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, বিজয়নগরম, বিশাখাপত্তনম, আনাকাপল্লে, কাকিনাড়া, পশ্চিম গোদাবরী, এলুরু, কৃষ্ণা, এনটিআর, গুন্টুর, বাপাতলা, পালনাডু এবং ওয়াইএসআর কাডাপার জেলাশাসকরা ২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের নিজ নিজ জেলার সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বেসরকারি জুনিয়র কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা ১২ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে:দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মন্থা গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে এবং ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।

উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকলে, এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা/রাতে মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী কাকিনাড়ার আশেপাশে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছনোর সম্ভাবনা।

ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে ওড়িশা, এনডিআরএফ এবং ওডিআরএএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার থেকে ওড়িশা সরকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষ-জনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। আটটি জেলায় ১২৮টি দুর্যোগ মোকাবেলা দল মোতায়েন করেছে। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ পরের দিন সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, আল্লুরি আইথারাম রাজু, আনাকাপল্লি, বিশাখাপত্তনম, কাকিনাড়া, পূর্ব গোদাবরী, এলুরু, কোনাসীমা, এনটিআর, গুন্টুর, কৃষ্ণা এবং বাপাতলা জেলায় আবহাওয়া বিভাগ লাল সতর্কতা জারি করেছে।

ঘূর্ণিঝড় মন্থা যে গতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে ছট উৎসবের সময় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ এখনও বিহার এবং উত্তর প্রদেশের জন্য বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেনি। ছট পূজা মূলত এই দুটি রাজ্যেই পালিত হয়।

তবে অন্যান্য রাজ্যে বিহারি এবং পূর্বাঞ্চলীয় সম্প্রদায় ছট পূজা রীতিমতো ধুমধামের সঙ্গেই উদযাপন করেন। ঘূর্ণিঝড় মন্থা আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাংলায় আবহাওয়ার সতর্কতা:মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বা রাতে ল্যান্ডফল করবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মন্থা। দক্ষিণ বা মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে ইতিমধ্যেই নিষেধ করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে উত্তর পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গোপসাগরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।

২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৭ তারিখের মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ।