Chandrayaan 3: ধাঁইধাঁই করে নামবে চাঁদের তাপমাত্রা -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, কেন স্লিপমোডে চন্দ্রযান ৩

চন্দ্রযান ৩ নিজেদের মুন মিশনে দারুণ কাজ করে চলেছে৷ কিন্তু এবার সে যাবে স্লিপমোডে৷  চন্দ্রদিন যা  শেষের দিকে, যা পৃথিবীর ১৪ দিনের৷ এই দিন পর্বে প্রজ্ঞান ও বিক্রম নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করেছে৷  ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) এখন চাঁদের রাত ঘনিয়ে এলে বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের জন্য 'স্লিপ মোড' অপারেশন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১৪ রাতের বিস্তৃত এই রাত পর্বে তাপমাত্রা -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার প্রধান এস সোমানাথ  জানিয়েছেন এবার চাঁদে স্লিপ মোডের প্রস্তুতি৷  ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন যে ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান' এখনও কাজ করছে এবং 'আমাদের দল এখন বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম নিয়ে অনেক কাজ করছে।' তিনি বলেন, 'সুসংবাদ হল যে রোভারটি ল্যান্ডার থেকে অন্তত 100 মিটার দূরে চলে গেছে এবং আমরা তাদের নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়াটি আগামী দুই বা দুই দিনের মধ্যে শুরু করতে যাচ্ছি, কারণ সেখানে (চাঁদে) রাত হতে চলেছে।

২৩ অগাস্ট বিক্রম ল্যান্ডারটি চাঁদে স্পর্শ করার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে, প্রজ্ঞান রোভারটি বাইরে বেরিয়ে আসে, প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হাঁটতে শুরু করেছিল সে৷  চন্দ্র পৃষ্ঠে ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং ISRO-এর লোগো লাগিয়ে দিয়ে কাজ শুরু করে সে। (ISRO)

চাঁদে একদিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান এবং রাত নামার ক্ষেত্রেও সেই একই হিসেব৷ ফলে এখানে ১৪ দিনের রাতও হয়। যখন সূর্য চাঁদের আকাশ থেকে অস্ত যায়, তখন তাপমাত্রা দ্রুত মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যায়।

তাই ১৪ পৃথিবীর দিন পরে (২৩ অগাস্ট, ২০২৩ থেকে), প্রজ্ঞান এবং বিক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু ইসরো বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ২৮ দিন পরে আবার সক্রিয় হতে পারে যখন চাঁদ আবার দিনের আলো পাবে, যা ভারতের চন্দ্র মিশনের জন্য একটি বোনাস পুরস্কার হবে।

মহাকাশ মিশনে ভারতের চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্ট ভারতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিশাল সফল পদক্ষেপ৷ যা একধাক্কায় ভারত ও বিশ্বের চাঁদের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷  তাই ভারতের ইতিহাসে  ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ একটি মাইলস্টোন৷  চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর প্রথম অবতরণ করে এবং ভারতের এটি প্রথম সফট ল্যান্ডিং,  বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত এই কাজ করেছে। (ISRO)

চন্দ্র পৃষ্ঠে সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার  স্থায়ীভাবে চাঁদের বাসিন্দা হয়ে যাবে৷ তাদের আর পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য প্রোগ্রাম করা হয়নি৷

প্রজ্ঞান রোভারটি চন্দ্র পৃষ্ঠের খনিজ গঠন পরীক্ষা করছে৷ চাঁদের মাটিতে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং টাইটানিয়ামের গঠন রয়েছে৷  চাঁদের যে অংশে ল্যান্ডিং হয়েছে সেই  চারপাশের শিলাগুলিও পরীক্ষা চলছে৷

১৪ জুলাই ২০২৩-এ চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরা দ্বারা পৃথিবীর একটি ফটো৷