F 35B: ব্রিটিশ 5th জেনারেশন যুদ্ধবিমানটিকে কি লক করে দিয়েছিল ভারতের রাডার? এই প্রযুক্তিটা ঠিক কী? জেনে নিন বিশদে

Last Updated:
Britain F35B in India: আসলে কোনও রাডারেই ধরা পড়ে না এই স্টিলথ জেটটি। কিন্তু ভারতের ‘তৃতীয় নয়ন’কে ফাঁকি দেওয়া এর পক্ষে সম্ভব নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ৷
1/5
Report- Sandeep Gupta: বিগত প্রায় ২০ দিন ধরে তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের F-35B ফাইটার জেট বা যুদ্ধবিমান। এই স্টিলথ এয়ারক্র্যাফ্টটি এতটাই আধুনিক যে, প্রত্যেকটা দেশই একে নিজেদের বায়ুসেনার অংশ করার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছে। Photo: X
Report- Sandeep Gupta: বিগত প্রায় ২০ দিন ধরে তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের F-35B ফাইটার জেট বা যুদ্ধবিমান। এই স্টিলথ এয়ারক্র্যাফ্টটি এতটাই আধুনিক যে, প্রত্যেকটা দেশই একে নিজেদের বায়ুসেনার অংশ করার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছে। Photo: X
advertisement
2/5
আসলে কোনও রাডারেই ধরা পড়ে না এই স্টিলথ জেটটি। কিন্তু ভারতের তৃতীয় নয়নকে ফাঁকি দেওয়া এর পক্ষে সম্ভব নয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যে. ভারত শুধু এই ফাইটার জেটটিকে ট্র্যাকই করেনি, তার পাশাপাশি এটিকে তিরুঅনন্তপুরমের মাটিতে অবতরণও করিয়েছে। কিছু কিছু প্রতিবেদনে আবার দাবি যে, F-35B এয়ারক্র্যাফ্টটির রাডার লক করে দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে মাটিতে অবতরণ করা ছাড়া এই এয়ারক্র্যাফ্টটির হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না।  সেনাবাহিনীর পরিভাষায় রাডার সিস্টেমের লকের অর্থ হল, একটি রাডার সিস্টেম একটি লক্ষ্যবস্তু যেমন - একটি এয়ারক্র্যাফ্ট, ড্রোন অথবা মিসাইলকে নিশানা করে। এরপর ক্রমাগত ভাবে এটি সেই লক্ষ্যবস্তুর আসল অবস্থান, গতি এবং দিকনির্দেশের উপর নজর রাখে।
আসলে কোনও রাডারেই ধরা পড়ে না এই স্টিলথ জেটটি। কিন্তু ভারতের তৃতীয় নয়নকে ফাঁকি দেওয়া এর পক্ষে সম্ভব নয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যে. ভারত শুধু এই ফাইটার জেটটিকে ট্র্যাকই করেনি, তার পাশাপাশি এটিকে তিরুঅনন্তপুরমের মাটিতে অবতরণও করিয়েছে। কিছু কিছু প্রতিবেদনে আবার দাবি যে, F-35B এয়ারক্র্যাফ্টটির রাডার লক করে দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে মাটিতে অবতরণ করা ছাড়া এই এয়ারক্র্যাফ্টটির হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না।  সেনাবাহিনীর পরিভাষায় রাডার সিস্টেমের লকের অর্থ হল, একটি রাডার সিস্টেম একটি লক্ষ্যবস্তু যেমন - একটি এয়ারক্র্যাফ্ট, ড্রোন অথবা মিসাইলকে নিশানা করে। এরপর ক্রমাগত ভাবে এটি সেই লক্ষ্যবস্তুর আসল অবস্থান, গতি এবং দিকনির্দেশের উপর নজর রাখে।
advertisement
3/5
এই প্রক্রিয়াটি তখন ঘটে, যখন রাডার ওয়েভ লক্ষ্যবস্তু এবং সিস্টেমের উপর গিয়ে পড়ে এবং সেটিকে পরীক্ষা করে। লক করার জন্য রাডারটি ট্র্যাকিং মোডে চলে যায়। আর এই মোডে সেটি ক্রমাগত লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে। এমনকী সেটা যে কোনও গতিতে কিংবা যে কোনও দিকে এগোক না কেন, সেক্ষেত্রেও তা লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম। 
এই প্রক্রিয়াটি তখন ঘটে, যখন রাডার ওয়েভ লক্ষ্যবস্তু এবং সিস্টেমের উপর গিয়ে পড়ে এবং সেটিকে পরীক্ষা করে। লক করার জন্য রাডারটি ট্র্যাকিং মোডে চলে যায়। আর এই মোডে সেটি ক্রমাগত লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে। এমনকী সেটা যে কোনও গতিতে কিংবা যে কোনও দিকে এগোক না কেন, সেক্ষেত্রেও তা লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম। 
advertisement
4/5
রাডার লকের ধরন: বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ২ ধরনের রাডার লক রয়েছে। প্রথমটা হল সফ্ট লক। এক্ষেত্রে রাডারটি শুধুমাত্র লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে এবং সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। আর দ্বিতীয়টি হল হার্ড লক। যেখানে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করার জন্য মিসাইল সিস্টেমকে ডেটা প্রদান করে। মূলত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ ভাবে এই হার্ড লক ব্যবহার করা হয়। ভারতের ‘অশ্বিন’ অথবা রাশিয়ার ‘S-400’-এর মতো আধুনিক রাডারগুলি কিছুটা হলেও স্টিলথ প্রযুক্তিকে ডিটেক্ট করতে পারে। যখন এটি লক হয়ে যায়, তখন বিমানচালকের কাছে সতর্কবাণী পৌঁছে যায়। 
রাডার লকের ধরন: বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ২ ধরনের রাডার লক রয়েছে। প্রথমটা হল সফ্ট লক। এক্ষেত্রে রাডারটি শুধুমাত্র লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে এবং সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। আর দ্বিতীয়টি হল হার্ড লক। যেখানে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করার জন্য মিসাইল সিস্টেমকে ডেটা প্রদান করে। মূলত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ ভাবে এই হার্ড লক ব্যবহার করা হয়। ভারতের ‘অশ্বিন’ অথবা রাশিয়ার ‘S-400’-এর মতো আধুনিক রাডারগুলি কিছুটা হলেও স্টিলথ প্রযুক্তিকে ডিটেক্ট করতে পারে। যখন এটি লক হয়ে যায়, তখন বিমানচালকের কাছে সতর্কবাণী পৌঁছে যায়। 
advertisement
5/5
ব্রিটেনের সরকারি অবস্থান কী? এই গোটা পর্বে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে যে, তারা নিজেরাই জরুরিকালীন অবতরণের জন্য ভারতের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, বিমানে থাকা সমস্যাটা বেশ বড়। তিরুঅনন্তপুরমে থাকাকালীন যেটার সমাধান সম্ভব নয়। সেই কারণে এই বিমানের অংশগুলি আলাদা আলাদা করে বা ডিসম্যান্টল করে বড় একটি বিমানে চাপিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এটাও সত্য যে, ভারত বিমানটিকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়ার বিকল্প দিয়েছিল, যাতে এটি ভারতেই মেরামত করা যায়। তবে ভারতের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল ব্রিটেন। 
ব্রিটেনের সরকারি অবস্থান কী? এই গোটা পর্বে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে যে, তারা নিজেরাই জরুরিকালীন অবতরণের জন্য ভারতের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, বিমানে থাকা সমস্যাটা বেশ বড়। তিরুঅনন্তপুরমে থাকাকালীন যেটার সমাধান সম্ভব নয়। সেই কারণে এই বিমানের অংশগুলি আলাদা আলাদা করে বা ডিসম্যান্টল করে বড় একটি বিমানে চাপিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এটাও সত্য যে, ভারত বিমানটিকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়ার বিকল্প দিয়েছিল, যাতে এটি ভারতেই মেরামত করা যায়। তবে ভারতের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল ব্রিটেন।
advertisement
advertisement
advertisement