Supersonic Missile Deal: সুপারসনিক মিসাইল ডিল...এবার চিনের ‘শত্রু’কে অস্ত্র সাপ্লাই করবে ভারত! সেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, মাঝ আকাশেই চুরমার করে দিয়েছিল পাক মিসাইল

শনিবারই বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভারতের বায়ুসেনা প্রধান অমর প্রীত সিং জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি বিমান ধ্বংস করেছে ভারত।

এই ছয়টির মধ‍্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি AEW&C/ELINT বিমান, যা পাকিস্তানের বিশেষ ধরনের সামরিক বিমান। বায়ুসেনা প্রধান শনিবার জানান, পাকিস্তানের কয়েকটি F16 জেট জ্যাকোবাবাদে এবং একটি AEW&C ভোলারিতে ধ্বংস করা হয়েছিল। পাশাপাশি বায়ুসেনা প্রধান এও জানান, পাক বিমান ধ্বংসে ভারতের হাতিয়ার ছিল S-400 সিস্টেম।

তবে সুদর্শন চক্র, বা রাশিয়ার থেকে কেনা S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পাশাপাশি, পাকিস্তানের মিসাইল ঠেকাতে সমানে লড়ে গিয়েছে ভারতেই তৈরি আরেক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশ-১এস ৷

অপারেশন সিঁদুরের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর , ভারতের দেশীয় অস্ত্রের বাজার ক্রমশ বাড়ছে। অনেক দেশ ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য চুক্তি করেছে , যা পাকিস্তানে ঢুকে ওদের প্রায় কবর খুঁড়ে দিয়েছিল। আর আরেক ব্রহ্মাস্ত্র আকাশ, জাস্ট উড়িয়ে দিয়েছিল ফতেহ-১ মিসাইলকে। এই ব্রহ্মাস্ত্র হল ভারতের দেশীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশ-১এস ।

জানা গিয়েছে, ফিলিপিন্সের সেনাবাহিনী ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ-১এস বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। এই আকাশ-১এস একটি মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল সিস্টেম, যা ভারত উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি রকেটকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য তৈরি করেছে।

অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের সাথে সামরিক সংঘর্ষে ভারত এটি ব্যবহার করেছিল, যা তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে খবরে ছিল। এখন ফিলিপিন্স চিনের হুমকির কারণে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজাতে চাইছে৷ এর জন্য তারা ভারতের কাছ থেকে আকাশ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷

আকাশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিশেষত্ব কী ?আকাশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার , তবে এটি আকাশে ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত যেকোনো উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিতে পারে ।

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এর দেশীয় সক্রিয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিকার। এটি দ্রুত উড়ন্ত, কম উচ্চতার লক্ষ্যবস্তু যেমন ড্রোন , ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং টার্গেটেড আর্টিলারি রকেটের বিরুদ্ধে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম । এতে স্থাপিত রাজেন্দ্র ফেজড-অ্যারে রাডারটি একই সাথে ৬৪টি লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার এবং ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রকে টার্গেট করার ক্ষমতা রাখে।

সামগ্রিকভাবে, বহুমুখী হামলা মোকাবিলার জন্য এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি চমৎকার । আকাশ-১ এর গাইডেড রকেট এবং স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে পারফর্ম করার ক্ষমতা গোটা বিশ্ব লক্ষ্য করেছে ।