

বিরল দৃশ্য ৷ এক টেবিলে মমতা, অমিত, নীতীশ কুমার ৷ নবীন পট্টনায়কের বাড়ির ডাইনিং টেবিল সাক্ষী রইল এমনই দৃশ্যের ৷ অতিথিদের জন্য ওড়িয়া খানাই আয়োজন করলেন নবীন পট্টনায়েক। খাদ্য রসিক বলে আদৌ কোনওদিন পরিচিতি নেই তার। সাধাসিধে, জীবনযাপন জুরে ছড়িয়ে রয়েছে বই, লেখার টেবিল, কয়েক সেট সাদা পাঞ্জাবি পাজামা, সাদা চপ্পল আর সাধারণ ওড়িয়া খানা। সেই ওড়িয়া পদেরই আয়োজন করলেন নবীন তার অতিথিদের জন্য।


শুক্রবার ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের ২৪ তম বৈঠক উপলক্ষ্যে ভুবনেশ্বরে এসেছেন বাংলা, বিহারের দুই মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অতিথি দের জন্য দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিলো নবীন পট্টনায়েকের বাসভবন "নবীন নিবাস" এ।


নবীন নিবাসের রান্নার ঠাকুর আর ভুবনেশ্বরের বিখ্যাত বেসরকারী হোটেল মেফেয়ারের শেফেরা মিলে তৈরী করেছেন মোট এক ডজন পদ।। জনপ্রিয় ওড়িয়া পদ গুলি হল,১.বেগুন ভরতা (ওড়িয়া স্টাইল) ২.মটর মসাল্লা ৩.ওড়িয়া আলুকারি ৪.মটর পনীর ৫.ডাল ৬.পাপড় ৭.চাটনি ৮.বুন্দি রাইতা ৯.মাছের ঝোল (ওড়িয়া ভাপা) ১০.ভাত /রুটি ১১.ছানা পোড়া ১২.রসমালাই


মেনু থেকে একটা জিনিষ স্পস্ট। আমিষ থেকে নিরামিষ এর ওপরই জোর বেশী। নবীন পট্টনায়েক ওড়িয়া খাবারের পাশে মাঝেমধ্যে পছন্দ করেন চিকেন স্টু খেতে। বাকী সময় সাধারণ ওড়িয়া খাবার।


এর মধ্যে নীতিশ কুমার একটু খাদ্য রসিক । তবে কঠোরভাবে নিরামিষ। পছন্দ করেন নানা পদের সবজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনিতে কোনও খাবারে না নেই। মাছও পছন্দ করেন তবে খান নেহাতই কম। দিদির কথা মাথায় রেখেই মাছের পদ রাঁধিয়েছেন নবীন। যদি ও এদিন প্রায় কিছুই খাননি মমতা। তবে নবীনের অনুরোধে রায়তা খান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । বুন্দি রায়তা যে তার বেশ পছন্দ হয়েছে সে কথা এদিন নবীনকে জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রীমো।