Winter Gout Pain Relief: গাঁটে ব্যথার যম, শীতে আশীর্বাদের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই ৫টি ভেষজ চা, সর্দি-কাশি বাপ বাপ বলে পালাবে
- Published by:Pooja Basu
- trending-desk
Last Updated:
আসলে এই ধরনের চা শুধু শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এই চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
advertisement
শীতকালে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভেষজ চা বা হার্বাল টি পান করলে শরীর তো গরম থাকেই, সেই সঙ্গে সারাদিন ধরে বজায় থাকে চনমনে ভাব। আসলে এই ধরনের চা শুধু শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এই চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর ভেষজ চা পান করলে তাৎক্ষণিক ভাবে শরীরে সতেজতা আসে। আজকের প্রতিবেদনে শীতকালের জন্য উপকারী ভেষজ চায়ের বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
আদা-মধু চা:
এই চা প্রায়ই বাড়িতে কখনও কখনও শরীর গরম করা কিংবা সতেজতা আনার জন্য তৈরি করা হয়। বলাই বাহুল্য যে, এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি চা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নরেন্দ্র কুমার বলেন, আদা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে। আর মধু গলার ব্যথা উপশম করে এবং এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন আদা-মধু চা পান করা উচিত। এই ভেষজ চা তৈরি করার জন্য আদা থেঁতো করে জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরেই গরম-গরম আদা-মধু চা পান করতে হবে।
এই চা প্রায়ই বাড়িতে কখনও কখনও শরীর গরম করা কিংবা সতেজতা আনার জন্য তৈরি করা হয়। বলাই বাহুল্য যে, এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি চা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নরেন্দ্র কুমার বলেন, আদা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে। আর মধু গলার ব্যথা উপশম করে এবং এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন আদা-মধু চা পান করা উচিত। এই ভেষজ চা তৈরি করার জন্য আদা থেঁতো করে জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরেই গরম-গরম আদা-মধু চা পান করতে হবে।
advertisement
তুলসী এবং গোলমরিচ চা:
এই চা সাধারণত শুধুমাত্র শীতকালেই পান করা হয়। এই চা পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক উষ্ণতা ও সতেজতার সঞ্চার ঘটে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন যে, তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর গোলমরিচ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই শীতকালে মাঝেমধ্যেই এই চা পান করা উচিত। এটি তৈরি করার জন্য জলে তুলসী পাতা এবং কিছু গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে গরম-গরম পান করা উচিত।
এই চা সাধারণত শুধুমাত্র শীতকালেই পান করা হয়। এই চা পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক উষ্ণতা ও সতেজতার সঞ্চার ঘটে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন যে, তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর গোলমরিচ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই শীতকালে মাঝেমধ্যেই এই চা পান করা উচিত। এটি তৈরি করার জন্য জলে তুলসী পাতা এবং কিছু গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে গরম-গরম পান করা উচিত।
advertisement
হলুদ এবং দারচিনি চা:
এই চা সাধারণত ঘরোয়া টোটকা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন এই চা পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেছেন যে, হলুদে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং দারচিনি বিপাককে ত্বরান্বিত করে। এটি শরীরকে উষ্ণ ও সুস্থ রাখে। এই চা তৈরি করার জন্য প্রথমে জলে হলুদ গুঁড়ো এবং দারচিনি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
এই চা সাধারণত ঘরোয়া টোটকা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন এই চা পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেছেন যে, হলুদে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং দারচিনি বিপাককে ত্বরান্বিত করে। এটি শরীরকে উষ্ণ ও সুস্থ রাখে। এই চা তৈরি করার জন্য প্রথমে জলে হলুদ গুঁড়ো এবং দারচিনি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
advertisement
লেমনগ্রাস এবং আদা চা:
এই চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই চা পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক সতেজতা আসে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন যে, লেমনগ্রাস শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং আদা হজমশক্তি বাড়ায়। লেমনগ্রাস ও আদা চা তৈরি করার জন্য জলে লেমনগ্রাস এবং আদা যোগ করে ফোটাতে হবে। এরপর সেই চা ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে।
এই চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই চা পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক সতেজতা আসে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন যে, লেমনগ্রাস শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং আদা হজমশক্তি বাড়ায়। লেমনগ্রাস ও আদা চা তৈরি করার জন্য জলে লেমনগ্রাস এবং আদা যোগ করে ফোটাতে হবে। এরপর সেই চা ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে।
advertisement
গ্রিন টি এবং পুদিনা:
গ্রিন টি এবং পুদিনা ভেষজ চা-পানকারীদের প্রথম পছন্দ। এই চা প্রতিদিন পান করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং পুদিনা হজমে সহায়ক। এটি তৈরি করার জন্য গ্রিন টি-এর মধ্যে পুদিনা পাতা যোগ করে ফোটাতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে গরম-গরম পান করতে হবে।
গ্রিন টি এবং পুদিনা ভেষজ চা-পানকারীদের প্রথম পছন্দ। এই চা প্রতিদিন পান করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং পুদিনা হজমে সহায়ক। এটি তৈরি করার জন্য গ্রিন টি-এর মধ্যে পুদিনা পাতা যোগ করে ফোটাতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে গরম-গরম পান করতে হবে।