Weekend Trip: দিঘা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে 'এই' রাজবাড়ি, পুজোর ছুটি ‘এখানে' কাটান! মিলবে রাজকীয় রাত্রিযাপনের সুযোগ

Last Updated:
Weekend Trip: দিঘা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের এই রাজবাড়ি সময়ের স্রোতকে পিছনে টেনে নিয়ে যায়। রাজার জলসাঘরে এখনও আছে সেতার, যদুভট্টের এসরাজ, গানের খাতা; রয়েছে রাজ আমলের পুকুর, বাগান, কিশোররাই জিউয়ের মন্দির-সহ বহু নিদর্শন।
1/6
*যদি এবারের পুজোয় পাহাড়, সমুদ্র কিংবা জঙ্গলের ভিড় থেকে একটু আলাদা অভিজ্ঞতা নিতে চান, তবে পঁচেটগড় রাজবাড়ি আপনার সেরা গন্তব্য হতে পারে। ষোড়শ শতকের এই প্রাচীন রাজবাড়ি শুধু ঐতিহ্য ও ইতিহাসের ভাণ্ডার নয়, পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য রয়েছে রাজকীয় আতিথেয়তা। এখানে শুধু দুর্গোৎসব উপভোগ নয়, ইচ্ছে করলে রাজকীয় কক্ষে রাত্রিযাপন ও রাজকীয় খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন।
*যদি এবারের পুজোয় পাহাড়, সমুদ্র কিংবা জঙ্গলের ভিড় থেকে একটু আলাদা অভিজ্ঞতা নিতে চান, তবে পঁচেটগড় রাজবাড়ি আপনার সেরা গন্তব্য হতে পারে। ষোড়শ শতকের এই প্রাচীন রাজবাড়ি শুধু ঐতিহ্য ও ইতিহাসের ভাণ্ডার নয়, পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য রয়েছে রাজকীয় আতিথেয়তা। এখানে শুধু দুর্গোৎসব উপভোগ নয়, ইচ্ছে করলে রাজকীয় কক্ষে রাত্রিযাপন ও রাজকীয় খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন।
advertisement
2/6
*রাজবাড়ির অলিন্দে কিংবা জলসাঘরে হাঁটলেই চোখে পড়বে জমিদারি আমলের ছাপ। বিশেষ আকর্ষণ এখানকার পটে আঁকা দুর্গোৎসব, যা আজকের দিনে খুবই বিরল। পুজোর সময় চারপাশ ভরে ওঠে আলো, ঢাকের শব্দ আর উৎসবের আবহে। শুধু পুজো নয়, এখানে পর্যটকের জন্য রয়েছে রাজকীয় খাবারের বৈচিত্র্যময় আয়োজন এবং রাজকীয় কক্ষে থাকার সুযোগ, যা এই ভ্রমণকে করে তুলবে আরও অনন্য।
*রাজবাড়ির অলিন্দে কিংবা জলসাঘরে হাঁটলেই চোখে পড়বে জমিদারি আমলের ছাপ। বিশেষ আকর্ষণ এখানকার পটে আঁকা দুর্গোৎসব, যা আজকের দিনে খুবই বিরল। পুজোর সময় চারপাশ ভরে ওঠে আলো, ঢাকের শব্দ আর উৎসবের আবহে। শুধু পুজো নয়, এখানে পর্যটকের জন্য রয়েছে রাজকীয় খাবারের বৈচিত্র্যময় আয়োজন এবং রাজকীয় কক্ষে থাকার সুযোগ, যা এই ভ্রমণকে করে তুলবে আরও অনন্য।
advertisement
3/6
*দিঘা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের এই রাজবাড়ি সময়ের স্রোতকে পিছনে টেনে নিয়ে যায়। রাজার জলসাঘরে এখনও আছে সেতার, যদুভট্টের এসরাজ, গানের খাতা; রয়েছে রাজ আমলের পুকুর, বাগান, কিশোররাই জিউয়ের মন্দির-সহ বহু নিদর্শন। ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে এখানে অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন রাজকীয় আতিথেয়তা, অন্দরমহলের সাজান ঘরে রাত্রিযাপন এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ভরপুর রাজকীয় খাবারের আসর।
*দিঘা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের এই রাজবাড়ি সময়ের স্রোতকে পিছনে টেনে নিয়ে যায়। রাজার জলসাঘরে এখনও আছে সেতার, যদুভট্টের এসরাজ, গানের খাতা; রয়েছে রাজ আমলের পুকুর, বাগান, কিশোররাই জিউয়ের মন্দির-সহ বহু নিদর্শন। ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে এখানে অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন রাজকীয় আতিথেয়তা, অন্দরমহলের সাজান ঘরে রাত্রিযাপন এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ভরপুর রাজকীয় খাবারের আসর।
advertisement
4/6
*পঁচেটগড় রাজবাড়িতে পৌঁছন খুবই সহজ এবং সোজা। দিঘা থেকে আসতে চাইলে দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে রামনগর হয়ে সরাসরি এগরা আসতে হবে। এগরা থেকে বাজকুল রাজ্য সড়ক ধরে পঁচেট মোড় পর্যন্ত যান, সেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছন সম্ভব রাজবাড়িতে। কলকাতা থেকে আসার পথে দিঘা–নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে হেঁড়িয়া বাস স্ট্যান্ড বা ইটাবেড়িয়ার পথে আসা যায়। এছাড়া যারা ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান, তাঁরা কাঁথি স্টেশনে নেমে এগরাগামী যে কোনও বাসে উঠে এগরা পৌঁছতে পারেন। এরপর পঁচেট মোড় হয়ে মাত্র ১০ মিনিটের পথ ধরে পৌঁছবেন সরাসরি রাজবাড়িতে।
*পঁচেটগড় রাজবাড়িতে পৌঁছন খুবই সহজ এবং সোজা। দিঘা থেকে আসতে চাইলে দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে রামনগর হয়ে সরাসরি এগরা আসতে হবে। এগরা থেকে বাজকুল রাজ্য সড়ক ধরে পঁচেট মোড় পর্যন্ত যান, সেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছন সম্ভব রাজবাড়িতে। কলকাতা থেকে আসার পথে দিঘা–নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে হেঁড়িয়া বাস স্ট্যান্ড বা ইটাবেড়িয়ার পথে আসা যায়। এছাড়া যারা ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান, তাঁরা কাঁথি স্টেশনে নেমে এগরাগামী যে কোনও বাসে উঠে এগরা পৌঁছতে পারেন। এরপর পঁচেট মোড় হয়ে মাত্র ১০ মিনিটের পথ ধরে পৌঁছবেন সরাসরি রাজবাড়িতে।
advertisement
5/6
*রাজবাড়ির সবচেয়ে বড় চমক হল এখানকার রাজকীয় খাবার আর থাকার ব্যবস্থা। দুপুরে ভাত, শাক, ভাজা, সুক্তো, পাঁচ মিশালি সবজি, মুগের ডাল, নানা রকম মাছ—গলদা চিংড়ি, পাবদা, রুই, কাতলা, চাটনি, দই, মিষ্টি , পাপড়—সহ ভরপেট রাজকীয় ভোজ। বিকেলে চিকেন পকোড়া, ভেজ পকোড়া, ফিঙ্গার চিপস সহ নানা স্ন্যাকস। রাতে থাকবে ভাত, রুটি, চিকেন, মাটন ইত্যাদি। সকালে লুচি, তরকারি, পরোটা, ডিম, ফল আর মিষ্টি। মাথাপিছু খরচ প্রায় ২১০০ টাকা।  যারা রাত্রে যাপন করতে চান তাদেরকে অবশ্যই আগে থেকে +91 70449 43794 নম্বর ফোন করে বুকিং করে আসতে হবে।  তবে যারা শুধু পুজো দেখতে বা রাজবাড়ি ঘুরতে চান, তাঁদের কোনও বুকিংয়ের দরকার নেই।
*রাজবাড়ির সবচেয়ে বড় চমক হল এখানকার রাজকীয় খাবার আর থাকার ব্যবস্থা। দুপুরে ভাত, শাক, ভাজা, সুক্তো, পাঁচ মিশালি সবজি, মুগের ডাল, নানা রকম মাছ—গলদা চিংড়ি, পাবদা, রুই, কাতলা, চাটনি, দই, মিষ্টি , পাপড়—সহ ভরপেট রাজকীয় ভোজ। বিকেলে চিকেন পকোড়া, ভেজ পকোড়া, ফিঙ্গার চিপস সহ নানা স্ন্যাকস। রাতে থাকবে ভাত, রুটি, চিকেন, মাটন ইত্যাদি। সকালে লুচি, তরকারি, পরোটা, ডিম, ফল আর মিষ্টি। মাথাপিছু খরচ প্রায় ২১০০ টাকা।  যারা রাত্রে যাপন করতে চান তাদেরকে অবশ্যই আগে থেকে +91 70449 43794 নম্বর ফোন করে বুকিং করে আসতে হবে।  তবে যারা শুধু পুজো দেখতে বা রাজবাড়ি ঘুরতে চান, তাঁদের কোনও বুকিংয়ের দরকার নেই।
advertisement
6/6
*রাজবাড়ির সদস্য ফাল্গুনী দাস মহাপাত্র বলেন, “আমাদের ইচ্ছে অতিথিরা যেন একসঙ্গে পুজোর আবহ, ইতিহাস আর রাজকীয় আতিথেয়তার স্বাদ পান। এখানে শুধু পুজো দেখাই নয়, রাজকীয় কক্ষে থাকা ও খাবারের অভিজ্ঞতাও বিশেষভাবে সাজান হয়েছে। যারা থাকতে চান, তাঁদের আগে থেকে বুকিং করতে হবে, তবে শুধু দর্শন করতে এলে কোনও বুকিংয়ের প্রয়োজন নেই।” (ছবি ও তথ্য : মদন মাইতি)
*রাজবাড়ির সদস্য ফাল্গুনী দাস মহাপাত্র বলেন, “আমাদের ইচ্ছে অতিথিরা যেন একসঙ্গে পুজোর আবহ, ইতিহাস আর রাজকীয় আতিথেয়তার স্বাদ পান। এখানে শুধু পুজো দেখাই নয়, রাজকীয় কক্ষে থাকা ও খাবারের অভিজ্ঞতাও বিশেষভাবে সাজান হয়েছে। যারা থাকতে চান, তাঁদের আগে থেকে বুকিং করতে হবে, তবে শুধু দর্শন করতে এলে কোনও বুকিংয়ের প্রয়োজন নেই।” (ছবি ও তথ্য : মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement