লং উইকেন্ড ট্রিপ প্ল্যান করছেন? ঘুরে আসতে পারেন 'মোগলমাড়ি', দেড় হাজার বছরের প্রাচীন দু’টি বৌদ্ধবিহার

ঘুরতে যেতে ভালবাসেন? ইতিহাসের সঙ্গে মেখে থাকুন সারাটা দিন। ঘুরে দেখুন মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া ইতিহাস। জানুন এককালের কাহিনী।

কলকাতার খুব কাছে জেলার এই ঐতিহ্য। যা শুধু জেলার মানুষের কাছে এক গর্বের নয়, গোটা দেশের এই ইতিহাসের সাক্ষী। কলকাতার খুব কাছে এই ইতিহাস ক্ষেত্র।

একটা ঢিবি খননের ফলে আত্মপ্রকাশ পায় ইতিহাসের এই অন্যতম নিদর্শন। যা কালের নিয়মে মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। মাটি থেকে উৎখণনের পর পরিচিতি লাভ করে মোগলমারী বৌদ্ধবিহার।

একদিকে যেমন ইতিহাস গবেষকদের কাছে অন্যতম ক্ষেত্র তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক অন্যতম ডেস্টিনেশন। বা কেউ সপ্তাহ শেষে কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করলে তাদের কাছে এক অন্যতম জায়গা দাঁতনের মোগলমারী বৌদ্ধবিহার।

রাজা বিক্রমাদিত্যের কন্যা সখীসেনার অধ্যয়নের জায়গা ছিল এটি। সেখান থেকে এই নাম এসেছে বলে মনে করা হয়। মোগলমারির এই প্রত্নক্ষেত্র একটি পাঠশালা বলে মনে করা হয়।

আজ সখীসেনার পাঠশালার সকল জনশ্রুতির দ্বিধা দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত অন্যান্য বৃহৎ ও প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।

ঢিবির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট দ্বারা সুসজ্জিত দেওয়াল, স্টাকো পলেস্তারা যুক্ত দেওয়াল, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কুঠুরি। উদ্ধার হয় খণ্ড বিখণ্ড বুদ্ধের মূর্তিও।