Vitamin Deficiency: খুব কাজের ভিটামিন D-সহ ২ ভিটামিন! ঘাটতি হলেই চূড়ান্ত ক্লান্ত হবে শরীর, বসে বসেই ঝিমোবেন...

প্রশ্ন হল, কোন ভিটামিনের অভাব অতিরিক্ত ঘুমের কারণ হতে পারে? এবং কীভাবে সেগুলির ঘাটতি পূরণ করবেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন লখনউয়ের অ্যাপোলোমেডিক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান প্রীতি পান্ডে।

ভিটামিন B12: ডায়েটিশিয়ানের মতে, অতিরিক্ত ঘুমের প্রধান কারণ হলো ভিটামিন B12-এর অভাব। এই ভিটামিন শরীরে রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়ক।

রক্তকণিকা শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টির প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন B12-এর অভাবে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, যার ফলে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।

কীভাবে পূরণ করবেন:ভিটামিন B12-এর অভাব হলে শরীরে অলসতা, কাজের প্রতি আগ্রহের অভাব এবং অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা দেখা যায়। এর ঘাটতি পূরণে মটরশুটি, মটর ইত্যাদির মতো খাবার খাওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন D:অতিরিক্ত ঘুমের আরেকটি কারণ হলো ভিটামিন D-এর অভাব। এই ভিটামিন শুধু হাড় নয়, ত্বক ও চুলের ওপরও প্রভাব ফেলে। এর অভাবে দুর্বলতা বেড়ে যায়, যার ফলে ঘুম বেশি পায়।

কীভাবে পূরণ করবেন:ভিটামিন D-এর ঘাটতি পূরণে ডিম, মাছ এবং দুধ বা দুধজাত খাবার খাওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন C:ভিটামিন C-এর অভাব থেকেও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। এর ফলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে ক্লান্তি তৈরি হয়।

কীভাবে পূরণ করবেন:ভিটামিন C-এর অভাব পূরণে লেবু, কমলালেবু এবং অন্যান্য টক ফল খাওয়া উচিত।

আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম:কিছু খনিজের অভাব যেমন আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের অভাবও অতিরিক্ত ঘুমের কারণ হতে পারে।কীভাবে পূরণ করবেন: আয়রন: বিট, ডালিম এবং পূর্ণ শস্য খেতে পারেন। ম্যাগনেশিয়াম: বাদাম, পেস্তা, পূর্ণ শস্য এবং ডাল জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

শরীরকে সচল এবং সুস্থ রাখতে এই ভিটামিন ও খনিজগুলোর ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।