Worst Food to cause Ulcer: ভুলেও জিভে দেবেন না এই ৭ খাবার! বেশি খাবেন না এই ৩ পানীয়! পেটের ভিতরে হবে দগদগে আলসার!

আলসারের সংক্রমণের উপসর্গ সব সময় বোঝা যায় না৷ এক এক জনের ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যায় এক এক রকম৷ ঠোঁটের ভেতরে অথবা জিহ্বার নীচে যে ঘা-গুলো দেখা যায় সেগুলোকে আলসার বলা হয়। এগুলো আপনার পাকস্থলীর আস্তরণ, ক্ষুদ্রান্ত্র এবং এমনকি আপনার গলাতেও তৈরি হয়। এই তিনটির মধ্যে পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্তের আলসার ( পেটের আলসার বলে পরিচিত) সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।

আলসার হওয়া বা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি সাধারণ কারণ রয়েছে। প্রধান ট্রিগার হল হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি (এইচ. পাইলোরি) নামে পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়া , যা দূষিত খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। কিছু খাবারে অ্যাসিডও থাকতে পারে যা আলসার রোগীদের ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

আলসারের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে এমন অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন এবং আইবুপ্রোফেনের মতো নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার। যদিও খাদ্যাভ্যাস আলসার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবুও জেনেটিক্স-সহ অন্যান্য কারণগুলিও আলসারের কারণ পারে। তবে, খাদ্যাভ্যাসকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জটিলতা এড়াতে আলসার বাড়াতে ও তীব্র করতে পারে এমন খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ লভনীত বাত্রা৷

অ্যালকোহল পাকস্থলীর আস্তরণে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা আলসারের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। অস্বস্তি কমাতে, যদি আপনার আলসার থাকে তবে অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলা বা সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কফি এবং চা অ্যাসিড উৎপাদনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আলসারের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। এই পানীয়গুলি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, বিশেষ করে যদি আপনার পাকস্থলী সংবেদনশীল হয়।

ফাস্ট ফুড এবং তৈলাক্ত খাবারের মতো উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট সাফ হতে দেরি হতে পারে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা আলসারকে জ্বালাতন করতে পারে। পরিমিত পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং গ্রিলিং বা বেকিংয়ের মতো স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

যদিও গবেষণায় মশলাদার খাবার এবং পেটের আলসারের মধ্যে সম্পর্ক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি, তবুও কিছু ব্যক্তি দেখতে পান যে মশলাদার খাবার গ্রহণ তাদের আলসারের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যদি আপনি ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন তবে মশলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা বা সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কমলালেবু এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফল আলসারের কারণ বলে জানা গেছে। তবে, সাইট্রাস ফলের সঙ্গে আলসারের সংযোগের প্রমাণ মিশ্র, এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। সাইট্রাস ফল খাওয়ার সময় ব্যক্তিগত সহনশীলতা এবং পছন্দ বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

যদিও চকোলেট পেটের অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে বলে জানা যায়, আলসারের উপর এর প্রভাব সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। চকোলেট খাওয়া ব্যক্তির সহনশীলতা এবং শরীর কীভাবে এর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় তার উপর নির্ভর করে। এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া এবং যে কোনও প্রতিকূল প্রভাবের দিকে মনোযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

সোডা এবং স্পার্কিং ওয়াটার-সহ কার্বনেটেড পানীয়গুলি পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদনে অবদান রাখতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে আলসারকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি আপনার আলসার থাকে তবে কার্বনেটেড পানীয় সীমিত করা বা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।