Tree Cultivation: চার বছরে ৪০ লক্ষ টাকা রোজগার! এই গাছ চাষ করলেই কৃষকের ভাগ্য খুলবে, ‘আল্লাদিনের প্রদীপ’ হয়ে উঠছে এই গাছ...

Last Updated:
Tree Cultivation: মাত্র ৪ বছরে একটি গাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে ১২–১৫ কুইন্টাল কাঠ। মালাবার নিম চাষ করে কৃষকরা প্রতি একর থেকে লক্ষাধিক টাকা রোজগার করতে পারেন, সেইসঙ্গে এটি পরিবেশবান্ধবও, যা ভবিষ্যতের জন্য দারুণ বিনিয়োগ...
1/8
মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া অঞ্চলের কৃষকরা এখন প্রচলিত ফসলের বদলে ম্যালিবার নিম গাছের (Melia Dubia) চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এই গাছ মাত্র চার বছরের মধ্যেই কাটার উপযোগী হয়ে ওঠে। কৃষকরা তুলা, ছোলা, মটরজাতীয় ফসলের বদলে লাভজনক বিকল্প হিসেবে এই গাছকে বেছে নিচ্ছেন।
মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া অঞ্চলের কৃষকরা এখন প্রচলিত ফসলের বদলে ম্যালিবার নিম গাছের (Melia Dubia) চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এই গাছ মাত্র চার বছরের মধ্যেই কাটার উপযোগী হয়ে ওঠে। কৃষকরা তুলা, ছোলা, মটরজাতীয় ফসলের বদলে লাভজনক বিকল্প হিসেবে এই গাছকে বেছে নিচ্ছেন।
advertisement
2/8
সাধারণ ফসলের ক্ষেত্রে শ্রম বেশি হলেও লাভ তুলনায় কম হয়। কিন্তু ম্যালিবার নিম গাছ চাষে কৃষকরা অনেক বেশি লাভ পাচ্ছেন। এই গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং এর কাঠের বাজারে বিশাল চাহিদা রয়েছে। এটি
সাধারণ ফসলের ক্ষেত্রে শ্রম বেশি হলেও লাভ তুলনায় কম হয়। কিন্তু ম্যালিবার নিম গাছ চাষে কৃষকরা অনেক বেশি লাভ পাচ্ছেন। এই গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং এর কাঠের বাজারে বিশাল চাহিদা রয়েছে। এটি "মালাবার নিম" নামেও পরিচিত।
advertisement
3/8
এই গাছের কাঠ মূলত প্লাইউড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি হালকা ও মজবুত হওয়ায় শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে। এই কাঠ দিয়ে ফার্নিচার, দরজা, জানালা, নৌকা এবং নানা কাঠের সামগ্রী তৈরি করা হয়।
এই গাছের কাঠ মূলত প্লাইউড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি হালকা ও মজবুত হওয়ায় শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে। এই কাঠ দিয়ে ফার্নিচার, দরজা, জানালা, নৌকা এবং নানা কাঠের সামগ্রী তৈরি করা হয়।
advertisement
4/8
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক একর জমিতে ৬০০ থেকে ৭০০টি গাছ রোপণ করা যায়। একেকটি গাছ থেকে গড়ে ১২ থেকে ১৫ কুইন্টাল কাঠ পাওয়া যায়। বাজারে এই কাঠের দাম টনপ্রতি ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা। এই হিসেবে এক একর জমি থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক একর জমিতে ৬০০ থেকে ৭০০টি গাছ রোপণ করা যায়। একেকটি গাছ থেকে গড়ে ১২ থেকে ১৫ কুইন্টাল কাঠ পাওয়া যায়। বাজারে এই কাঠের দাম টনপ্রতি ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা। এই হিসেবে এক একর জমি থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব।
advertisement
5/8
ম্যালিবার নিম গাছ চাষে বেশি পরিশ্রমের দরকার হয় না। এটি খরাও সহ্য করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের মাটিতে সহজেই বেড়ে ওঠে। শুরুতে কিছুটা জলসেচ ও যত্ন দরকার হলেও পরে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয় না। এই গাছে কীট-রোগের প্রকোপও কম।
ম্যালিবার নিম গাছ চাষে বেশি পরিশ্রমের দরকার হয় না। এটি খরাও সহ্য করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের মাটিতে সহজেই বেড়ে ওঠে। শুরুতে কিছুটা জলসেচ ও যত্ন দরকার হলেও পরে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয় না। এই গাছে কীট-রোগের প্রকোপও কম।
advertisement
6/8
কৃষি বিশেষজ্ঞ বি.ডি. সাংখেরে জানিয়েছেন, ম্যালিবার নিম কৃষকদের জন্য একপ্রকার সোনার গাছ। প্রথম দুই বছর একটু যত্ন নিলেই পরে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ৪ বছরের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। বাজারে এই কাঠের চাহিদা চিরকালীন থাকায় কৃষকদের বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না।
কৃষি বিশেষজ্ঞ বি.ডি. সাংখেরে জানিয়েছেন, ম্যালিবার নিম কৃষকদের জন্য একপ্রকার সোনার গাছ। প্রথম দুই বছর একটু যত্ন নিলেই পরে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ৪ বছরের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। বাজারে এই কাঠের চাহিদা চিরকালীন থাকায় কৃষকদের বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না।
advertisement
7/8
এই গাছ পরিবেশবান্ধবও বটে। এটি দ্রুত অক্সিজেন ছাড়ে এবং মাটির উর্বরতা ধরে রাখে। এর পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কৃষকরা কাছের কৃষি কেন্দ্র বা বন দপ্তরের মাধ্যমে ভালো মানের চারা সংগ্রহ করলে আরও ভালো ফল পাবেন।
এই গাছ পরিবেশবান্ধবও বটে। এটি দ্রুত অক্সিজেন ছাড়ে এবং মাটির উর্বরতা ধরে রাখে। এর পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কৃষকরা কাছের কৃষি কেন্দ্র বা বন দপ্তরের মাধ্যমে ভালো মানের চারা সংগ্রহ করলে আরও ভালো ফল পাবেন।
advertisement
8/8
ম্যালিবার নিম গাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে অনেক শিল্পপতিরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কাঠ কেনার ব্যবস্থা করছেন। এতে কৃষকদের আর বাজারে ঘুরতে হয় না। এই চাষ পেশাগতভাবে লাভজনক এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগও বটে। জমির মূল্যও বাড়বে, সঙ্গে পরিবার পাবে আর্থিক সুরক্ষা।
ম্যালিবার নিম গাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে অনেক শিল্পপতিরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কাঠ কেনার ব্যবস্থা করছেন। এতে কৃষকদের আর বাজারে ঘুরতে হয় না। এই চাষ পেশাগতভাবে লাভজনক এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগও বটে। জমির মূল্যও বাড়বে, সঙ্গে পরিবার পাবে আর্থিক সুরক্ষা।
advertisement
advertisement
advertisement