সব রোগের 'ওষুধ' আছে এই ফুলেই! অথচ নাম তার 'বাংলার আতঙ্ক'...! কেন জানেন?

Last Updated:
সাধারণত আগাছা হিসেবে পরিচিত এই জলজ উদ্ভিদটিকে অনেকেই অপছন্দ করেন। নদী ও পুকুর দখল করে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য এর বদনামও কম নয়। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, এই উদ্ভিদের ফুল ও পাতায় লুকিয়ে আছে এমন কিছু গুণ, যা আয়ুর্বেদে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে নানা রোগ সারাতে।
1/12
সাধারণত আগাছা হিসেবে পরিচিত এই জলজ উদ্ভিদটিকে অনেকেই অপছন্দ করেন। নদী ও পুকুর দখল করে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য এর বদনামও কম নয়।
সাধারণত আগাছা হিসেবে পরিচিত এই জলজ উদ্ভিদটিকে অনেকেই অপছন্দ করেন। নদী ও পুকুর দখল করে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য এর বদনামও কম নয়।
advertisement
2/12
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, এই উদ্ভিদের ফুল ও পাতায় লুকিয়ে আছে এমন কিছু গুণ, যা আয়ুর্বেদে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে নানা রোগ সারাতে।
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, এই উদ্ভিদের ফুল ও পাতায় লুকিয়ে আছে এমন কিছু গুণ, যা আয়ুর্বেদে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে নানা রোগ সারাতে।
advertisement
3/12
পুকুর-নদীতে সহজে জন্মানো এই উদ্ভিদ প্রকৃতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব জলাশয়ে জলকচু জন্মায়, সেখানে জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
পুকুর-নদীতে সহজে জন্মানো এই উদ্ভিদ প্রকৃতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব জলাশয়ে এই গাছ জন্মায়, সেখানে জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
advertisement
4/12
এরা জলাশয়ের উপরিভাগ ঢেকে ফেলে, অক্সিজেন কমিয়ে দেয়, ফলে মাছ, শামুক, ব্যাঙ—সবাই বিপন্ন হয়ে পড়ে।
এরা জলাশয়ের উপরিভাগ ঢেকে ফেলে, অক্সিজেন কমিয়ে দেয়, ফলে মাছ, শামুক, ব্যাঙ—সবাই বিপন্ন হয়ে পড়ে।
advertisement
5/12
এছাড়া এটি জলের মান নষ্ট করে ও দূষণ বাড়ায়, ফলে গোটা ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।মূলত পশ্চিমবঙ্গেই এই উদ্ভিদের উৎপত্তি, এবং তার অতিবিস্তারশীল স্বভাবের কারণেই নাম পেয়েছে — ‘The Terror of Bengal’ বা ‘বাংলার আতঙ্ক’।
এছাড়া এটি জলের মান নষ্ট করে ও দূষণ বাড়ায়, ফলে গোটা ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। মূলত পশ্চিমবঙ্গেই এই উদ্ভিদের উৎপত্তি, এবং তার অতিবিস্তারশীল স্বভাবের কারণেই নাম পেয়েছে — ‘The Terror of Bengal’ বা ‘বাংলার আতঙ্ক’।
advertisement
6/12
হ্যাঁ, আমরা বলছি কচুরিপানার ফুলের (Water Hyacinth) কথা— যার এক নাম ‘বাংলার আতঙ্ক’।
হ্যাঁ, আমরা বলছি কচুরিপানার ফুলের (Water Hyacinth) কথা— যার এক নাম ‘বাংলার আতঙ্ক’। কিন্তু এর গুণাগুণগুলো জানলে চমকে যাবেন! মনে হবে এত দিন জানতেন না কেন! তাহলে, জানা যাক।
advertisement
7/12
সব ভয়াবহ দিকের পরেও কচুরিপানার শরীরে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য নিরাময়ের ক্ষমতা।আয়ুর্বেদে বহু আগে থেকেই একে চিকিৎসাগুণসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ত্বক ও শরীরের নানা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এই গাছ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদানে সমৃদ্ধ, যা মানবদেহে নানা উপকারে আসে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে কাজু ও বাদামের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে।
সব ভয়াবহ দিকের পরেও কচুরিপানার শরীরে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য নিরাময়ের ক্ষমতা। আয়ুর্বেদে বহু আগে থেকেই একে চিকিৎসাগুণসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ত্বক ও শরীরের নানা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এই গাছ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদানে সমৃদ্ধ, যা মানবদেহে নানা উপকারে আসে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে কাজু ও বাদামের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে।
advertisement
8/12
বিশেষজ্ঞদের মতে, কচুরিপানা  সেবন উচ্চ রক্তচাপ, বাত, ব্রঙ্কাইটিস, মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা, দাঁতের ব্যথা ও স্কার্ভি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হৃদযন্ত্রের স্থিতি বজায় রাখতে ও রক্তনালির সুস্থতায় সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কচুরিপানা  সেবন উচ্চ রক্তচাপ, বাত, ব্রঙ্কাইটিস, মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা, দাঁতের ব্যথা ও স্কার্ভি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হৃদযন্ত্রের স্থিতি বজায় রাখতে ও রক্তনালির সুস্থতায় সাহায্য করে।
advertisement
9/12
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হজমের সমস্যায় উপকার দেয়।যাঁদের ডায়রিয়া বা গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য জলকচুর ফল বা শুঁটি খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হজমের সমস্যায় উপকার দেয়। যাঁদের ডায়রিয়া বা গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য জলকচুর ফল বা শুঁটি খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়।
advertisement
10/12
গলা ব্যথা, ফোলা বা সংক্রমণের সময় এর পাতা দিয়ে তৈরি গরম নির্যাস (infusion) পান করলে আরাম পাওয়া যায়।আয়ুর্বেদে কচুরিপানাকে যৌন রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়।
গলা ব্যথা, ফোলা বা সংক্রমণের সময় এর পাতা দিয়ে তৈরি গরম নির্যাস (infusion) পান করলে আরাম পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদে কচুরিপানাকে যৌন রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়।
advertisement
11/12
পাতায় থাকা পুষ্টিগুণ শরীরকে নবজীবন দেয়, শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।পাতা বা ডাঁটার ছাই ত্বকে লাগালে চুলকানি, র‍্যাশ বা অন্যান্য ত্বকের রোগে উপকার পাওয়া যায়। এমনকি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
পাতায় থাকা পুষ্টিগুণ শরীরকে নবজীবন দেয়, শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। পাতা বা ডাঁটার ছাই ত্বকে লাগালে চুলকানি, র‍্যাশ বা অন্যান্য ত্বকের রোগে উপকার পাওয়া যায়। এমনকি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
advertisement
12/12
যে উদ্ভিদকে এক সময় প্রকৃতির জন্য বিপদ বলে দেখা হত, এখন সেই কচুরিপানাই দেখাচ্ছে তার গোপন নিরাময়ের রূপ।‘বাংলার আতঙ্ক’ হয়তো একদিন হয়ে উঠবে ‘প্রকৃতির চিকিৎসক’।
অর্থাৎ, যে উদ্ভিদকে এক সময় প্রকৃতির জন্য বিপদ বলে দেখা হত, এখন সেই কচুরিপানাই দেখাচ্ছে তার গোপন নিরাময়ের রূপ। ‘বাংলার আতঙ্ক’ হয়তো একদিন হয়ে উঠবে ‘প্রকৃতির চিকিৎসক’।
advertisement
advertisement
advertisement