Daal Banned in India: ভারতে ৫০ বছর নিষিদ্ধ ছিল ‘এই’ ডাল, আবার এসেছে বাজারে! কোমরের নীচ থেকে বসিয়ে দেয় শরীর, ক্ষইয়ে দেয় হাড়, জানেন নাম?

Last Updated:
রুক্ষ জমি হোক কী জলজ এলাকা, সব জায়গাতেই দারুণ ফলে এই প্রজাতির ডাল৷ সেই কারণে চিরকালই গরিব মানুষের জন্য খুবই সুলভ এই ডাল৷ মূলত এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতেই এই ডাল ফলে৷ ফলে ভারতেও৷ তবে ভারতে এই ডাল নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘ ৫০ বছর৷ কিন্তু, কেন?
1/8
নিরামিষাশি মানুষের কাছে প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎসই হল ডাল৷ ডাল জাতীয় শস্যের মধ্যেই প্রভূত পরিমাণে প্রোটিন থাকে৷ ডালের মধ্যে মুসুর ডালে তো মাছ-মাংসের সমান প্রোটিন থাকে৷ কিন্তু, জানেন কি ভারতেই এমনও ডাল রয়েছে, যা প্রোটিনে ভরপুর হলেও তা নিষিদ্ধ দীর্ঘ ৫০ বছর৷
নিরামিষাশি মানুষের কাছে প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎসই হল ডাল৷ ডাল জাতীয় শস্যের মধ্যেই প্রভূত পরিমাণে প্রোটিন থাকে৷ ডালের মধ্যে মুসুর ডালে তো মাছ-মাংসের সমান প্রোটিন থাকে৷ কিন্তু, জানেন কি ভারতেই এমনও ডাল রয়েছে, যা প্রোটিনে ভরপুর হলেও তা নিষিদ্ধ দীর্ঘ ৫০ বছর৷
advertisement
2/8
এই ডালের প্রজাতির নাম ল্যাথাইরাস স্যাটাইভাস (Lathyrus sativus)৷ রুক্ষ জমি হোক কী জলজ এলাকা, সব জায়গাতেই দারুণ ফলে এই প্রজাতির ডাল৷ সেই কারণে চিরকালই গরিব মানুষের জন্য খুবই সুলভ এই ডাল৷ মূলত এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতেই এই ডাল ফলে৷ ফলে ভারতেও৷ তবে ভারতে এই ডাল নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘ ৫০ বছর৷ কিন্তু, কেন?
এই ডালের প্রজাতির নাম ল্যাথাইরাস স্যাটাইভাস (Lathyrus sativus)৷ রুক্ষ জমি হোক কী জলজ এলাকা, সব জায়গাতেই দারুণ ফলে এই প্রজাতির ডাল৷ সেই কারণে চিরকালই গরিব মানুষের জন্য খুবই সুলভ এই ডাল৷ মূলত এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতেই এই ডাল ফলে৷ ফলে ভারতেও৷ তবে ভারতে এই ডাল নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘ ৫০ বছর৷ কিন্তু, কেন?
advertisement
3/8
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ডাল যদি কেউ দিনের পর দিন খান, তাঁর প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ কারণ, এই ডালে থাকে নিউরোটক্সিন৷ দিনের পর দিন এই ডাল খেলে তার ‘বিষে’র প্রভাবে শরীরের কোমরের থেকে নীচের অংশ বসে যেতে পারে৷ হতে পারে প্যারালাইসিস৷ এতে হারের ক্ষয়, বা বেঁকে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে৷ এই রোগকে ‘ল্যাথাইরিসম’ বলে৷
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ডাল যদি কেউ দিনের পর দিন খান, তাঁর প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ কারণ, এই ডালে থাকে নিউরোটক্সিন৷ দিনের পর দিন এই ডাল খেলে তার ‘বিষে’র প্রভাবে শরীরের কোমরের থেকে নীচের অংশ বসে যেতে পারে৷ হতে পারে প্যারালাইসিস৷ এতে হারের ক্ষয়, বা বেঁকে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে৷ এই রোগকে ‘ল্যাথাইরিসম’ বলে৷
advertisement
4/8
খুব বেশি পরিমাণে এই ডাল খেলে অসাড় হয়ে যেতে পারে হাত-পা, শিরদাঁড়া৷ নষ্ট করে দিততে পারে স্নায়ু৷
খুব বেশি পরিমাণে এই ডাল খেলে অসাড় হয়ে যেতে পারে হাত-পা, শিরদাঁড়া৷ নষ্ট করে দিততে পারে স্নায়ু৷
advertisement
5/8
১৯৬১ সালে ডালের মধ্যে নিউরোটক্সিন BAPN পাওয়ার গেলে, তা চাষ করা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় দেশজুড়ে৷ তা-ও চোরাগোপ্তা চলতে থাকে এই ডালের বিক্রি৷
১৯৬১ সালে ডালের মধ্যে নিউরোটক্সিন BAPN পাওয়ার গেলে, তা চাষ করা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় দেশজুড়ে৷ তা-ও চোরাগোপ্তা চলতে থাকে এই ডালের বিক্রি৷
advertisement
6/8
ইংরেজিতে এই ডালকে বলে ব্লু স্যুইট পি, চিকলিং পি, চিকলিং ভেচ, ইন্ডিয়ান পি বা হোয়াইট পি নামে পরিচিত৷ আর ভারতীয়দের কাছে পরিচিত খেসারি ডাল হিসাবে৷
ইংরেজিতে এই ডালকে বলে ব্লু স্যুইট পি, চিকলিং পি, চিকলিং ভেচ, ইন্ডিয়ান পি বা হোয়াইট পি নামে পরিচিত৷ আর ভারতীয়দের কাছে পরিচিত খেসারি ডাল হিসাবে৷
advertisement
7/8
তবে পরে এই ডালের কম ‘নিউরোটক্সিন’ যুক্ত একাধিক ভ্যারিয়েন্ট বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারায়, ২০১৬ সালে খেসারির ডালের উপর থেকে এই ব্যান তুলে নেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)৷ জানানো হয়, ডালের উৎপাদন পরবর্তী প্রসেসিং ও ডাল খাওয়ার পরিমাণের মাধ্যমে এই ডালে থাকা নিউরোটক্সিনের বিষক্রিয়া অনেকাংশেই লাঘব করা যায়৷
তবে পরে এই ডালের কম ‘নিউরোটক্সিন’ যুক্ত একাধিক ভ্যারিয়েন্ট বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারায়, ২০১৬ সালে খেসারির ডালের উপর থেকে এই ব্যান তুলে নেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)৷ জানানো হয়, ডালের উৎপাদন পরবর্তী প্রসেসিং ও ডাল খাওয়ার পরিমাণের মাধ্যমে এই ডালে থাকা নিউরোটক্সিনের বিষক্রিয়া অনেকাংশেই লাঘব করা যায়৷
advertisement
8/8
বর্তমানে খেসারির ডাল বাজারে বিক্রি হলেও তা কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা৷ আর শরীরে কোনও সমস্যা থাকলে তো অবশ্যই এড়িয়ে চলুন এই ডাল খাওয়া৷ চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিন৷
বর্তমানে খেসারির ডাল বাজারে বিক্রি হলেও তা কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা৷ আর শরীরে কোনও সমস্যা থাকলে তো অবশ্যই এড়িয়ে চলুন এই ডাল খাওয়া৷ চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিন৷
advertisement
advertisement
advertisement