Spinach Side Effects: মুখে তোলার আগে ১০বার ভাবুন...! 'এঁরা' ভুলেও ছোঁবেন না পালং শাক, পেটে গেলেই সর্বনাশ! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

শরীরের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা চেনা শাক-সবজি। আর শীতকাল মানেই তো শাক সবজিতে ভরপুর বাজার। এই তালিকায় যে শাকটি দুর্দান্ত কার্যকরী হিসেবে গণ্য হয় তা হল পালং শাক বা স্পিনাচ।

প্রোটিন-ভিটামিনে ভরপুর এই শাক একাধিক রোগে ওষুধের মতো কাজ করে। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও পরামর্শ দেন এই শাক খাওয়ার। ছোট থেকে বড় সকলের জন্যই এই শাকের উপকারিতা যথেচ্ছ।

পালং শাক নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু জানেন কি স্বাস্থ্য উপকারিতার ঠাসা এই শাকের সেবন কিছু মানুষের জন্য চরম ক্ষতিকর হতে পারে! বস্তুত পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে।

আয়ুর্বেদ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক, সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম রিল শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি সবাইকে অতিরিক্ত পালং শাক খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি তাঁর পরামর্শে বলেছেন, "পালং শাকের অতিরিক্ত সেবনের কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা।"

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে দেয় পালং শাকে উপস্থিত এই পিউরিন। এতে জয়েন্টের ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।

১) একইসঙ্গে পালং শাকের পুষ্টিগুণ শরীরকে সবল ও সুস্থ রাখে। তবে এর ব্যবহার কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি তাঁদের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর।

২) পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কিন্তু এর সেবন কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। এতে জয়েন্টে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।

৩) বিশেষ করে যাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি তাদের খুব কম পালং শাক খাওয়া উচিত। আবার পালং শাকে রয়েছে অক্সালেট। এটি কিছু মানুষের কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমন অবস্থায় পালং শাক এড়িয়ে চলাই ভাল।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অনেক সমস্যা হতে পারে, যার মধ্যে একটি হল জয়েন্টে ব্যথা। ইউরিক অ্যাসিড সরাসরি খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। পালং শাক খেলে এই সমস্যা বাড়ে।

পালং শাকের পিউরিন নামক উপাদান শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। জয়েন্টের ব্যথাও বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের আগে থেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে বা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের সতর্কতার সঙ্গে পালং শাক খাওয়া উচিত।

৪) থাইরয়েড-পালং শাকে গয়ট্রোজেনিক উপাদান রয়েছে, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। থাইরয়েড রোগীদের পালং শাক খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

৫). হজম-পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার ফলে কারও কারও পেটে ব্যথা বা গ্যাস হতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে পালং শাক একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।

৬) রক্ত ​​পাতলা-আপনি যদি রক্ত ​​পাতলা করার ওষুধ খান তাহলে পালং শাক খাবেন না। কারণ পালং শাকের অতিরিক্ত সেবন রক্ত ​​জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

৭) সোডিয়াম-পালং শাক যদি অতিরিক্ত লবণ বা মশলা দিয়ে রান্না করা হয়, তাহলে এতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।