

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এটি ক্যানসারের কারণ। সিনেমা, সিরিয়াল বা একাধিক ওয়েব সিরিজে আজকাল এই কথাটা শোনাই যায়। বিভিন্ন দৃশ্যে মানুষকে সচেতন করতে এই লাইন লিখে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বিজ্ঞাপনও। কিন্তু তা-ও এই বাজারে সিগারেট, বিড়ির চাহিদা কমেনি। লকডাউন দেখেছে কী ভাবে মদের দোকান বন্ধ থাকায় স্যানিটাইজার খেয়ে মৃত্যু ডেকেছে মানুষ। কী ভাবে করোনা সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে মদের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়েছে তারা। মানুষের মদ, গাঁজা, সিগারেট বা অন্যান্য মাদকের প্রতি এই আসক্তিই অল্প বয়সে হার্টের সমস্যাও ডেকে আনছে- বলছে নয়া সমীক্ষা। এই সব নেশায় আশক্ত বেশিরভাগ মানুষ অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক বা একাধিক কার্ডিও ভ্যাসকুলার ডিজিজের শিকার হচ্ছে।


জার্নাল হার্টে প্রকাশিত এই সমীক্ষা বলছে, যাঁরা এগুলোর মধ্যে অন্তত একটি নেশায় আসক্ত, তাঁদের চেয়ে যাঁরা এই সব নেশাগুলিই করেন, তাঁদের অনেক বেশি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে অল্প বয়সে। এই সমীক্ষাটি ১.২ মিলিয়ন মানুষের উপরে করা হয় যাঁরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পান এবং বয়স ৬৫ ও ৫৫-এর নিচে। এক্ষেত্রে ৫৫ বছরের নিচে পুরুষদের থেকে তথ্য নেওয়া হয় ও ৬৫ বছরের নিচে মহিলাদের থেকে তথ্য নেওয়া হয়।সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৩৫,০০০ মানুষের অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা কার্ডিয়াক সমস্যা দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে ৭,৭০০ জনের ৪০ বছরের নিচেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছে।


গবেষকরা দেখেছেন, বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত এই দ্রব্যগুলি প্রিম্যাচিওর হার্ট ডিজিজ ডেকে আনে। যাঁরা ধূমপান করেন বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন, তাঁরা ধূমপান না করা মানুষের থেকে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দুই গুণ এগিয়ে থাকে। আর অ্যালকোহল, কোকেন বা গাঁজার ক্ষেত্রে সব সময়ে হার্ট অ্যাটাক না হলেও বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ দেখাই যায়। এক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে মহিলাদের এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


তবে, এই সমীক্ষায় এটা দেখা হয়নি যে, নেশা ছাড়া অন্য কী ওষুধ একজন খেয়ে থাকে! বিশেষ করে হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য ক্রনিক ডিজিজের জন্য কী ওষুধ খাওয়া হয়, কারণ নেশা ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বা ওষুধের জন্যও কিন্তু হার্টের সমস্যা হতে পারে।