‘স্কিনি ফ্যাট’ ফ্যাটি লিভার হু হু করে বাড়ছে, ঝাঁঝরা হচ্ছে শরীর! আপনিও নেই তো তালিকায়?

Last Updated:
Fatty Liver: এক সময় এই রোগকে অবশ্য ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন এবং মদে আসক্তির ফলাফল বলেই মনে করা হত। কিন্তু আজকাল বাইরে থেকে কাউকে ফিট এবং সুস্থ মনে হলেও তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।
1/8
আজকালকার দেখনদারির যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিম সেলফি এবং ক্লিন ইটিং হ্যাশট্যাগ হামেশাই দেখা যায়। তা থেকে বোঝাই যায় যে, রোগা হওয়া মানেই সুস্বাস্থ্য অধিকারী হওয়া। কিন্তু চিকিৎসকরা এতে যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন! স্বাস্থ্যজনিত সঙ্কটের বিষয়ে সতর্কও করছেন তাঁরা। আসলে নির্মেদ পেট এবং সুন্দর দেহসৌষ্ঠবের পিছনে চোখ রাঙাচ্ছে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
আজকালকার দেখনদারির যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিম সেলফি এবং ক্লিন ইটিং হ্যাশট্যাগ হামেশাই দেখা যায়। তা থেকে বোঝাই যায় যে, রোগা হওয়া মানেই সুস্বাস্থ্য অধিকারী হওয়া। কিন্তু চিকিৎসকরা এতে যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন! স্বাস্থ্যজনিত সঙ্কটের বিষয়ে সতর্কও করছেন তাঁরা। আসলে নির্মেদ পেট এবং সুন্দর দেহসৌষ্ঠবের পিছনে চোখ রাঙাচ্ছে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
advertisement
2/8
এক সময় এই রোগকে অবশ্য ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন এবং মদে আসক্তির ফলাফল বলেই মনে করা হত। কিন্তু আজকাল বাইরে থেকে কাউকে ফিট এবং সুস্থ মনে হলেও তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।
এক সময় এই রোগকে অবশ্য ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন এবং মদে আসক্তির ফলাফল বলেই মনে করা হত। কিন্তু আজকাল বাইরে থেকে কাউকে ফিট এবং সুস্থ মনে হলেও তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।
advertisement
3/8
এরিটি হসপিটালসের মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির বিভাগীয় প্রধান ডা. পবন রেড্ডি থোন্ডাপু ব্যাখ্যা করে বলেন যে, “যাঁদের অতিরিক্ত ওজন কিংবা যাঁরা ওবেসিটিতে আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে আর সেভাবে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দেখা যাচ্ছে না। আর আমরা ক্রমশ দেখছি যে, যাকে আমরা ‘স্কিনি ফ্যাট’ ফেনোটাইপ বলে ডাকি। আসলে যাঁদের বাইরে থেকে রোগা বলে মনে হয়, তাঁদের মধ্যে অনেক সময় উচ্চ পরিমাণে ভিসেরাল ফ্যাট থাকে, বিশেষ করে লিভারের আশপাশে।”
এরিটি হসপিটালসের মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির বিভাগীয় প্রধান ডা. পবন রেড্ডি থোন্ডাপু ব্যাখ্যা করে বলেন যে, “যাঁদের অতিরিক্ত ওজন কিংবা যাঁরা ওবেসিটিতে আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে আর সেভাবে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দেখা যাচ্ছে না। আর আমরা ক্রমশ দেখছি যে, যাকে আমরা ‘স্কিনি ফ্যাট’ ফেনোটাইপ বলে ডাকি। আসলে যাঁদের বাইরে থেকে রোগা বলে মনে হয়, তাঁদের মধ্যে অনেক সময় উচ্চ পরিমাণে ভিসেরাল ফ্যাট থাকে, বিশেষ করে লিভারের আশপাশে।”
advertisement
4/8
এই অবস্থাকে অনেক সময় MONW (Metabolically Obese, Normal Weight) অথবা TOFI (Thin Outside, Fat Inside) নামে বর্ণনা করা হয়। আধুনিক জীবনযাত্রার জেরেই এমনটা হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রসেসড ডায়েট, অতিরিক্ত চিনি সেবন, মধ্য়রাতে খাওয়ার অভ্যাস, বারবার পান করা, ব্রেকফাস্ট না করার সংস্কৃতি ইত্যাদি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
এই অবস্থাকে অনেক সময় MONW (Metabolically Obese, Normal Weight) অথবা TOFI (Thin Outside, Fat Inside) নামে বর্ণনা করা হয়। আধুনিক জীবনযাত্রার জেরেই এমনটা হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রসেসড ডায়েট, অতিরিক্ত চিনি সেবন, মধ্য়রাতে খাওয়ার অভ্যাস, বারবার পান করা, ব্রেকফাস্ট না করার সংস্কৃতি ইত্যাদি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
advertisement
5/8
বেঙ্গালুরুর গ্লেনলিগলস বিজিএস হাসপাতালের এইচপিবি অ্যান্ড জিআই সার্জারি অ্যান্ড মাল্টি-অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সুরেশ রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁরা জিমে যান, তাঁদের বাইরে থেকে সুস্থ বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রচুর হারে ফ্যাটি লিভার দেখা দিচ্ছে। এঁদের দেখে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লাগে। কিন্তু তাঁদের মেটাবলিক প্রোফাইল অন্য কথা বলছে। বিএমআই হল ব্লান্ট টুল। ভিতরে কী হচ্ছে, সেটা প্রকট হবে না।”
বেঙ্গালুরুর গ্লেনলিগলস বিজিএস হাসপাতালের এইচপিবি অ্যান্ড জিআই সার্জারি অ্যান্ড মাল্টি-অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সুরেশ রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁরা জিমে যান, তাঁদের বাইরে থেকে সুস্থ বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রচুর হারে ফ্যাটি লিভার দেখা দিচ্ছে। এঁদের দেখে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লাগে। কিন্তু তাঁদের মেটাবলিক প্রোফাইল অন্য কথা বলছে। বিএমআই হল ব্লান্ট টুল। ভিতরে কী হচ্ছে, সেটা প্রকট হবে না।”
advertisement
6/8
বেঙ্গালুরুর গ্লেনলিগলস বিজিএস হাসপাতালের এইচপিবি অ্যান্ড জিআই সার্জারি অ্যান্ড মাল্টি-অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সুরেশ রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁরা জিমে যান, তাঁদের বাইরে থেকে সুস্থ বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রচুর হারে ফ্যাটি লিভার দেখা দিচ্ছে। এঁদের দেখে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লাগে। কিন্তু তাঁদের মেটাবলিক প্রোফাইল অন্য কথা বলছে। বিএমআই হল ব্লান্ট টুল। ভিতরে কী হচ্ছে, সেটা প্রকট হবে না।”
বেঙ্গালুরুর গ্লেনলিগলস বিজিএস হাসপাতালের এইচপিবি অ্যান্ড জিআই সার্জারি অ্যান্ড মাল্টি-অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সুরেশ রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁরা জিমে যান, তাঁদের বাইরে থেকে সুস্থ বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রচুর হারে ফ্যাটি লিভার দেখা দিচ্ছে। এঁদের দেখে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লাগে। কিন্তু তাঁদের মেটাবলিক প্রোফাইল অন্য কথা বলছে। বিএমআই হল ব্লান্ট টুল। ভিতরে কী হচ্ছে, সেটা প্রকট হবে না।”
advertisement
7/8
ফ্যাট জমাটাই শুধুমাত্র উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং এটি পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলছে। লিভারের মতো অঙ্গের আশপাশে ভিসেরাল ফ্যাট জমলে তার জেরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। এর পাশাপাশি ক্রনিক ইনফ্লেমেশন এবং মেটাবলিক ডিসরাপশন পর্যন্ত হতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই সমস্যা নীরবে হানা দিচ্ছে। তাই ডা. থোন্ডাপু সাবধান করে জানাচ্ছেন যে, “প্রথম পর্যায়ে উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তি এবং অস্বস্তি হয়। তবে ততক্ষণে হয়তো লিভারের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই রুটিন স্ক্রিনিং জরুরি।”
ফ্যাট জমাটাই শুধুমাত্র উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং এটি পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলছে। লিভারের মতো অঙ্গের আশপাশে ভিসেরাল ফ্যাট জমলে তার জেরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। এর পাশাপাশি ক্রনিক ইনফ্লেমেশন এবং মেটাবলিক ডিসরাপশন পর্যন্ত হতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই সমস্যা নীরবে হানা দিচ্ছে। তাই ডা. থোন্ডাপু সাবধান করে জানাচ্ছেন যে, “প্রথম পর্যায়ে উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তি এবং অস্বস্তি হয়। তবে ততক্ষণে হয়তো লিভারের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই রুটিন স্ক্রিনিং জরুরি।”
advertisement
8/8
এর পাশাপাশি জিনগত ফ্যাক্টরও জটিলতার জন্য দায়ী। ডা. রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড অথবা পিসিওএস আছে, তাঁদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হলেও ঝুঁকি থেকেই যায়।” এই সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সাধারণ জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল - ব্যালেন্সড খাবার খাওয়া, নিয়মিত শারীরিক কসরত, ভাল ঘুম। কমাতে হবে মাদকাসক্তি। এতেই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
এর পাশাপাশি জিনগত ফ্যাক্টরও জটিলতার জন্য দায়ী। ডা. রাঘবাইয়া বলেন যে, “যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড অথবা পিসিওএস আছে, তাঁদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হলেও ঝুঁকি থেকেই যায়।” এই সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সাধারণ জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল - ব্যালেন্সড খাবার খাওয়া, নিয়মিত শারীরিক কসরত, ভাল ঘুম। কমাতে হবে মাদকাসক্তি। এতেই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
advertisement
advertisement
advertisement