River Ganga Tourism: নদীর তীরে একাধিক মন্দিরের পাশাপাশি ঐতিহাসিক কু‍‍ঞ্জ! গঙ্গার হাওয়া মেখে শামিল হন মনোরম সান্ধ্য সফরে

Last Updated:
River Ganga Tourism: মনের মতো সান্ধ্য ভ্রমের সেরা ঠিকানা
1/5
অন্নপূর্ণা মন্দির: ১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল রানী রাসমণির কনিষ্ঠ কন্যা জগদম্বা দেবী অন্নপূর্ণা মন্দিরটি ও ঘাট নির্মাণ করেন। তিনি মথুর মোহন বিশ্বাসের সাথে বিবাহিত ছিলেন, যিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী করুণাময়ীয়ের মৃত্যুর পর জগদম্বা দেবীকে বিবাহ করেন। তাদের পুত্র দ্বারিকানাথ বিশ্বাস এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। মন্দিরটি রামকৃষ্ণ ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করেছিলেন।মন্দির চত্বরের ভিতরে একটি নাটমন্দির, ছয়টি শিব মন্দির এবং দুটি নহবতখানা রয়েছে।
১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল রানী রাসমণির কনিষ্ঠ কন্যা জগদম্বা দেবী অন্নপূর্ণা মন্দিরটি ও ঘাট নির্মাণ করেন। তিনি মথুর মোহন বিশ্বাসের সাথে বিবাহিত ছিলেন, যিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী করুণাময়ীয়ের মৃত্যুর পর জগদম্বা দেবীকে বিবাহ করেন। তাদের পুত্র দ্বারিকানাথ বিশ্বাস এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। মন্দিরটি রামকৃষ্ণ ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করেছিলেন।মন্দির চত্বরের ভিতরে একটি নাটমন্দির, ছয়টি শিব মন্দির এবং দুটি নহবতখানা রয়েছে।
advertisement
2/5
ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাট: মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিতে নির্মিত একটি সমাধি, ১২০ ধরণের গোলাপ, অসাধারণ গাছপালা এবং গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি সবুজ বাগান, মনোরম সূর্যাস্ত এবং একটি রোমাঞ্চকর নদীর তীর 'গান্ধী ঘাট প্যাকেজটি আপনাকে ভিড়ের কলকাতা থেকে মুক্ত হয়ে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ব্যারাকপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য যথেষ্ট। ১৯৪৮ সালে (যে বছর জাতির পিতা মারা গিয়েছিলেন) নির্মিত, হুগলি নদীর তীরে স্মৃতিস্তম্ভ এবং রাজ্য বন বিভাগ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা জওহর কুঞ্জের বিস্তৃত বাগান শহরবাসীকে একদিনের জন্য স্বস্তি দিতে পারে। এটি উদ্বোধন করেছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু।
মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিতে নির্মিত একটি সমাধি, ১২০ ধরণের গোলাপ, অসাধারণ গাছপালা এবং গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি সবুজ বাগান, মনোরম সূর্যাস্ত এবং একটি রোমাঞ্চকর নদীর তীর 'গান্ধী ঘাট প্যাকেজটি আপনাকে ভিড়ের কলকাতা থেকে মুক্ত হয়ে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ব্যারাকপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য যথেষ্ট।১৯৪৮ সালে (যে বছর জাতির পিতা মারা গিয়েছিলেন) নির্মিত, হুগলি নদীর তীরে স্মৃতিস্তম্ভ এবং রাজ্য বন বিভাগ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা জওহর কুঞ্জের বিস্তৃত বাগান শহরবাসীকে একদিনের জন্য স্বস্তি দিতে পারে। এটি উদ্বোধন করেছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু।
advertisement
3/5
রাধা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির বা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার খড়দহে অবস্থিত। মন্দিরটি শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর দিব্য পুত্র শ্রী বীরভদ্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বীরভদ্র গোস্বামী ১৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে খড়দহে শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর বাসস্থান কুঞ্জাবতীতে জন্মগ্রহণ করেন। এই মন্দিরের ইতিহাসের সাথে একটি কিংবদন্তি জড়িত। বীরভদ্র গোস্বামী এমন এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন তন্ত্রশাস্ত্র এবং বৌদ্ধধর্ম বাংলায় দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ধর্ম ছিল। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছায়, তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে খড়দহে বৈষ্ণবদের একত্রিত করেছিলেন এবং কুঞ্জাবতীতে সাধনা (পূজা) শুরু করেছিলেন।
রাধা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির বা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার খড়দহে অবস্থিত। মন্দিরটি শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর দিব্য পুত্র শ্রী বীরভদ্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বীরভদ্র গোস্বামী ১৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে খড়দহে শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর বাসস্থান কুঞ্জাবতীতে জন্মগ্রহণ করেন।এই মন্দিরের ইতিহাসের সাথে একটি কিংবদন্তি জড়িত। বীরভদ্র গোস্বামী এমন এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন তন্ত্রশাস্ত্র এবং বৌদ্ধধর্ম বাংলায় দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ধর্ম ছিল। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছায়, তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে খড়দহে বৈষ্ণবদের একত্রিত করেছিলেন এবং কুঞ্জাবতীতে সাধনা (পূজা) শুরু করেছিলেন।
advertisement
4/5
পানিহাটি বারো মন্দির ঘাট : হরিশ চৌধুরী দত্ত রোড, ভবানীপুর, পানিহাটিতে। প্রতিষ্ঠাতা- নবীন চন্দ্র দত্ত, প্রায় ২০০ বছর আগে পিতা হরিশ চন্দ্র দত্তের স্মরণে। ১২টি শিব মন্দির এবং আশেপাশের বাগানে রয়েছে অসংখ্য সুন্দর ভাস্কর্য। ১৯২৪ সালে কলকাতা বন্দর কমিশনার কালনা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গার জরিপের পর এই ঘাটটির কথা উল্লেখ করেন -
হরিশ চৌধুরী দত্ত রোড, ভবানীপুর, পানিহাটিতে। প্রতিষ্ঠাতা- নবীন চন্দ্র দত্ত, প্রায় ২০০ বছর আগে পিতা হরিশ চন্দ্র দত্তের স্মরণে। ১২টি শিব মন্দির এবং আশেপাশের বাগানে রয়েছে অসংখ্য সুন্দর ভাস্কর্য। ১৯২৪ সালে কলকাতা বন্দর কমিশনার কালনা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গার জরিপের পর এই ঘাটটির কথা উল্লেখ করেন - "কালনার নিচে আর কোনও ঘাট এত প্রশস্ত, এত সহজে আরোহণযোগ্য এবং দেখতে এত সুন্দর নয়। সর্বনিম্ন জোয়ারেও এটি কখনও শুকিয়ে যায় না।
advertisement
5/5
মুক্তকেশী কালী মন্দির: আড়িয়াদহের গঙ্গার ধারে শ্মশানের কাছে অবস্থিত মুক্তকেশী কালী মন্দির। উল্ল্যেখ্য চৈতন্যপূর্বযুগের তান্ত্রিক সাধকদের সাধন-ক্ষেত্র ছিল এই আড়িয়াদহ শ্মশান। সমতল ছাদ বিশিষ্ট একটি দালান মন্দির। মন্দিরটি পশ্চিমমুখী, কিন্তু মায়ের গর্ভগৃহ দক্ষিণমুখী। এখানে উল্লেখ্য, মন্দিরের পশ্চিম দিকে হূগলী নদী বহমান। মন্দিরে শান্তিনাথ শিবলিঙ্গও নিত্য পূজিত যিনি মার্তৃ মুর্তির ডান পার্শ্বে বিরাজ করেন। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৪৭ বঙ্গাব্দে। মন্দিরের প্রবেশ-দ্বারের ডানদিকে একটি শ্বেতপাথরের প্রতিষ্ঠাফলক আছে। মন্দিরটি প্রথমে ছিল তালপাতার। স্থানীয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার মন্দিরটির দেখাশোনা করেন। ঠাকুর রামকৃষ্ণ এই মন্দিরে আসতেন। তিনি এসে পুরোহিতের আসনে বসে মাকে পুজোও করেছেন। কথিত আছে, রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মায়ের দাহকার্য এই আড়িয়াদহ শ্মশানে সম্পন্ন হয়। আগে এখানে পাঁঠা বলি হত। এখন চালকুমড়া, আখ, কলা ইত্যাদি বলি দেওয়া হয়। নিত্য পূজা ছাড়াও মন্দিরে জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালী পূজা, কার্তিক মাসে দীপান্বিতা কালী পূজা ও মাঘ মাসে কৃষ্ণা চতুর্থীতে রটন্তী কালী পূজা মহা সমারোহে পালিত হয়ে থাকে। সকল ৭ টা থেকে ১১ টা ও বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মায়ের মন্দির খোলা থাকে। তবে কালীপূজা, দুর্গাপূজা, অক্ষয় তৃতীয়া ও অন্নকূট মহোৎসবে মন্দির সারাদিনই খোলা থাকে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আড়িয়াদহের গঙ্গার ধারে শ্মশানের কাছে অবস্থিত মুক্তকেশী কালী মন্দির। উল্ল্যেখ্য চৈতন্যপূর্বযুগের তান্ত্রিক সাধকদের সাধন-ক্ষেত্র ছিল এই আড়িয়াদহ শ্মশান। সমতল ছাদ বিশিষ্ট একটি দালান মন্দির। মন্দিরটি পশ্চিমমুখী, কিন্তু মায়ের গর্ভগৃহ দক্ষিণমুখী। এখানে উল্লেখ্য, মন্দিরের পশ্চিম দিকে হূগলী নদী বহমান। মন্দিরে শান্তিনাথ শিবলিঙ্গও নিত্য পূজিত যিনি মার্তৃ মুর্তির ডান পার্শ্বে বিরাজ করেন। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৪৭ বঙ্গাব্দে। মন্দিরের প্রবেশ-দ্বারের ডানদিকে একটি শ্বেতপাথরের প্রতিষ্ঠাফলক আছে। মন্দিরটি প্রথমে ছিল তালপাতার। স্থানীয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার মন্দিরটির দেখাশোনা করেন। ঠাকুর রামকৃষ্ণ এই মন্দিরে আসতেন। তিনি এসে পুরোহিতের আসনে বসে মাকে পুজোও করেছেন। কথিত আছে, রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মায়ের দাহকার্য এই আড়িয়াদহ শ্মশানে সম্পন্ন হয়। আগে এখানে পাঁঠা বলি হত। এখন চালকুমড়া, আখ, কলা ইত্যাদি বলি দেওয়া হয়। নিত্য পূজা ছাড়াও মন্দিরে জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালী পূজা, কার্তিক মাসে দীপান্বিতা কালী পূজা ও মাঘ মাসে কৃষ্ণা চতুর্থীতে রটন্তী কালী পূজা মহা সমারোহে পালিত হয়ে থাকে।সকল ৭ টা থেকে ১১ টা ও বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মায়ের মন্দির খোলা থাকে। তবে কালীপূজা, দুর্গাপূজা, অক্ষয় তৃতীয়া ও অন্নকূট মহোৎসবে মন্দির সারাদিনই খোলা থাকে।
advertisement
advertisement
advertisement