ট্রেনে না বাসে? বাজেট সামলে লং উইকএন্ডে ঘুরে আসুন মন্দারমণি, কীভাবে সহজে পৌঁছবেন? জানুন একঝলকে

দিঘার কোলাহল আর ভিড়ে ক্লান্ত অনেক পর্যটক এখন বিকল্প গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন মান্দারমনিকে। যারা শান্ত পরিবেশে সমুদ্রের রূপ উপভোগ করতে চান, তাঁদের কাছে মান্দারমনির নির্জনতা এক স্বর্গসম অনুভূতি এনে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, মান্দারমনি যেতে হলে কোন পথে যাওয়া সুবিধাজনক — বাস না ট্রেন? চলুন, বিস্তারিত জানা যাক দুটি পথেই পৌঁছনোর উপায়। আর কোনটি আপনার জন্য শ্রেয়।

কলকাতা থেকে দিঘা বা কাঁথি রুটে প্রতিদিন অসংখ্য বাস চলাচল করে। যাত্রীরা সহজেই এসব বাসে উঠে কাঁথি পার হয়ে ‘চাউলখোলা’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজে নেমে যেতে পারেন। এখান থেকেই মান্দারমনির হোটেলগুলোর উদ্দেশ্যে অটো বা টোটো পাওয়া যায় সহজেই। মাথাপিছু খরচ মাত্র ৩০ টাকা। কেউ যদি রিজার্ভ নিতে চান, সেক্ষেত্রে খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। চাউলখোলা থেকে মান্দারমনির দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার, তাই এই পথটি তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক এবং সরল।

যারা ট্রেনের যাত্রী, তাঁদের কাঁথি বা রামনগর স্টেশনে নামতে হয়। স্টেশন থেকে মান্দারমনির সরাসরি কোনও পরিবহন না থাকায় প্রথমে যেতে হয় চাউলখোলা বাসস্ট্যান্ডে। এরপর সেখান থেকে অটো বা টোটো ধরে মান্দারমনি পৌঁছাতে হয়। যদিও ট্রেনের যাত্রা আরামদায়ক ও সময়নির্ধারিত, তবে স্টেশন থেকে বারবার গাড়ি পরিবর্তন অনেক পর্যটকের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে।

মান্দারমনির স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সর্বজিৎ সৎপথি বলেন, “প্রথম বার যারা আসছেন, তাঁদের জন্য বাস পথটাই বেশি সুবিধাজনক। বাসে সহজেই চাউলখোলা পৌঁছে অটো বা টোটোতে হোটেল পৌঁছন যায়। অনেকে আবার চালকদের বলে দিলে মান্দারমনির মোড়েই নামিয়ে দেন। ট্রেনে এসে বাহন বদল করতে হয়, সেটা একটু ঝামেলার।”

যদি আপনার নিজের প্রাইভেট গাড়ি থাকে, তাহলে চাউলখোলা বা শৌলা ব্রিজ হয়ে মেরিন ড্রাইভ ধরে মান্দারমনিতে পৌঁছান যায় সরাসরি। রাস্তা খুবই সুন্দর এবং উপভোগ্য। তাই পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িতে গেলে সফর আরও আনন্দময় হয়।

সব দিক বিচার করলে দেখা যায় বাসপথ তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, সহজ এবং সরাসরি। ট্রেনের যাত্রা আরামদায়ক হলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগে এবং গাড়ি বদলের ঝামেলা থাকে। তাই কম খরচে এবং কম ঝামেলায় মান্দারমনির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে বাসপথই পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প।