Parenting Tips: সব সময় ফোনেই ডুবে আছে সন্তান? কোনও কথাই শুনছে না? কী করা উচিত, জেনে নিন
- Published by:Sayani Rana
- news18 bangla
Last Updated:
বাচ্চাদের বড় করার ধরন আগে যে রকম ছিল, তা সময়ের সঙ্গে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বাচ্চাদের বড় করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের যেমন নানা সুবিধা হয়েছে, পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অনেক অসুবিধাও। আধুনিক গ্যাজেটগুলির সুবিধা ও বিপদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকাটা খুব প্রয়োজন।
advertisement
বর্তমানে বাচ্চাদের স্ক্রিন টাইম অনেক বেড়ে গিয়েছে, অর্থাৎ ফোন নিয়ে অনেকটা সময় কাটাচ্ছে তারা। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব দরকার। বর্তমান সময়ে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি শিশুদের দক্ষ করে তোলা, তাদের মূল্যবোধ গড়ে তোলাও জরুরি। যাতে তারা শিক্ষাগত এবং সামাজিকভাবে উন্নত হতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদেরও সঙ্গে খোলা মনের, সহানুভূতিশীল হয়ে সন্তানদের সব কথা শুনে তাদের শেখানোর প্রয়োজন। সে রকম কয়েকটি টিপস রইল।
advertisement
advertisement
advertisement
স্বাধীনতা দেওয়া: আপনার সন্তানকে কিছুটা তার মতোও থাকতে দিন। সবটাই বাধা দেওয়া ঠিক না। তাকে ভাল-মন্দের বিচার করতে দিন। তাকে ভাবতে দিন। তাতে সে সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে। দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ দিন। যাতে সে নিজেকে পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে ভাববে, পাশাপাশি দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে। তাদের আত্মমর্যাদা বোধ গড়ে উঠবে।
advertisement
কথা শোনার অভ্যাস করুন: যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথোপকথন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় নিজেদের কথা বলার পরিবর্তে, সন্তান কী বলছে, তা শুনুন। হতে পারে তা আপনার কাছে খুব সামান্য ব্যাপার কিন্তু এটা তার কাছে খুব বড় বিষয়। তাই পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনে, তাদের অনুভূতি এবং উদ্বেগগুলি বোঝার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি আপনার প্রতিক্রিয়াও জানান তাকে।
advertisement
বাড়ির সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা: বাচ্ছার বড় হবার জন্য সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ থাকা খুব প্রয়োজন। তা শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে। তাঁদের আগামী জীবন কী রকম হবে, তা অনেকটা নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশের উপর। তাদের জন্য নিরাপদ, ভাল, শান্ত পরিবেশ থাকা দরকার। জীবনে একটা রুটিন থাকবে কিন্তু তাতে খুব কঠোরতা থাকলে চলবে না। মা-বাবাদের কথা ও কাজের মাধ্যমে স্নেহ এবং সমর্থন প্রদর্শন করতে হবে।
advertisement
advertisement
নিজের যত্ন নেওয়া: অভিভাবকত্ব চাপ অনেক। সময় সময় তা ক্লান্তিকরও হতে পারে। শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবে নিজের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং নিজের যত্ন নেওয়া সর্বোপরি নিজেকে সময় দেওয়া। যা আপনাকে নতুন উদ্যম ও উৎসাহ দেবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)