২০৫০ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে দেখা দেবে ওবেসিটি! আক্রান্ত হবে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ, দাবি সমীক্ষায়
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
সেই সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যার আনুমানিক হিসাবের নিরিখে এ হেন ওবিস মানুষের সংখ্যা হবে ১.৫ বিলিয়ন!
একেবারে সঠিক ভাবে বললে পরিসংখ্যানটা ৪ বিলিয়ন! পটসডাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ এবং তার তরফে সমীক্ষার প্রধান গবেষক তথা সমীক্ষাপত্রের লেখক বেঞ্জামিন বডার্স্কি সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের ওজন যাবে অস্বাভাবিক রকমের বেড়ে! ঘরে ঘরে দেখা দেবে ওবেসিটি। সেই সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যার আনুমানিক হিসাবের নিরিখে এ হেন ওবিস মানুষের সংখ্যা হবে ১.৫ বিলিয়ন! কিন্তু কেন?
advertisement
নেচার সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ প্রকাশিত হওয়া এই সমীক্ষাপত্রে বডার্স্কি এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেছেন সেই ১৯৬৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষের ক্রমশ বদলে যেতে থাকা খাদ্যাভ্যাসকে। তিনি জানিয়েছেন যে মানুষ ক্রমশ শস্যভিত্তিক খাবার থেকে প্রাণিজ উপাদানে সমৃদ্ধ খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আর এর ফলে খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনীয় সবক'টি বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে না। প্রাণিজ প্রোটিনের মাত্রা যাচ্ছে বেড়ে, সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট আর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। যা ক্রমাণ্বয়ে শরীরে জমিয়ে তুলছে বাড়তি মেদ!
advertisement
বডার্স্কি বলছেন যে এই অবস্থা থেকে নিষ্কৃতির উপায়ও আপাতত চোখে পড়ছে না। কেন, সে প্রসঙ্গে তিনি বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রকাশিত ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশনের এক রিপোর্টকে তুলে ধরেছেন। সংস্থার সেই রিপোর্ট বলছে যে আপাতত সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯টি প্রজাতির উদ্ভিদ ফসলের জোগান দেয়। এদের থেকে যে শস্য পাওয়া যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৬৬ শতাংশ! স্বাভাবিক, ফলনই যদি কম হয়, মানুষ তো অন্য খাদ্য-উপাদানের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়বেই!
advertisement
এই জায়গায় এসে একটা প্রশ্ন ওঠে। বডার্স্কির কথা মেনে নিলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়টা কি কেবল নির্দিষ্ট এক শ্রেণীতেই সীমাবদ্ধ থাকে না? সবাই তো আর আমিষ আহার পছন্দ করেন না! প্রতি-যুক্তি হিসেবে বডার্স্কির হাতিয়ার সেই বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রকাশিত ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশনের এক রিপোর্ট! যা জানিয়েছিল যে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই না খেতে পেয়ে মারা যাবে, কেন না এক দিকে যেমন অনেকেরই খাবার কেনার সামর্থ্য নেই, তেমনই অনেকে প্রচুর পরিমাণে খাবার নষ্টও করে চলেছেন প্রতি দিন! দুইয়ে মিলে এই যে বার বার উঠে আসছে ২০৫০ সালের কথা, তা নিঃসন্দেহেই স্বস্তিতে থাকতে দেয় না!