Medicine Fraud India: এক মাথা ব্যাথার ৪ ঔষুধের চার দাম, কেন! বাজার ভরেছে নকল ঔষুধে, কীভাবে চিনবেন? এখনই জানুন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- local18
Last Updated:
Medicine Fraud India: একই রোগের জন্য তৈরি বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের দাম কেন আলাদা? এর পেছনে আছে কোম্পানির নির্ধারিত এমআরপি, সরকারের প্রকৃত নীতির অভাব এবং নকল ওষুধের গোপন কারসাজি। জানুন এই বিশেষ প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞের মুখে আসল কারণ...
ভারতের বাজারে একাধিক কোম্পানি মাথাব্যথা বা অন্যান্য অসুস্থতার জন্য ওষুধ তৈরি করে, কিন্তু সেসব ওষুধের দাম আলাদা হয় কেন? রোগ যখন এক, তখন দামই বা ভিন্ন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়েছে দিল্লির ভাগীরথ প্যালেসের ‘ড্রাগ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক আশীষ গ্রোভার-এর সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে।
advertisement
সাধারণ ওষুধ, কিন্তু আলাদা দাম কেন? ভারতের মতো দেশে ঋতু পরিবর্তনের কারণে বা ভাইরাল সংক্রমণের কারণে প্রায়শই সাধারণ রোগ দেখা যায়। মানুষ নিজের মতো করে মেডিসিন খেয়েই বেশিরভাগ সময় সেরে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে মাথাব্যথা বা ঠান্ডার মতো রোগের ওষুধ বহুল প্রচলিত। কিন্তু কোম্পানি ভেদে এই ওষুধের দামে পার্থক্য দেখা যায়।
advertisement
নকল ওষুধের প্রভাব বাড়ছে সম্প্রতি ভারতীয় মেডিসিন মার্কেটে নকল ওষুধের প্রবেশ বাড়ছে। পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু কোভিড বা অন্যান্য মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়লে নকল ওষুধের ব্যবসা আবার জোর পায়। এ বিষয়ে আশীষ গ্রোভার বলেন, এই প্রবণতা রুখতে প্রক্রিয়া কঠোর করতে হবে।
advertisement
ওষুধের দাম নির্ধারণ করে কে? আশীষ গ্রোভার জানান, তিনি একজন হোলসেল ব্যবসায়ী এবং এশিয়ার বৃহত্তম ওষুধ বাজারে কাজ করেন। তার বক্তব্য, কোনও ব্যবসায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে পারেন না। কোম্পানিগুলিই MRP ঠিক করে ওষুধ বাজারে ছাড়ে। ফলে দাম এক করতে হলে সরকারকে নীতি নির্ধারণ করতে হবে অথবা সব কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
advertisement
মাথাব্যথার ওষুধেই ভিন্ন ভিন্ন দাম তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বড় বড় কোম্পানির তৈরি মাথাব্যথার ওষুধগুলির দাম এক নয়। কারণ MRP কোম্পানিই নির্ধারণ করে। তাই ব্যবসায়ীরা চাইলেও দাম এক করতে পারেন না। এটি সরকারের হাতে থাকা একটি নীতিগত বিষয়।
advertisement
নকল ওষুধ ধরা পড়ে কীভাবে? আশীষ বলেন, নকল ওষুধ খুব কম দামে বাজারে বিক্রি হলে তখনই সন্দেহ হয়। তখন ব্যবসায়ীরা ড্রাগ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন। এরপর ডিপার্টমেন্ট নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্ট করায় এবং তখন প্রমাণিত হয় ওষুধ নকল কিনা।
advertisement
সব সস্তা ওষুধ নকল নয় তাঁর মতে, সব সময় যে সস্তা ওষুধ মানেই নকল—তা নয়। কখনও সরকারি কোনও বিভাগ থেকে ওষুধ কিনে সেটাই বাজারে চোরাপথে চলে যেতে পারে এবং সস্তা দামে বিক্রি হতে পারে। এই ঘটনাও সন্দেহজনক।
advertisement
হঠাৎ করে দাম বাড়া সম্ভব নয়: কোভিডের সময় বাজারে কোনও বিশেষ ওষুধের চাহিদা বা দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কথা নয় বলে জানান আশীষ। যদি কোনও ওষুধের দাম আচমকা বাড়ে, তাহলে গ্রাহকদের উচিত ড্রাগ ডিপার্টমেন্টে বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে অভিযোগ জানানো।
advertisement
গ্রাহক সচেতনতা জরুরি এই পরিস্থিতিতে আশীষ গ্রোভার স্পষ্ট বলেন, বাজারে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে রোগী বা সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে এবং অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দফতরে জানাতে হবে।
advertisement