Food causing Liver Damage: ‘চরম বিষাক্ত’! কয়েক ফোঁটা পেটে গেলেই পচবে লিভার! হবে ফ্যাটি লিভার! এখনই সতর্ক হয়ে যান

লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা হজম, বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ এবং শক্তি সঞ্চয়ের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত, খারাপ খাদ্যাভ্যাসকে লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু, আপনি কি জানেন যে খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও, আরও কিছু কারণ রয়েছে যা আপনার লিভারের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে? তবে, আজও অনেকেই তাদের খারাপ অভ্যাস এবং লিভারের ক্ষতি করে এমন কারণগুলির দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না, যা তাদের বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। আসুন জেনে নিই সেই প্রধান কারণগুলি এবং লিভারকে সুস্থ রাখার উপায়গুলি সম্পর্কে। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷

অতিরিক্ত এবং নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে প্রদাহ, ফ্যাটি লিভার এবং সিরোসিসের মতো গুরুতর লিভারের অবস্থা দেখা দিতে পারে। আপনার অ্যালকোহল গ্রহণ কমিয়ে দিন অথবা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।

অপর্যাপ্ত ঘুম লিভারের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের অভাব লিভারের প্রদাহ এবং বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করার ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ভাল ঘুম পান।

দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। স্ট্রেস হরমোন লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা এর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং যোগব্যায়াম করুন। ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিকের মতো নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারের ক্ষতি করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া।

যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে বিষাক্ত কীটনাশক বা শিল্প রাসায়নিকের মতো বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে থাকেন, তাহলে এটি লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই রাসায়নিকগুলি এড়াতে, নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

স্থূলতা এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ফ্যাটি লিভারের মতো লিভারের রোগের কারণ হতে পারে। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং একটি সুস্থ জীবনধারা গ্রহণ করুন।

পর্যাপ্ত জল পান করলে লিভার পরিষ্কার হয় এবং টক্সিন বের হয়ে যায়। ফল, শাকসবজি, গ্রিন টি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

লিভারের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে, সময়ে সময়ে ডাক্তারের দ্বারা পরীক্ষা করান। সিগারেটে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন৷

খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও, অনেক কারণ লিভারের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যালকোহল, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা আপনার লিভারের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শনাক্ত করে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আপনি আপনার লিভারকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে পারেন।