Liver Disease: বিষক্রিয়া নিংড়ে সাফ! জীবনে পচবে না লিভার! ব্লাড সুগার, বদহজম, মুখের দুর্গন্ধকে জব্দ করতে খান জাস্ট ২ টো পাতা!

নিমপাতা ভারতীয় সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ, সুস্বাস্থ্যের জন্য নিম পাতা চিবানো থেকে শুরু করে আলমারিতে রাখা, নিরাময় ও স্বাস্থ্যের জন্য চা ব্যবহার করা পর্যন্ত, এই শক্তিশালী পাতাগুলি পুষ্টিতে ভরপুর, যে কারণে এটি আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে, কোমল নিমপাতা তাদের ঔষধি গুণাবলীর জন্য পরিচিত যা এই পাতাগুলিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

নিম লিভারের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে, এর বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। উন্নত বিপাক, উজ্জ্বল ত্বক এবং সামগ্রিক শক্তির স্তরের জন্য, বিশেষ করে তীব্র গ্রীষ্মের মাসগুলিতে, একটি সুস্থ লিভার অত্যাবশ্যক। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷

নিম খাওয়ার সরাসরি স্বাস্থ্য উপকারিতা না থাকলেও, এর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার আপনাকে মশার মতো পোকামাকড়ের প্রতি কম আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। নিম শরীরের গন্ধকে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন করে যা প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় তাড়াতে পারে, যা মশা-প্রবণ গ্রীষ্মে একটি বোনাস।

আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় চিকিৎসায়, কোমল নিমপাতাকে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে এগুলি খাওয়ার আদর্শ সময়, কারণ শরীরে ঋতু পরিবর্তনের ফলে তাপজনিত অসুস্থতা, সংক্রমণ এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। নিম, যা তার শীতলতা এবং বিষমুক্তকরণ বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, আগামী গরমের মাসগুলির জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। নিম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

নিমপাতা রক্তকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে, ত্বকের ফুসকুড়ি, ব্রণ এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন দূষিত পদার্থ দূর করে। সকালে খালি পেটে কয়েকটি কোমল পাতা রক্তপ্রবাহকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে এবং গ্রীষ্মের ব্রেকআউট প্রতিরোধ করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

গ্রীষ্মকালে ত্বকের সমস্যা যেমন ফুসকুড়ি, ফোঁড়া এবং চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, কোমল নিম পাতা ভেজানো একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। এর প্রদাহ-বিরোধী এবং জীবাণু-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বককে তাপ-প্ররোচিত জ্বালা থেকে প্রশমিত এবং রক্ষা করতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মের শুরুর দিকের তাপ হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। নিম পাচক এনজাইমের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি অন্ত্রের কৃমির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

নিমপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধকারী ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। অল্প পরিমাণে নিয়মিত নিম পাতা গ্রহণ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চিনির বৃদ্ধি কমায়।

কোমল নিম পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে, মুখের দুর্গন্ধ কমায় এবং মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে মুখের স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই কারণে অনেক ঐতিহ্যবাহী টুথপেস্ট এবং পাউডার নিম-ভিত্তিক।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, গ্রীষ্ম শরীরে অতিরিক্ত পিত্ত (তাপ শক্তি) নিয়ে আসে। নিমের শীতল প্রকৃতি শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘাম এবং তাপ ফোঁড়ার মতো লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করে।