Lemon-Chilli Astro Tips: দোকান-গাড়িতে কেন ঝোলানো হয় লেবু-লঙ্কা? নজর লাগার ভয় না কি অন্য কিছু? আসল কারণ জানুন জ্যোতিষীর কাছ থেকে!

Last Updated:
Lemon-Chilli Astro Tips: মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডওয়ার মতো শহরে এই রীতি এখনও মেনে চলা হয়। এটা শুধুই কুসংস্কার নয়। এটা আসলে বিশ্বাস, পরম্পরা, মনস্তত্ত্ব এমনকী বিজ্ঞানের মেলবন্ধন।
1/7
আমরা হামেশাই লক্ষ্য করে থাকি যে, মুদির দোকান-সহ বিভিন্ন দোকান, অটো-ট্যাক্সি এমনকী নতুন বুটিকেও লেবু-লঙ্কা ঝোলানো থাকে। তার জন্য একটি পাতিলেবুকে সুতোয় গাঁথা হয়। আর তাঁর উপরে-নীচে গেঁথে দেওয়া হয় সাতটি কাঁচা লঙ্কা। কিন্তু এর পিছনে থাকা কারণটার কথা কি কখনও আমরা তলিয়ে ভেবে দেখেছি?
আমরা হামেশাই লক্ষ্য করে থাকি যে, মুদির দোকান-সহ বিভিন্ন দোকান, অটো-ট্যাক্সি এমনকী নতুন বুটিকেও লেবু-লঙ্কা ঝোলানো থাকে। তার জন্য একটি পাতিলেবুকে সুতোয় গাঁথা হয়। আর তাঁর উপরে-নীচে গেঁথে দেওয়া হয় সাতটি কাঁচা লঙ্কা। কিন্তু এর পিছনে থাকা কারণটার কথা কি কখনও আমরা তলিয়ে ভেবে দেখেছি?
advertisement
2/7
মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডওয়ার মতো শহরে এই রীতি এখনও মেনে চলা হয়। এটা শুধুই কুসংস্কার নয়। এটা আসলে বিশ্বাস, পরম্পরা, মনস্তত্ত্ব এমনকী বিজ্ঞানের মেলবন্ধন। খাণ্ডওয়ার মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত ভরত শর্মা নিজেও প্রায় এক দশক ধরে এই রীতি পালনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডওয়ার মতো শহরে এই রীতি এখনও মেনে চলা হয়। এটা শুধুই কুসংস্কার নয়। এটা আসলে বিশ্বাস, পরম্পরা, মনস্তত্ত্ব এমনকী বিজ্ঞানের মেলবন্ধন। খাণ্ডওয়ার মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত ভরত শর্মা নিজেও প্রায় এক দশক ধরে এই রীতি পালনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
advertisement
3/7
তাঁর কথায়, এই রীতি পালন করা হলে দরিদ্রের দেবী অলক্ষ্মী দূর হন। আসলে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী লক্ষ্মীর দিদি তিনি। আর দেবী অলক্ষ্মীর কারণেই আসে নেতিবাচকতা। তাই দরজার বাইরে লেবু-লঙ্কা ঝোলালে সেই গৃহে প্রবেশ করতে পারেন না তিনি।
তাঁর কথায়, এই রীতি পালন করা হলে দরিদ্রের দেবী অলক্ষ্মী দূর হন। আসলে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী লক্ষ্মীর দিদি তিনি। আর দেবী অলক্ষ্মীর কারণেই আসে নেতিবাচকতা। তাই দরজার বাইরে লেবু-লঙ্কা ঝোলালে সেই গৃহে প্রবেশ করতে পারেন না তিনি।
advertisement
4/7
শুধুমাত্র রীতিই নয়, এটা ব্যবসায়িক অভ্যাসও বটে!অম্বিকা প্লাজায় দোকান চালান মায়াঙ্ক কাপুর এবং হরিওম প্যাটেলের মতো ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, এটা কোনও ভুলে যাওয়া রীতি নয়। বরং শনিবার সকালের একটা রীতি। প্রত্যেক সপ্তাহেই আমরা লেবু-লঙ্কা ঝোলানো ওই সুতোটা বদলে দিই। এটা মনে শান্তি আনে।
শুধুমাত্র রীতিই নয়, এটা ব্যবসায়িক অভ্যাসও বটে!
অম্বিকা প্লাজায় দোকান চালান মায়াঙ্ক কাপুর এবং হরিওম প্যাটেলের মতো ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, এটা কোনও ভুলে যাওয়া রীতি নয়। বরং শনিবার সকালের একটা রীতি। প্রত্যেক সপ্তাহেই আমরা লেবু-লঙ্কা ঝোলানো ওই সুতোটা বদলে দিই। এটা মনে শান্তি আনে।
advertisement
5/7
আর আমাদের ব্যবসাও মসৃণ ভাবে চলে। অর্থাৎ ওই ব্যবসায়ীরা ভয় থেকে এটা করছেন, এমনটা একেবারেই নয়। বরং মানসিক স্বচ্ছতা, শান্তি এবং ইতিবাচকতা আনার জন্যই তাঁরা এই রীতি পালন করে আসছেন। এটা একটা সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। রাতের বেলায় দোকানের শাটার লক করার মতোই সুরক্ষা প্রদান করে এই লেবু-লঙ্কা।
আর আমাদের ব্যবসাও মসৃণ ভাবে চলে। অর্থাৎ ওই ব্যবসায়ীরা ভয় থেকে এটা করছেন, এমনটা একেবারেই নয়। বরং মানসিক স্বচ্ছতা, শান্তি এবং ইতিবাচকতা আনার জন্যই তাঁরা এই রীতি পালন করে আসছেন। এটা একটা সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। রাতের বেলায় দোকানের শাটার লক করার মতোই সুরক্ষা প্রদান করে এই লেবু-লঙ্কা।
advertisement
6/7
এর পিছনে অল্প-বিস্তর বিজ্ঞানও রয়েছে:এই পরম্পরার পিছনে কিছু যুক্তিও রয়েছে। লেবু আর লঙ্কা অ্যাসিড-ধর্মী। তাই লেবু আর লঙ্কা গেঁথে খোলা হাওয়ায় ঝুলিয়ে রাখা হলে তা থেকে ধীরে ধীরে রস নির্গত হতে থাকে। এটি প্রাকৃতিক ইনসেক্ট রিপেলেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে এই লেবু-লঙ্কা মাছি, মশা এমনকী কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করে। যখন ভারতে মসক্যুইটো-কয়েল ব্যবহার করা হত না, তখন এই লেবু-লঙ্কাই কিন্তু মশা-মাছির উপদ্রবের হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করতো।
এর পিছনে অল্প-বিস্তর বিজ্ঞানও রয়েছে:
এই পরম্পরার পিছনে কিছু যুক্তিও রয়েছে। লেবু আর লঙ্কা অ্যাসিড-ধর্মী। তাই লেবু আর লঙ্কা গেঁথে খোলা হাওয়ায় ঝুলিয়ে রাখা হলে তা থেকে ধীরে ধীরে রস নির্গত হতে থাকে। এটি প্রাকৃতিক ইনসেক্ট রিপেলেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে এই লেবু-লঙ্কা মাছি, মশা এমনকী কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করে। যখন ভারতে মসক্যুইটো-কয়েল ব্যবহার করা হত না, তখন এই লেবু-লঙ্কাই কিন্তু মশা-মাছির উপদ্রবের হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করতো।
advertisement
7/7
বিশ্বাস, কর্ম, না কি লোকগাথা?এটা কি কুসংস্কার না কি ছোটখাটো জ্ঞান, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে? হয়তো উভয়ই। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ভারতীয় প্রাচীনকালের এই রীতি মেনে আসছেন। এটি শান্তি-স্বস্তি, সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং আশার এক মেলবন্ধন হয়ে রয়েছে।
বিশ্বাস, কর্ম, না কি লোকগাথা?
এটা কি কুসংস্কার না কি ছোটখাটো জ্ঞান, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে? হয়তো উভয়ই। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ভারতীয় প্রাচীনকালের এই রীতি মেনে আসছেন। এটি শান্তি-স্বস্তি, সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং আশার এক মেলবন্ধন হয়ে রয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement