Mental Health Support: ‘সম্পর্কজনিত সমস্যা’য় ভুগছে কলকাতার তরুণ প্রজন্ম, Mpower-এর রিপোর্টে শহরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ

জেট যুগে সবাই যেন ছুটছে। ব্যস্ততা বেড়েছে শতগুণ। প্রিয়জনের সঙ্গে বসে দু’দণ্ড কথা বলার ফুরসতও নেই। এর প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে, এমনকী সম্পর্কেও। অনেকেই একাকীত্বে ভুগছেন। সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ছে। একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে আদিত্য বিড়লা এডুকেশন ট্রাস্টের ইউনিট ‘Mpower’।

নবম বার্ষিকীতে ১ লাখ ফোন কলের উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সংস্থা। তাতেই উঠে এসেছে ভারতীয়দের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগের নানা দিক। দেশের বিভিন্ন শহরের মানুষ ফোন করে সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শ নেয়। কলের পরিমাণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা। Representative Image

তিলোত্তমার ৫২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ শতাংশ মহিলা মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ নিয়ে Mpower-কে ফোন করেছেন। পরামর্শ নিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যেমন কলকাতাবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং পরামর্শ গ্রহণে বাড়তি আগ্রহের দিকেও ইঙ্গিত করে। Representative Image

রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কলকাতাবাসীর ফোন কলের ৪৫ শতাংশই সম্পর্কজনিত সমস্যা নিয়ে। যা জাতীয় গড় ৩৩ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এরপরই রয়েছে উদ্বেগ (২৪ শতাংশ), বিষন্নতা (১৭ শতাংশ) এবং চাপ (১১ শতাংশ)। পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, কলকাতাবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। আর এর অধিকাংশই ব্যক্তিগত। Representative Image

দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। হেল্পলাইনে যত ফোন কল গিয়েছে তার মধ্যে ৪৯ শতাংশই তরুণ। বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ফোন কলের পরিমাণ ৩৬ শতাংশ। Representative Image

দেশের প্রেক্ষাপটে দেখলে, ‘উদ্বেগ’ রয়েছে প্রথম স্থানে। সেখানে কলকাতায় ‘সম্পর্কজনিত সমস্যা’। পারিবারিক সম্পর্ক এবং সামাজিক চাপের মতো ফ্যাক্টরগুলো এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। Representative Image

কলকাতার শরৎ বোস রোডের Mpower সেন্টারের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রধান ডা. প্রীতি পারেখ বলছেন, “কলকাতার বাসিন্দাদের মধ্যে, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সম্পর্কজনিত সমস্যা বেশি থাকা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।” এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। প্রীতি বলেন, “তরুণরা জটিল সামাজিক, মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নিজের পরিচয় তৈরি, কেরিয়ারের চাপ, সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছে। আর তা প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তাঁদের সঠিক সহায়তা দেওয়া জরুরি। যাতে তরুণ প্রজন্ম সুস্থ মানসিক স্থিতিতে বেড়ে উঠতে পারে।” Representative Image