Knowledge Story: আমাদের শরীরের পাহারাদার কোন অংশটি? নাম শুনলেই অবাক হয়ে যাবেন! জানেন না অনেকেই

শ্বেত রক্তকণিকা আমাদের শরীরের পাহারাদারের মতো কাজ করে থাকে। এটি আমাদেরকে বাইরের জীবাণু থেকে রোগমুক্ত করতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।

শ্বেতরক্তকণিকার গঠন ও আকার পরিবর্তিনশীল। RBC-এর তুলনায় বড়, সাধারণত গোলাকার। এদের নিউক্লিয়াস বর্ণহীন, স্বচ্ছ ও বিভিন্ন আকৃতিযুক্ত।

গ্রানুলোসাইট-লাল অস্থিমজ্জার মেগাক্যারিওসাইট কোশ এবং আগ্র্যানুলোসাইট—প্লিহা, লসিকাগ্রন্থি, টনসিল, থাইমাস ইত্যাদি। WBC তৈরির পদ্ধতিকে লিউকোপোয়েসিস বলে। WBC-দের আয়ু ১-১৫ দিন। এর পর এগুলি ভাঙে বা ধ্বংস হয়।

পরিণত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে WBC-এর সংখ্যা 6000–8000। কখনও-কখনও এই সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে হ্রাস পায়, একে লিউকোপেনিয়া বলে। সংক্রমণের ফলে WBC-এর সংখ্যা বেড়ে 20000-30000 হলে তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে।

WBC অতন্দ্রপ্রহরীরূপে দেহকে রোগ জীবাণুর থেকে রক্ষা করে। বেসোফিল তঞ্জনরোধী বস্তু হেপারিন ক্ষরণ করে রক্তবাহের ভেতর রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে রক্তের তারল্য বজায় থাকে।

হিস্টামিন দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। দেহের যেখানে হিস্টামিন তৈরি হয় ওই জায়গায় ইওসিনোফিল জড়ো হয়ে অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি যৌগ গঠন করে হিস্টামিনকে নিষ্ক্রিয় করে এবং দেহকে অ্যালার্জি মুক্ত করে।

কোনও ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু রক্তে প্রবেশ করলে নিউট্রোফিল ও মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট গামা-গ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে রোগ প্রতিরোধ করে।