Kidney: 'কিডনি' ভাল রাখতে কম 'পটাশিয়াম' খেতে হবে, 'কিডনি'র অসুখে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার কি খাওয়া যায়? পড়ুন

Last Updated:
কিডনি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। পাশাপাশি, শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনিতে সমস্যা থাকলে রোজের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার উপর নজর রাখতে হবে
1/15
কিডনি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। পাশাপাশি, শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনিতে সমস্যা থাকলে রোজের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার উপর নজর রাখতে হবে।
কিডনি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। পাশাপাশি, শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনিতে সমস্যা থাকলে রোজের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার উপর নজর রাখতে হবে।
advertisement
2/15
শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন এমন খাবার খেতে হবে, যার মাধ্যমে ২০০ মিলিগ্রামের কম পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করে। কিডনির অসুখে কি দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যায়? যা বলছে গবেষণা--
শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন এমন খাবার খেতে হবে, যার মাধ্যমে ২০০ মিলিগ্রামের কম পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করে। কিডনির অসুখে কি দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যায়? যা বলছে গবেষণা--
advertisement
3/15
দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান থাকে। পাশাপাশি দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। ১ কাপ অর্থাৎ ২৪০ মিলিলিটার দুধে থাকে ২০৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৩২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান থাকে। পাশাপাশি দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। ১ কাপ অর্থাৎ ২৪০ মিলিলিটার দুধে থাকে ২০৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৩২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
advertisement
4/15
হাড় শক্ত করতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে বলা হয়। কিন্তু কিডনির অসুখে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রায় ফসফরাস এবং কিডনির অসুখে বেশি মাত্রায় ফসফরাস শরীরে ঢুকলে রক্তে ফসফরাস জমা হয় যা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শোষন করে নেয়। ফলে হাড় শক্ত হওয়ার পরিবর্ত হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
হাড় শক্ত করতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে বলা হয়। কিন্তু কিডনির অসুখে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রায় ফসফরাস এবং কিডনির অসুখে বেশি মাত্রায় ফসফরাস শরীরে ঢুকলে রক্তে ফসফরাস জমা হয় যা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শোষন করে নেয়। ফলে হাড় শক্ত হওয়ার পরিবর্ত হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
advertisement
5/15
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে। এক কাপ (২৪০ মিলিলিটার) দুধে থাকে ৮ গ্রাম প্রোটিন। কিডনির অসুখে বেশি প্রোটিন খেলে রক্তে প্রোটিন বর্জ্য জমা হয়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে। এক কাপ (২৪০ মিলিলিটার) দুধে থাকে ৮ গ্রাম প্রোটিন। কিডনির অসুখে বেশি প্রোটিন খেলে রক্তে প্রোটিন বর্জ্য জমা হয়।
advertisement
6/15
কিডনির অসুখে দুধের বিকল্প হিসাবে খান রাইস মিল্ক, সোয়া মিল্ক, কাঠবাদামের দুধ। এতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ অনেক কম। কিডনির অসুখে আর কোন কোন খাবার খাওয়া চলবে না?
কিডনির অসুখে দুধের বিকল্প হিসাবে খান রাইস মিল্ক, সোয়া মিল্ক, কাঠবাদামের দুধ। এতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ অনেক কম। কিডনির অসুখে আর কোন কোন খাবার খাওয়া চলবে না?
advertisement
7/15
হোল হুইট পাউরুটি-- এমনিতে পুষ্টিবিদরা সাদা পাউরুটির পরিবর্তে হোল হুইট পাউরুটি খেতেই বলেন। কারণ এই পাউরুটিতে ফাইবার অনেক বেশি। কিন্তু কিডনির অসুখে আক্রান্ত হলে সাদা পাউরুটি খান। কারণ হোল হুইট পাউরুটিতে ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। ৩৬ গ্রাম বা এক স্লাইস হোল হুইট পাউরুটিতে থাকে ৯০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। অন্যদিকে, ২৮ গ্রাম বা এক স্লাইস সাদা পাউরুটিতে থাকে ৩২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ফসফরাস।
হোল হুইট পাউরুটি-- এমনিতে পুষ্টিবিদরা সাদা পাউরুটির পরিবর্তে হোল হুইট পাউরুটি খেতেই বলেন। কারণ এই পাউরুটিতে ফাইবার অনেক বেশি। কিন্তু কিডনির অসুখে আক্রান্ত হলে সাদা পাউরুটি খান। কারণ হোল হুইট পাউরুটিতে ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। ৩৬ গ্রাম বা এক স্লাইস হোল হুইট পাউরুটিতে থাকে ৯০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। অন্যদিকে, ২৮ গ্রাম বা এক স্লাইস সাদা পাউরুটিতে থাকে ৩২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ফসফরাস।
advertisement
8/15
কলা– কলা পটাশিয়ামে ভরপুর। মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। তাই কিডনির অসুখে কলা খাবেন না।
কলা– কলা পটাশিয়ামে ভরপুর। মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। তাই কিডনির অসুখে কলা খাবেন না।
advertisement
9/15
আলু– একটি মাঝারি মাপের সেদ্ধ আলুতে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১২ শতাংশ। কাজেই, কিডনির অসুখে আলু খাবেন না।
আলু– একটি মাঝারি মাপের সেদ্ধ আলুতে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১২ শতাংশ। কাজেই, কিডনির অসুখে আলু খাবেন না।
advertisement
10/15
মিষ্টি আলু– ১ কাপ বা ৩২৮ গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৬ শতাংশ।
মিষ্টি আলু– ১ কাপ বা ৩২৮ গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৬ শতাংশ।
advertisement
11/15
পালং শাক– কিডনির অসুখে পালং সাক নৈব নৈব চ! ৩ কাপ বা ৯০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১১ শতাংশ। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়াম।
পালং শাক– কিডনির অসুখে পালং সাক নৈব নৈব চ! ৩ কাপ বা ৯০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১১ শতাংশ। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়াম।
advertisement
12/15
তরমুজ– ২ টুকরো বা ৫৭২ গ্রাম তরমুজে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৪ শতাংশ। তাই কিডনির অসুখে তরমুজ খাবেন না।
তরমুজ– ২ টুকরো বা ৫৭২ গ্রাম তরমুজে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৪ শতাংশ। তাই কিডনির অসুখে তরমুজ খাবেন না।
advertisement
13/15
ডাবের জল– ডাবের জল ডিহাইড্রেশন রোধ করে। এতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট যা কোষে-কোষে জল পৌঁছায়। ডাবের জলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি যা এক্সারসাইজের সময় শক্তি যোগায়। ১ কাপ বা ২৪০ মিলি ডাবের জলে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ থাকে। কাজেই কিডনির অসুখে ডাবের জল এড়িয়ে চলুন।
ডাবের জল– ডাবের জল ডিহাইড্রেশন রোধ করে। এতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট যা কোষে-কোষে জল পৌঁছায়। ডাবের জলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি যা এক্সারসাইজের সময় শক্তি যোগায়। ১ কাপ বা ২৪০ মিলি ডাবের জলে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ থাকে। কাজেই কিডনির অসুখে ডাবের জল এড়িয়ে চলুন।
advertisement
14/15
কমলালেবু– পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। কিডনির অসুখে কমলালেবু খাবেন না।
কমলালেবু– পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। কিডনির অসুখে কমলালেবু খাবেন না।
advertisement
15/15
বিনস– বিনস-এ কলার থেকেও বেশি পটাশিয়াম থাকে। ১ কাপ বা ১৭৯ গ্রাম বিনস-এ শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ২১ শতাংশ থাকে। কালো বিনস-এ থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ। কাজেই কিডনির অসুখে বিনস খাওয়া চলবে না।
বিনস– বিনস-এ কলার থেকেও বেশি পটাশিয়াম থাকে। ১ কাপ বা ১৭৯ গ্রাম বিনস-এ শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ২১ শতাংশ থাকে। কালো বিনস-এ থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ। কাজেই কিডনির অসুখে বিনস খাওয়া চলবে না।
advertisement
advertisement
advertisement