Kidney Disease Symptoms & Treatment: কিডনির ‘এই’ রোগে প্রয়াত জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক! এই মারণ অসুখের লক্ষণ কী কী? জানুন বাঁচার সহজ উপায়
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bengali news18
Last Updated:
Kidney Disease Symptoms & Treatment:সত্যপাল মালিকের ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস ছিল, যা কিডনি বিকল হওয়ার দুটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়। বছরের পর বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং চিনি তার কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলেছিল।
কিডনির রোগে প্রয়াত হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ তিনি গত বেশ কয়েক মাস ধরে খুব অসুস্থ ছিলেন এবং দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি ব্যর্থতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো অনেক গুরুতর রোগে ভুগছিলেন, যার কারণে তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। প্রাক্তন রাজ্যপালের মূত্রনালীর সংক্রমণ ছিল, যার কারণে তার দু’টি কিডনিই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ডায়ালিসিস সত্ত্বেও, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি এবং অবশেষে তিনি প্রয়াত হন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে জেনে নিন কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়গুলি৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি যখন শরীর থেকে টক্সিন এবং অতিরিক্ত জল পরিশোধন বন্ধ করে দেয় তখন কিডনি বিকল হয়। এই প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে, যাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD) বলা হয়। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে শেষ পর্যায়ে এটি শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগে (ESRD) পরিণত হয়, যার জন্য ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। বলছেন নেফ্রোলজিস্ট গৌরব সাগর৷
advertisement
সত্যপাল মালিকের ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস ছিল, যা কিডনি বিকল হওয়ার দুটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়। বছরের পর বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং চিনি তার কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। তিনি মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) তেও ভুগছিলেন, যা কিডনির আরও ক্ষতি করে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে, তার দুটি কিডনিই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে। যখন তারা কাজ করে না, তখন শরীরে টক্সিন, ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মতো উপাদান জমা হয়, যা অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি করে। এই অবস্থায় রোগীর বমি বমি ভাব, বমি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। যদি সময়মতো ডায়ালিসিস না করা হয়, তাহলে এই অবস্থার ফলে সেপসিস অর্থাৎ রক্তে সংক্রমণ এবং বহু-অঙ্গ ব্যর্থতা বা মাল্টি অর্গান ফেলিওর দেখা দিতে পারে।
advertisement
কিডনি রোগ প্রায়শই নীরব ঘাতক, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলি দৃশ্যমান হয় না। নিয়মিত চেকআপ করালে সময়মতো এর চিকিৎসা করা সম্ভব। বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ রোগীদের সময়ে সময়ে কিডনি ফাংশন পরীক্ষা (KFT), প্রস্রাব পরীক্ষা এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলে, জীবন যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সময়মতো কিডনি রোগ শনাক্ত করা গেলে, চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি ব্যর্থতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
advertisement
কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য, রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দুটিই কিডনি ব্যর্থতার প্রধান কারণ। লবণ এবং চিনি গ্রহণ সীমিত করুন এবং অতিরিক্ত ভাজা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত জল পান কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত জলও ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই ভারসাম্য বজায় রাখুন।
advertisement
ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, এগুলি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বারবার ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলি ধীরে ধীরে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। পরিবারের কারও কিডনি রোগ থাকলে, অবশ্যই সময়ে সময়ে পরীক্ষা করান।