Kidney: সারাদিন ঝিমোচ্ছেন, পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা! শরীরের এই লক্ষণগুলি কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত, অবেহলার চরম ক্ষতি...

কিডনির কাজ যদি ব্যাহত হয়, তবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি এটি থেকে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আজ আমরা এমন ৬টি লক্ষণের কথা বলব, যেগুলি জানিয়ে দেয় আপনার কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত জটিল অঙ্গ, যার মূল কাজ হল রক্ত থেকে অতিরিক্ত জল ও বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে ইউরিন তৈরি করা। এর পাশাপাশি এটি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই কারণে কিডনিকে সুস্থ রাখা খুব জরুরি। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন ও অতিরিক্ত তরল জমতে শুরু করে। ফলে দেখা দেয় ক্লান্তি, ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, রক্তাল্পতা এবং হৃদরোগের মতো জটিলতা।

তবে আপনি নিজেও বুঝতে পারেন কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে কি না। শরীরের কিছু সংকেত লক্ষ্য করলেই সময়মতো ধরে ফেলা যায় কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে কি না। চলুন জেনে নিই সেই লক্ষণগুলি।

অতিরিক্ত ক্লান্তি: সবসময় যদি দুর্বলতা অনুভব করেন, তবে এটি হতে পারে কিডনি পর্যাপ্ত রেড ব্লাড সেল তৈরি করতে পারছে না। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হয় এবং আপনি সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

হঠাৎ পিঠে ব্যথা: তীব্র বা টানাটানিভাব পিঠের ব্যথা কিডনি স্টোন বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চুলকানি ও জ্বালা: ত্বকে যদি বারবার চুলকানি ও জ্বালা হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে রক্তে বিষাক্ত পদার্থ জমেছে। এটি ইমপিওর ব্লাড সার্কুলেশনের একটি বড় লক্ষণ।

প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন: প্রস্রাবের পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া বোঝায় কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য পদার্থ ছাঁকতে পারছে না। এরকম হলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা: যদি আপনার প্রস্রাবে বারবার অতিরিক্ত ফেনা হয়, তবে তা অস্বাভাবিক। এটি প্রোটিন লিকের ইঙ্গিত হতে পারে, যা কিডনির ক্ষতির স্পষ্ট লক্ষণ।

পায়ে ফোলা ও চোখ ফুলে ওঠা: পায়ের গিটে ফোলা বা চোখের নিচে ফুলে ওঠা বোঝায় শরীরে ফ্লুইড রিটেনশন হচ্ছে। এর মানে কিডনি শরীরের অতিরিক্ত জল ঠিকভাবে বের করতে পারছে না। এই উপসর্গগুলিকে কখনও অবহেলা করবেন না। প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করুন।

দিল্লি AIIMS-এর সিনিয়র নেফ্রোলজিস্ট ডা. প্রীতি মেহতা বলেছেন, "অনেক সময় কিডনি নষ্টের লক্ষণ গোপনে শুরু হয় এবং রোগী বুঝতেই পারে না। তাই বারবার ক্লান্তি, প্রস্রাবে ফেনা, বা পায়ে ফোলার মতো সংকেত দেখা দিলেই দ্রুত নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।"

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।