এক চিমটি লবঙ্গের গুঁড়ো মুখে ফেললেই হল, ঘরোয়া প্রতিকারই দেবে আরাম... পেটের সমস্যা ছু-মন্তর

শরীর একটু খারাপ হল কী না হল, সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেকেই ওষুধ খাওয়া শুরু করে দিই। সেটা খারাপ কিছু নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি, জ্বর, পেটের সমস্যার মতো অসুখে অনেকেই ডাক্তার দেখান না। দোকান থেকে কিনে নিজের মতো ওষুধ খেয়ে যান। এর প্রভাব শরীরে পড়ে বইকি! কেমন হয়, যদি এই সব সমস্যায় সঙ্গে রাখা যায় এক ঘরোয়া প্রতিকার?

কারও যদি একটানা ডায়রিয়া হয় তাহলে ২-৩টি লবঙ্গ ভাল করে পিষে নিয়ে এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু'বার খেলে পেটে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায় এবং ডায়রিয়ার সমস্যা তাড়াতাড়ি সেরে যায়। গ্রীষ্মকাল শুরু হতে চলেছে এবং গ্রীষ্মের মরশুমে প্রায়ই মানুষের পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। খাবারের সামান্য পরিবর্তনের কারণে মানুষ বমি করতে শুরু করে, বা এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে বমির সমস্যা পুরোপুরি ঠিক করা যেতে পারে।

আয়ুষ চিকিৎসক ডা. সন্তোষ শর্মা ব্যাখ্যা করেছেন যে, লবঙ্গ এমনই একটি ওষুধ, যা এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে পেটের রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ডায়রিয়ার কারণে শরীরে জলের অভাব হতে পারে, যার কারণে দুর্বলতা অনুভূত হয়। লবঙ্গে উপস্থিত উপাদান পেটের ইনফেকশন দূর করতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়ক।

আয়ুষ ডাক্তার বলেছেন, কারও যদি ক্রমাগত ডায়রিয়া হয় তাহলে ২-৩টি লবঙ্গ পিষে নিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে পেটে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায় এবং ডায়রিয়ার সমস্যা দ্রুত সেরে যায়। তিনি বলেন, কারও বমি হলে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে ২টি লবঙ্গ ফুটিয়ে তা ঠান্ডা হলে ধীরে ধীরে পান করতে হবে। এটি পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়া এক চিমটি লবঙ্গের গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত বমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অনেক সময় ভুল খাদ্যাভ্যাস বা ভারী খাবারের কারণে গ্যাস হতে শুরু করে এবং পেট ফুলতে শুরু করে। এমন অবস্থায় গরম জলে ২-৩টি লবঙ্গ সেদ্ধ করে পান করলে হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং গ্যাস বের হয়ে যায়। খাওয়ার পরে একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে পেট ফাঁপা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদে লবঙ্গকে একটি শক্তিশালী ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা শুধু পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা করতেই সাহায্য করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।