Khichuri Benefits: বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ি না খেলেই নয়! খিচুড়ি খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল লোভনীয় এক রেসিপি
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Khichuri Benefits: বৃষ্টির দিন এলে তো কোনও কথাই নেই। বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ির সঙ্গে আলু ভাজা, ডিম ভাজা বা ইলিশ মাছ ভাজার স্বাদই আলাদা।
বাঙালি খিচুড়ি খেতে ভালবাসে। গোটা বছর ধরেই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে খিচুড়ি খাওয়ার ধুম বাঙালি বাড়িতে। আসলে খিচুড়ি এমনই একটি বিশেষ খাবার যা সারা বছর খাওয়া যায়। আর বৃষ্টির দিন এলে তো কোনও কথাই নেই। বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ির সঙ্গে আলু ভাজা, ডিম ভাজা বা ইলিশ মাছ ভাজার স্বাদই আলাদা। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
শুধু বাঙালিই নয়, সারা ভারতে নানা স্বাদের আর নানা ধরনের খিচুড়ি তৈরি হয়ে থাকে। অত্যন্ত উপাদেয় এবং পুষ্টিকর এই পদ। সাধারণত, চাল, ডাল, সবজি দিয়ে তৈরি হয় এই খাবার। তবে বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন উপাদান যুক্ত হয় এই খিচুড়িতে। এই বিশেষ পদটিতে যেহেতু নানা রকমের উপাদান মিশে থাকে, তাই এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। খিচুড়ি খেলেই শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। অসুস্থদের জন্যও খিচুড়ি পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
advertisement
advertisement
প্রায় কোনও ভারতীয় পদই হলুদ ছাড়া রান্না করা হয় না। হলুদের মধ্যে রয়েছে দারুন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। তাছাড়া একে থাকে কারকুমিন যা বাতের ব্যথা হ্রাস করতে পারে। খিচুড়ির প্রধান উপাদানগুলির একটি হল ডাল। বিভিন্ন রকমের ডাল দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা যায়। এক এক প্রদেশে এক এক রকমের হয়ে থাকে এই পদ। যে কোনও ডাল পুষ্টিতে ভরপুর।
advertisement
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। রক্তচাপ কমাতে পারে এটি। নানা ধরনের কার্ডিও ভাসকুলার অসুখ প্রতিহত করতে পারে। এটি ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও উপকারী। সব থেকে বড় বিষয় হল খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা গ্লুটেনমুক্ত। ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে খিচুড়ি হল একটি সেরা ‘ডিটক্স ফুড’। রাতের খাবারে খিচুড়ি আদর্শ হতে পারে। কারণ এটি নিতান্তই সহজপাচ্য। শিশু থেকে বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষের জন্যও তাই খিচুড়ি আদর্শ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
খিচুড়ি তৈরির উপকরণ: ১০০ গ্রাম মুগডাল, ২০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, দুই চামচ সর্ষের তেল, পাঁচফোড়ন, ২-৩টি তেজপাতা, ১৫০ গ্রাম ফুলকপি, ১৫০ গ্রাম গাজর, ১৫০ গ্রাম কুমড়ো, ১৫০ গ্রাম আলু কেটে রাখা, এক চা চামচ হলুদ, এক চা চামচ জিরেগুঁড়ো, এক চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো,দু-তিনটে কাঁচালঙ্কা, পরিমাণমতো নুন, আধ চা চামচ গরম মশলা, এক চামচ ঘি।
advertisement
খিচুড়ি তৈরির প্রণালি: প্রথমে একটি কড়াইতে ১০০ গ্রাম মুগডাল নিন। এটি মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ডালের থেকে ভাজা ভাজা গন্ধ বেরোলে সেটি একটি পাত্রে আলাদা করে রেখে দিন। এবার এই মুগ ডালেই ২০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে নিন। ভাল করে দুটি মিশিয়ে খাবারের জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চাল ও ডাল ভাল করে সাফ করতে অন্তত দুইবার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার কড়াই কিছুটা গরম করে নিয়ে তাতে দুই চামচ সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে নিন। প্রথমে এতে তেজপাতা ও পরে পাঁচফোড়ন দিন। এক-দুই মিনিট পর আঁচ মাঝারি করে নিন। এর পর এতে কেটে রাখা মরশুমি শাক, সবজি যেমন ফুলকপি, গাজর, কুমড়ো ও অর্ধেক করে কাটা আলু দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচেই কিছুক্ষণ সবজিগুলি সাঁতলে নিতে হবে।
advertisement
এতে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে আরও দুই মিনিট নেড়ে নিন। এবারে এতে একে একে এক চা চামচ জিরেগুঁড়ো, এক চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো, দু-তিনটে কাঁচালঙ্কা ও পরিমাণমতো নুন দিয়ে দিন। এর পর এতে কেটে রাখা একটি টমেটো দিয়ে দিন। আঁচ হালকা করে নিয়ে এবার মশলাটি ভাল করে কষিয়ে নিন। এক-দুই মিনিট পর এতে আদাবাটা দিয়ে আবার কষাতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর এর মধ্যে চাল ও ডাল দিয়ে দিতে হবে কড়াইয়ে। এবার পুরো মিশ্রণকে ভাল করে কষিয়ে নিন। ঠিকমতো কষানো হয়ে এলে এতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিন। এবার জল ফুটতে শুরু করলে আঁচ অল্প করে এটি ঢাকা দিয়ে দিন।
advertisement