Health Care: শুধু জলে ধুয়েই রান্না করে ফেলেন 'এই' সবজি? সর্বনাশ...! ছোট্ট ভুলে ব্রেনে পেঁচিয়ে যাবে ভয়ঙ্কর 'কীট', মৃত্যুও ঘটতে পারে

*ফুলকপি, বাঁধাকপি এখন আর শুধু শীতকালে নয়, সারা বছরই পাওয়া যায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি খেতে অনেকেই পছন্দ করে খুবই, ফলে প্রায় রোজই গৃহস্থের বাড়িতে কোনও না কোনও কপি রান্না করা হয়। কিন্তু কপিতে লুকিয়ে থাকা পোকা, কৃমি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই পোকামাকড় শরীরে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

*আপনি যদি বাড়িতে এই সবজিগুলি রান্না করেন, তাহলে সেগুলি পরিষ্কারের সঠিক উপায় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে সবজি থেকে পোকামাকড় বের করা অনেকটাই সহজ হবে। প্রথমত, সবসময় বাজার থেকে টাটকা ফুলকপি কিনতে হবে, যার উপর যেন কোনও দাগ বা কালো দাগ না থাকে।

*তরকারি বানানোর আগে ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবারে হাত দিয়ে খুঁজে দেখে নিন কোথাও কোনও পোকামাকড় আছে কিনা। এরপর একটি পাত্রে জল এবং সামান্য নুন দিয়ে গরম করার জন্য গ্যাসের ওপর বসিয়ে দিন। সেই নুন-জলে কাটা ফুলকপি দিন। এক মিনিট ভাপিয়ে নিয়ে সমস্ত কীট নিজে থেকেই বেরিয়ে আসবে। এরপর গ্যাস বন্ধ করে সেই ভাপিয়ে নেওয়া ফুলকপি পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

*বাঁধাকপি ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়, কিন্তু কীভাবে পোকামাকড় এড়াতে হয়, তা বুঝতে পারে না। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রচুর, কিন্তু পোকামাকড়ের ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে? এর ফলে বাঁধাকপি, ফুলকপি খেতে অনেকেই দ্বিধা বোধ করেন। তবে এই দুই কপির উপকারিতা অনেক।

*বাঁধাকপি কাটার আগে ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তাই বাঁধাকপির সব পাতা মুছে ভাল করে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। কোথাও পোকামাকড় আছে কিনা ভাল করে পরীক্ষা করে দেখুন। আপনি গরম জলের সঙ্গে সামান্য হলুদ যোগ করতে পারেন এবং এটি ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

*বাঁধাকপি পরিষ্কার করার জন্য, প্রথমে ভালভাবে কেটে নিন। এরপর একটি পাত্রে রেখে ২-৩ বার ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এবার একটি পাত্রে জল নিয়ে, তাতে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ সেই পাত্রের জলে বাধাকপি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে কপির জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করবে।

*আয়ুর্বেদ মতে, শুধু ফুলকপি বা বাঁধাকপি নয়, অনেক সবজি কাঁচা খাওয়া নিষিদ্ধ। গত কয়েক বছরে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ভয়ঙ্করভাবে। তাই শাকসবজি কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। রাসায়নিক সার ছাড়া উৎপাদিত সবজি কাঁচা খেতে পারেন। অনেকেই ক্যাপসিকাম কাঁচা খায়, তবে ক্যাপসিকাম কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। যখনই ক্যাপসিকাম ব্যবহার করবেন, তখন সেদ্ধ করে বা রান্না করে খাওয়া উচিত।

*পালং শাক কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। অনেকেই পালং শাক ছিঁড়ে কাঁচা খায়। কিন্তু পালংশাকে পোকামাকড় বেশি থাকে, মূলত পালং শাকে কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই সবুজ শাকগুলিতে টেপওয়ার্ম এবং টেপওয়ার্ম এক্স রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই এই সবুজ শাকগুলি খাওয়ার আগে হালকা ভাপিয়ে নিন। (Disclaimer: এই লেখাটি শুধুমাত্র তথ্য এবং ঘরোয়া টিপসের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রদত্ত পদ্ধতি এবং প্রতিকারগুলি সাধারণ অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে যথাযথ যত্ন নিন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)