Pet Vaccination: পোষ্যের টিকাকরণ নিয়ে চিন্তিত? সারমেয়কে কী ভাবে সামলে রাখবেন?

Last Updated:
নিজের সন্তানের মতোই সারমেয় সন্তানের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি। নির্দিষ্ট বয়স থেকে শুরু হয় তাঁদেরও টিকাকরণ প্রয়োজন হয়।
1/6
পোষ্য যদি ভয় পেয়ে খাটের তলায় ঢুকে পড়ে, সেখান থেকে তাদের বার করার চেষ্টা করবেন না। বরং বাড়িতে এমন জায়গা রাখুন যেখানে তারা নিরাপদ বোধ করতে পারে। প্রতীকী ছবি
কিছুমাস হল চারপেয়ে সদস্য ঘরে এসেছে। কয়েক দিন যেতে না যেতেই সেও বাড়ির সদস্য হয়ে উঠেছে। তাঁর ভাল থাকার চিন্তা সর্বক্ষণ।
advertisement
2/6
পোষ্য- আপনার দিদি বা বোন যদি কুকুরছানা বা বিড়াল ছানা পছন্দ করেন, এবং বাড়িতে আনার বহুদিন ধরে পরিকল্পনা করে থাকেন। এই ভাইফোঁটায় পোষ্য এনে চমকে দিতে পারেন আপনার প্রিয় দিদি বা বোনকে। তবে পোষ্য বাড়িতে আনা কিন্তু বড় দায়িত্বের বিষয়। আনার পর যেন প্রাণীটি কিংবা পরিবারের সদস্য কেউই বিড়ম্বনায় না পড়েন। সেই বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই পোষ্য বাড়িতে আনুন। প্রতীকী ছবি।
নিজের সন্তানের মতোই সারমেয় সন্তানের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি। নির্দিষ্ট বয়স থেকে শুরু হয় তাঁদেরও টিকাকরণ প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে র‍্যাবিস, ডিএইচপিপিআই, লেপ্টোস্পারোসিস-সহ একাধিক ভ্যাকসিন বা টিকা বয়স অনুযায়ী দেওয়া হয়। জন্মের ছয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে টিকাকরণ চলে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
advertisement
3/6
পশু চিকিৎসক আরও জানান, বাজির ভয় কাটানোর কোনও ওষুধ হয় না। পোষ্যের ঘন ঘন খিঁচুনি হচ্ছে দেখে অনেকেই নেটমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ওষুধ কিনে খাইয়ে দেন। এমন কখনও করবেন না। শ্রবণশক্তি যার যত বেশি, বাজির আওয়াজে তার তত বেশি কষ্ট। তাই ঘুমের ওষুধ দিয়েও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তেমন হলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতীকী ছবি
পশু চিকিৎসকেরা বলছেন টিকাকরণের পর সামান্য কিছু উপসর্গ কোনও কোনও কুকুরের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে, অনেক কুকুরের হালকা জ্বর আসতে পারে। আবার অনেক কুকুরের ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথাও হতে পারে। র‍্যাশও দেখা দিতে পারে অনেক কুকুরের।
advertisement
4/6
কীভাবে এই রোগের সংক্রমণ আটকানো যায়? এই রোগের টিকা পাওয়া যায়। নিয়মমাফিক টিকাকরণ হল সেরা রাস্তা। কুকুরের বয়স যখন ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে থাকে, তখন থেকেই চিকিৎসকরা তাঁদের এই রোগের টিকা দিতে শুরু করেন। প্রাপ্ত বয়স্ক কুকুরকে প্রতি বছর বুস্টার দেওয়ারও নিয়ম আছে।
এখন প্রবল গরম পড়ছে, ফলে এমনিতেই তাদের জল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ানো দরকার। টিকাকরণের পর সে জল খাচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। তাদের সামনে পরিষ্কার পাত্রে জল রাখুন। বার বার জল খেলে শরীর ঠিক থাকবে। জল শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করবে।
advertisement
5/6
কুকুরদের জন্য চাটা হল গোষ্ঠীর আধিপত্যশীল সদস্যের প্রতি নিজেদের আনুগত্য প্রদর্শনের পদ্ধতি। তাই মানুষকে, বিশেষত নিজের মনিবকে চাটার পেছনেও কাজ করে এই একই উদ্দেশ্য...আনুগত্য প্রদর্শন।
খাওয়াতেও নজর দিন। হতেই পারে সে ঠিকমতো খেল না বা খেতে চাইছে না। বেশি জোর করার দরকার নেই। অবশ্যই পুষ্টিকর, সহজপাচ্য খাবার খেতে দেওয়া দরকার। স্বল্প পরিমাণে বারে বারে খাওয়াতে পারেন। টিকাকরণের পর এক বারে বেশি খাওয়ানো ঠিক নয়। টিকাকরণের পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্নান করাতে যাবেন না। ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা হতে পারে। তাই সে যাতে আরামে শুতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখুন। পোষ্যকে আদর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ব্যথার জায়গায় আঘাত না লাগে।
advertisement
6/6
কুকুর এই রোগে আক্রান্ত হলে কী করবেন? দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেরে যেতে পারে। যত দিন পর্যন্ত না আক্রান্ত কুকুরটি সুস্থ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত তাকে অন্য কুকুরের থেকে দূরে রাখুন।
পোষ্য যদি একটু ঝিমিয়ে থাকে, তা হলে তাকে নিয়ে বেরোনো বা শারীরিক কসরত করানোর দরকার নেই। দু’দিন বিশ্রাম দিলে সে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।উপসর্গ অল্পস্বল্প হলে ভাবনার কিছু নেই। তবে পোষ্যকে নজরে রাখা দরকার। জ্বর খুব বেশি হলে, বমি বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে পশুচিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া দরকার।
advertisement
advertisement
advertisement