Hiccup Reasons: হেঁচকি কেন ওঠে? তা আটকানোর প্রতিকারই বা কী? জানুন বিশদে

Last Updated:
Hiccup Reasons: অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি তো বটেই, সেই সঙ্গে এই প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি কোনও গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়? তাহলে জেনে নেওয়া যাক হেঁচকির বিষয়ে।
1/6
 আপাতদৃষ্টিতে হেঁচকি খুব নিরীহ একটি বিষয়। কিন্তু হেঁচকিই অনেক সময় যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বারবার হেঁচকি উঠলে তো কথাই নেই। অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি তো বটেই, সেই সঙ্গে এই প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি কোনও গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়? তাহলে জেনে নেওয়া যাক হেঁচকির বিষয়ে।
আপাতদৃষ্টিতে হেঁচকি খুব নিরীহ একটি বিষয়। কিন্তু হেঁচকিই অনেক সময় যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বারবার হেঁচকি উঠলে তো কথাই নেই। অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি তো বটেই, সেই সঙ্গে এই প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি কোনও গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়? তাহলে জেনে নেওয়া যাক হেঁচকির বিষয়ে।
advertisement
2/6
আসলে ডায়াফ্রাম থেকেই হেঁচকি আসতে শুরু করে। আর ডায়াফ্রাম হল ফুসফুস এবং পেটের মধ্যবর্তী অংশে থাকা গম্বুজ আকৃতির পেশি। সাধারণত, আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি, তখন ডায়াফ্রাম শ্বাসবায়ুকে নিচের দিকে টেনে নেয়। আবার নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় এই ডায়াফ্রাম ফের আগের অবস্থায় ফিরে যায়। ডায়াফ্রাম একটি নির্দিষ্ট উপায়ে এই কাজ করে। কিন্তু যখন ডায়াফ্রাম কোনও সমস্যা অনুভব করে, তখন তাতে মোচড়ের মতো অনুভূতি হতে শুরু করে। এর ফলে আচমকাই গলায় বাতাস অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, যার ফলে আওয়াজ বেরোতে সমস্যা হয়। আর ভোকাল কর্ড বা স্বরযন্ত্রের এই আকস্মিক বাধা থেকেই হেঁচকির মতো আওয়াজ বেরোতে থাকে।
আসলে ডায়াফ্রাম থেকেই হেঁচকি আসতে শুরু করে। আর ডায়াফ্রাম হল ফুসফুস এবং পেটের মধ্যবর্তী অংশে থাকা গম্বুজ আকৃতির পেশি। সাধারণত, আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি, তখন ডায়াফ্রাম শ্বাসবায়ুকে নিচের দিকে টেনে নেয়। আবার নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় এই ডায়াফ্রাম ফের আগের অবস্থায় ফিরে যায়। ডায়াফ্রাম একটি নির্দিষ্ট উপায়ে এই কাজ করে। কিন্তু যখন ডায়াফ্রাম কোনও সমস্যা অনুভব করে, তখন তাতে মোচড়ের মতো অনুভূতি হতে শুরু করে। এর ফলে আচমকাই গলায় বাতাস অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, যার ফলে আওয়াজ বেরোতে সমস্যা হয়। আর ভোকাল কর্ড বা স্বরযন্ত্রের এই আকস্মিক বাধা থেকেই হেঁচকির মতো আওয়াজ বেরোতে থাকে।
advertisement
3/6
হেঁচকি কেন ওঠে?- হেঁচকি ওঠার অনেক কারণ থাকতে পারে - সেটা শারীরিক, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা মানসিকও হতে পারে। এমনটা ঘটে কারণ স্নায়ুর সমস্যাটি মস্তিষ্ক এবং ডায়াফ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া কিংবা খুব তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। এর পাশাপাশি, খুব নার্ভাস কিংবা উত্তেজিত হয়ে পড়া, কার্বোনেটেড পানীয় পান করা অথবা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করাও হেঁচকির কারণ হতে পারে। এছাড়া মানসিক চাপ, আকস্মিক তাপমাত্রার পরিবর্তন, ক্যান্ডি-চুইংগাম চিবোনোর সময় মুখে বাতাস ভর্তি হওয়া প্রভৃতিও হেঁচকির কারণ হিসেবে দায়ী হতে পারে।
হেঁচকি কেন ওঠে?- হেঁচকি ওঠার অনেক কারণ থাকতে পারে - সেটা শারীরিক, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা মানসিকও হতে পারে। এমনটা ঘটে কারণ স্নায়ুর সমস্যাটি মস্তিষ্ক এবং ডায়াফ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া কিংবা খুব তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। এর পাশাপাশি, খুব নার্ভাস কিংবা উত্তেজিত হয়ে পড়া, কার্বোনেটেড পানীয় পান করা অথবা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করাও হেঁচকির কারণ হতে পারে। এছাড়া মানসিক চাপ, আকস্মিক তাপমাত্রার পরিবর্তন, ক্যান্ডি-চুইংগাম চিবোনোর সময় মুখে বাতাস ভর্তি হওয়া প্রভৃতিও হেঁচকির কারণ হিসেবে দায়ী হতে পারে।
advertisement
4/6
হেঁচকি যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়?- সাধারণত খুবই স্বল্প সময়ের জন্য হেঁচকি ওঠে। আবার নিজে থেকেই তা সেরে যায়। কিন্তু কখনও কখনও এটি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে। আসলে ডায়াফ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত স্নায়ুর ক্ষতির কারণেও এটি হতে পারে। প্রসঙ্গত, কানের সমস্যা থেকে শুরু করে গলা ব্যথা পর্যন্ত বিষয়গুলি ডায়াফ্রামের স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকি কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধিগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। যেমন - এনসেফালাইটিস, মেনিনজাইটিস, মেটাবলিক ডিসঅর্ডার, ডায়াবেটিস বা কিডনি ফেলিওর প্রভৃতি। এছাড়া স্টেরয়েড কিংবা ট্রাঙ্কুইলাইজারের মতো কিছু ওষুধের কারণেও হেঁচকি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে।
হেঁচকি যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়?- সাধারণত খুবই স্বল্প সময়ের জন্য হেঁচকি ওঠে। আবার নিজে থেকেই তা সেরে যায়। কিন্তু কখনও কখনও এটি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে। আসলে ডায়াফ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত স্নায়ুর ক্ষতির কারণেও এটি হতে পারে। প্রসঙ্গত, কানের সমস্যা থেকে শুরু করে গলা ব্যথা পর্যন্ত বিষয়গুলি ডায়াফ্রামের স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকি কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধিগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। যেমন - এনসেফালাইটিস, মেনিনজাইটিস, মেটাবলিক ডিসঅর্ডার, ডায়াবেটিস বা কিডনি ফেলিওর প্রভৃতি। এছাড়া স্টেরয়েড কিংবা ট্রাঙ্কুইলাইজারের মতো কিছু ওষুধের কারণেও হেঁচকি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে।
advertisement
5/6
কীভাবে হেঁচকি বন্ধ করা যাবে?- হেঁচকি বন্ধ করার জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ক্ষণ শ্বাস আটকে রাখলে সহজেই হেঁচকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি কাগজের ঠোঙায় শ্বাস নিলে হেঁচকিও বন্ধ হয়। এটি ঘটে, কারণ এই কৌশলের মাধ্যমে ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়। যা ডায়াফ্রামকে শিথিল করতে সহায়তা করে।
কীভাবে হেঁচকি বন্ধ করা যাবে?- হেঁচকি বন্ধ করার জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ক্ষণ শ্বাস আটকে রাখলে সহজেই হেঁচকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি কাগজের ঠোঙায় শ্বাস নিলে হেঁচকিও বন্ধ হয়। এটি ঘটে, কারণ এই কৌশলের মাধ্যমে ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়। যা ডায়াফ্রামকে শিথিল করতে সহায়তা করে।
advertisement
6/6
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?- যদি ২ দিনেরও বেশি সময় ধরে হেঁচকি স্থায়ী হয়, অথবা হেঁচকির কারণে খেতে, শ্বাস নিতে কিংবা ঘুমোতে অসুবিধা হয়, তখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অর্থাৎ হেঁচকির কারণে শারীরিক সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া যদি পেট ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বমি অথবা কাশির সময় রক্ত পড়ার মতো সমস্যা হয়, তাহলেও অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?- যদি ২ দিনেরও বেশি সময় ধরে হেঁচকি স্থায়ী হয়, অথবা হেঁচকির কারণে খেতে, শ্বাস নিতে কিংবা ঘুমোতে অসুবিধা হয়, তখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অর্থাৎ হেঁচকির কারণে শারীরিক সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া যদি পেট ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বমি অথবা কাশির সময় রক্ত পড়ার মতো সমস্যা হয়, তাহলেও অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
advertisement
advertisement
advertisement