Heart Attack Symptoms: হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখুন শরীরের ৭ সঙ্কেত! অবহেলায় চরম ছোবল দেবে হার্ট অ্যাটাক...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Heart Attack Symptoms: হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ যেমন বুকের অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয়। সময়মতো শনাক্ত ও চিকিৎসা জীবন রক্ষা করতে পারে এবং জটিলতা কমাতে সহায়ক...
প্রতিটি ফোঁটা রক্ত আমাদের শরীরের ভেতর দিয়ে হৃদয়ের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়, যা অক্লান্তভাবে কাজ করে রক্তকে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ও টিস্যুতে পৌঁছে দিতে। এই রক্ত অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বহন করে, যা আমাদের দেহকে সচল রাখে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। হৃদয় এক অর্থে একটি কেন্দ্রীয় পাম্প ও ফিল্টার হিসেবে কাজ করে, যা জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।
advertisement
হৃদয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে, যেকোনো সমস্যা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে হৃদরোগের সংখ্যা বাড়ছে এবং হার্ট অ্যাটাক সব বয়সের মানুষের মধ্যেই আতঙ্কজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও প্রভাব কমাতে সহায়ক, সেটি হলো প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ।
advertisement
প্রাথমিক পর্যায়ে হৃদরোগ ধরা পড়লে সময়মতো চিকিৎসা সম্ভব হয়, যা হার্টের পেশীতে ক্ষতি সীমিত করতে পারে এবং সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। এছাড়াও এটি জীবনধারায় পরিবর্তন এবং উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো ঝুঁকি কমাতে ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে।
advertisement
advertisement
advertisement
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল: উচ্চ রক্তচাপকে প্রায়ই ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলা হয়, কারণ এটি প্রায়শই অজান্তেই মারাত্মক ক্ষতি করে। নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ জরুরি, কারণ নিয়ন্ত্রণহীন রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, উচ্চমাত্রার খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) ধমনীতে প্ল্যাক জমিয়ে হৃদয়ে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। ছয় মাস অন্তর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত এবং প্রয়োজনে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তন করা জরুরি।
advertisement
অবিরাম ক্লান্তি, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা: অবিরাম ক্লান্তি, যা বিশ্রামের পরও দূর হয় না, হতে পারে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে না এমন একটি সংকেত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজন হৃদয়ের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলোর ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত পরীক্ষা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ সম্ভব।
advertisement
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অপরিহার্য, বিশেষত যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়াও, খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক থাকতে হবে, হাড় দুর্বল করে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এটি শ্রবণশক্তির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
advertisement
advertisement