Heart Attack Prevention Tips: হার্ট অ্যাটাক রাতারাতি হয় না! এখনই এই ৫টি অভ্যাস গড়ে তুলুন, হৃদরোগের ঝুঁকি থাকবে না...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Heart Attack Prevention Tips: হার্ট অ্যাটাক এমনই এক বিপদ, যা একদিনে হয় না। এর জন্য খারাপ অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে দায়ী। একজন মার্কিন চিকিৎসক ৫টি অভ্যাসের কথা জানিয়েছেন, যেগুলো এখন থেকে মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে...
হার্ট ডিজিজ এমন একটি রোগ যা রাতারাতি হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে ১.৭৯ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগজনিত কারণে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ফলে। মানে, এই দুটি রোগই সবচেয়ে মারাত্মক।
advertisement
নিউ ইয়র্কের বোর্ড-সার্টিফায়েড ইমারজেন্সি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাসিলি এলিওপোলস (ডঃ ভাস) জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ আসে না। বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া খারাপ অভ্যাসই এর জন্য দায়ী। তাই এখন থেকেই প্রতিদিন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে এই ঝুঁকি এড়ানো যায়।
advertisement
ডঃ ভাস জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই একটু জোরে হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই উচ্চ রক্তশর্করাই ধমনিতে ফোলা ও প্লাক তৈরির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই হাঁটা হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
advertisement
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে স্যামন মাছ বা ভালো মানের ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়, ধমনীকে নমনীয় রাখে এবং রক্তনালীর প্রদাহ কমায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনও এর উপকারিতার কথা বলে।
advertisement
প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ও গুণমানসম্পন্ন ঘুম জরুরি। গবেষণা বলছে, যারা রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০০ শতাংশ বেড়ে যায়। ঘুমের অভাব হার্ট ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
advertisement
প্লাস্টিকের বোতল, কনটেনার বা প্যাকেট ব্যবহারে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এতে থাকা ফথ্যালেটস নামক রাসায়নিক হরমোন ও ধমনির ক্ষতি করে। তাই গরম খাবার কখনই প্লাস্টিকে রাখবেন না এবং জল ফিল্টার করে খান।
advertisement
ডঃ ভাস জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল টেস্ট ছাড়াও আরও কিছু উন্নত রক্ত পরীক্ষা আছে—যেমন অ্যাপোলিপোপ্রোটিন বি, লিপোপ্রোটিন (এ), হোমোসিস্টিন ও hs-CRP—যেগুলো আগেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি জানিয়ে দিতে পারে।
advertisement
ডঃ ভাস বলেন, “যারা হৃদরোগ এড়াতে চান, তাদের উচিত এখন থেকেই দৈনন্দিন অভ্যাসে এই পরিবর্তন আনা। এতে হয়তো ওষুধের দরকারই হবে না, শুধু দরকার সচেতনতা, সঠিক তথ্য এবং নিয়ম মেনে চলা।”
advertisement