Heart Attack from Gym Workout: শরীর না বুঝেই জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরাচ্ছেন! সাবধান, অজান্তেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Heart Attack from Gym Workout: জিমে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে হৃদয়ের উপর চাপ পড়ে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ব্যায়ামের সময় সতর্ক না হলে বুক ধড়ফড়, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে, জানুন বিস্তারিত...
ভাবুন এমন এক দৃশ্য—আপনি জিমে নিজেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ঠেলে দিচ্ছেন। ঘাম ঝরছে, হৃদস্পন্দন বাড়ছে। আপনি ভাবছেন, “No pain, no gain।” কিন্তু নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন—এই ব্যথা যদি আপনার হৃদয়ের সতর্কবার্তা হয়?
advertisement
শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে "ওভারট্রেনিং" বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব আপনার শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
advertisement
সঠিক মাত্রায় ব্যায়াম ও নিরাপত্তা বজায় রাখা খুব জরুরি যাতে আপনি ফিটনেসের সুফল পান এবং আপনার হৃদয়ও নিরাপদ থাকে। সাইফি হাসপাতালের পরামর্শদাতা ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ড. নিমিত সি শাহ জানাচ্ছেন কীভাবে এটা মেনে চলা উচিত।
advertisement
অনেক সময় শরীরের ক্ষমতার চেয়েও বেশি ব্যায়াম করলে সেটা হৃদয়ের বড় সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে। যেমন: বুক ধড়ফড় করা, জ্বালাপোড়া, চাপ অনুভব করা, হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা ঠান্ডা ঘাম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
advertisement
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে ব্যায়াম সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা উচিত। উপসর্গ চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আগেই প্রতিরোধ করা ভালো।
advertisement
বিশেষ কিছু মানুষ যেমন যারা আগে থেকেই হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন, বা যাদের পরিবারে এমন রোগের ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যায়াম খুব বিপজ্জনক হতে পারে। মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হার্টে বাড়তি চাপ পড়ে।
advertisement
২০১৮ সালে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির গবেষণা বলছে, ব্যায়ামের সময় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক খুব সাধারণ নয়, কিন্তু যাদের অজানা হৃদরোগ আছে তাদের মধ্যে এই ঝুঁকি বেশি। হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি রোগীদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
advertisement
ফিটনেস অর্জনের জন্য ধাপে ধাপে ব্যায়াম বাড়ানো উচিত। শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে বিশ্রাম নিতে হবে। ব্যায়ামের আগে ও পরে যথাযথ ওয়ার্মআপ ও কুলডাউন আবশ্যক। পর্যাপ্ত জল পান করাও জরুরি, কারণ ডিহাইড্রেশন হৃদয়ের উপর চাপ ফেলে।
advertisement
হার্ট মনিটর ব্যবহার করে হৃদস্পন্দনের মাত্রা নজরে রাখা উচিত। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ব্যায়ামের তীব্রতা মাঝারি হওয়া উচিত। নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ, স্ট্রেস টেস্ট, ও বিশ্রামের দিনগুলো না এড়ানোই হৃদয় ও ফিটনেস দুইয়ের জন্য নিরাপদ পথ।
advertisement