ভারতী, শেহনাজ থেকে শুরু করে রাম কাপুর এই কায়দায় হু-হু করে ঝরিয়েছেন ওজন! সম্পূর্ণ ভাবে এর উপযোগিতা আর সমস্যার তালিকা দেখে নিন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Advantages & Disadvantages of Intermittent Fasting: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল খাওয়াদাওয়ার একটা রুটিন। যেখানে খাওয়াদাওয়া এবং উপবাসের সময়কে ঘণ্টার ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়। এই ধরনের ডায়েট অথবা জীবনযাত্রার স্টাইলে নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা পর্যন্তই খাবার খাওয়া যায়।
বলিউড কিংবা টেলিদুনিয়ার নামকরা তারকা ভারতী সিং, শেহনাজ গিল এবং রাম কাপুর। কিন্তু এই তিন তারকার মধ্যে কোন বিষয়টা সাধারণ? যদি এই প্রশ্নটা কাউকে করা হয়, তিনি উত্তর দেবেন যে, এই তিন জনই তারকা। তবে তাঁরা আসলে এমন তারকা, যাঁদের ওজন কমানোর সফর বা ওয়েট লস জার্নি সকলকে চমকে দিয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে আরও একটা সাধারণ বিষয় রয়েছে। আর সেটা হল - ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই কৌশল অবলম্বন করেই স্থূলত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা। হু-হু করে কমেছে তাঁদের ওজন। আজকাল অবশ্য অনেকেই এই ধরনের ডায়েটের কথা শুনেছেন। কিন্তু ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মানে কি ৮ ঘণ্টা খাওয়াদাওয়া আর বাকি ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা? বলে রাখা ভাল যে, এর পিছনে থাকা বিজ্ঞানটা ঠিক কী। আর কীভাবেই বা আমাদের শরীরে এই কৌশল কাজ করবে।
advertisement
বলে রাখা ভাল যে, আমাদের শরীরের উপর এই ধরনের ফাস্টিং প্যাটার্নের উপযোগিতা এবংব অনুপযোগিতা উভয়ই রয়েছে। তবে এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল খাওয়াদাওয়ার একটা রুটিন। যেখানে খাওয়াদাওয়া এবং উপবাসের সময়কে ঘণ্টার ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়। এই ধরনের ডায়েট অথবা জীবনযাত্রার স্টাইলে নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা পর্যন্তই খাবার খাওয়া যায়। বাকি সময় কিছু খাওয়া যায় না। এটা আসলে অনেকটা টাইম কন্ট্রোল ফুড প্যাটার্নের মতো। যা ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাতেও উপযোগী হয়।
advertisement
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ধরন: ১৬/৮ মেথড: এর অর্থ হল ১৬ ঘণ্টা ফাস্টিং বা উপবাস। আর ৮ ঘণ্টার খাওয়াদাওয়া। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, যদি কেউ সকাল ১০টায় খাওয়াদাওয়া শুরু করেন, তাহলে তাঁকে দিনের শেষ খাবারটা খেতে হবে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। এরপর থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপোস বা ফাস্টিং করে যেতে হবে। Representative Image
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মেনে চলার উপায় কী? সঠিক সময় বেছে নেওয়া: নিজের রোজকার রুটিন অনুযায়ী নিজের ফাস্টিং বা উপোস এবং খাওয়াদাওয়ার সময় বেছে নিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, প্রতিদিন যদি অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে, তাহলে তা সামাল দেওয়ার উপায় দেখতে হবে। আর যাঁরা বাড়িতে থাকেন, তাঁদের নিজেদের উপযুক্ত টাইম-উইন্ডো বেছে নেওয়া উচিত। Representative Image
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপকারিতা: ১. এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ধরে খেতে হবে। তাই ক্যালোরি ইনটেক এমনিতেই কমে যাবে। এতে মেটাবলিজম বাড়ে। ফলে ওজন কমে। ২. দেহের ইনসুলিন রেসপন্স উন্নত করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ৩. ফাস্টিংয়ের সময় দেহ কোষ মেরামত করে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ৪. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জেরে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। ৫. কিছু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আয়ু বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। Representative Image
advertisement
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের অসুবিধা: ১. ইটিং উইন্ডোয় অনেকেই প্রিয় খাবার খেয়ে ফেলেন। পুষ্টির দিকে নজর দেন না। এর ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ২. এই ফাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যা হতে পারে। ৩. এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জেরে অনেকে হজমের সমস্যায় ভোগেন। ৪. সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। আসলে ইটিং উইন্ডো থাকার কারণে বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের গেট টুগেদারে সাবলীল ভাবে অংশ নেওয়া যায় না। Representative Image