খুঁজলেই দেখা যাবে যে, আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের শিকার অনেকেই। আইবিএস বা টেবল বাওয়েল সিনড্রোম কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যনালী, নার্ভ-সহ সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। সেখান থেকেই সিগনাল আসে ও তার ফলে বাওয়েল মুভমেন্ট হয় দ্রুত। তার পরেই আসে মলত্যাগের বেগ। কিন্তু এই সিগনালিংয়েই ফাংশনাল সমস্যা থাকলে তৈরি হয় আইবিএস।
কী ভাবে এই রোগের হাত থেকে বাঁচা যাবে? প্রায়শই পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, লাগাতার হজমের সমস্যা, কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য এর পরেই ডায়রিয়া, বদহজম— এইসব সমস্যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। পেটের অন্যান্য কিছু অসুখেও একই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, মলপরীক্ষা, কোলনোস্কোপি, এন্ডোস্কোপির মতো কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা করানো হয়। তাতে বোঝা যায়, এই অসুখ আছে কিনা। তার পরই আইবিএস-এর চিকিৎসা শুরু হয়।
দুধ ও গম জাতীয় খাবার খেলে পেটব্যথা বাড়ে। এ ছাড়া এক এক জনের এক এক রকম খাবারে সমস্যা হতে পারে। কারও পোস্ত খেলে সমস্যা হয়, কারও আবার নারকেল, চিনি, মুসুর ডাল। খেয়াল রেখে সেই খাবার বন্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া ক্যাফিন ও কোলা জাতীয় পানীয় বাদ দিলে ভালো। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা জরুরি। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।