Health Tips: দইয়ে নুন না কি চিনি - কোনটা মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? অধিকাংশ মানুষেরই সঠিক উত্তরটা জানা নেই; শুনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
- Published by:Salmali Das
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Health Tips: অনেক সময় রকমারি পরোটার সঙ্গে বাটি ভর্তি করে দই পরিবেশন করা হয়। যা খাবারের স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আর গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতেও তো দইয়ের শরবত বা ঘোল এবং লস্যির জুড়ি মেলা ভার!
advertisement
advertisement
শুধু তা-ই নয়, তীব্র গরমে শরীর জুড়োতে ভারতের বিভিন্ন অংশে পান্তা ভাতেও টক দই মিশিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। আর রায়তা বানাতেও তো ব্যবহার করা হয় সেই দই। এছাড়াও মাংস কিংবা বিভিন্ন মাছ রান্নাতেও ব্যবহার করা হয় টক দই। তবে খাওয়ার পাতে যাঁরা দই খান, তাঁরা অনেক সময় দইয়ের মধ্যে লবণ কিংবা চিনি মিশিয়ে নেন। তবে কোনটা বেশি উপকারী? সেটাই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
আসলে কেউ কেউ সাদা টক দইয়ে লবণ মিশিয়ে খান, তো কেউ বা আবার চিনি মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, অনেকে আবার লবণ, জিরে গুঁড়ো, শসা আর পিঁয়াজকুচি সহযোগে দইয়ের মুখরোচক স্বাদ উপভোগ করতে ভালবাসেন। তবে মধ্যপ্রদেশের বাঘেলখণ্ডে দইয়ের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। কারণ সারা বছর লবণ সহযোগে তাঁরা রোজকার পাতে রাখেন দই। কিন্তু এই অভ্যাস কি স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ ভাল? সেই প্রশ্নের জবাব জেনে নেওয়া যাক ডায়েটিশিয়ান মমতা পাণ্ডের কাছ থেকে।
advertisement
দই খাওয়ার সঠিক উপায় কী, এই প্রশ্নের জবাবে ডায়েটিশিয়ান মমতা পাণ্ডে Local 18-কে বলেন যে, চিনি বা মিষ্টির সঙ্গে দই খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী। তবে গুড় সহযোগে দই পাতে রাখলে সেটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে অন্য দিকে লবণ মিশিয়ে দই খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল। কিন্তু যদি লবণ সহযোগে দই খেতেই হয়, তাহলে খাওয়ার সময় স্বাদ অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে ব্ল্যাক সল্ট অথবা রক সল্ট দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
advertisement
আসলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, দইয়ের মধ্যে লবণ মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিলে এতে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার কোষের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে, যার কারণে দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেকাংশে কমে যায়। আবার আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি, জয়েন্টে ব্যথা, কিডনি এবং ঠান্ডা লাগার সমস্যা যাঁদের রয়েছে, সেই সব রোগীর দই থেকে দূরে থাকাই ভাল! এছাড়া বর্ষার মরশুমে হজমশক্তি দুর্বল থাকে। তাই এই সময় দই খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উচিত।
advertisement
আর যদি বা খেতেই হয়, তাহলে খুবই সীমিত পরিমাণে সেবন করতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখা আবশ্যক যে, রাতের বেলায় দই পাতে রাখলে গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং পেট ভারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এ-ও ঠিক যে, সঠিক সময়ে সঠিক উপায়ে এবং সঠিক পরিমাণে দই সেবন করলে তা শরীরের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )