Health Tips: বার বার যোনিতে ফোড়ার ব্যথায় কষ্ট পান? 'বার্থোলিন সিস্ট' কি না উপসর্গ চিনুন, কীভাবে আরাম পাবেন জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Health Tips: গোপনাঙ্গে ফোড়ার কষ্ট মেয়েরা প্রত্যেকেই কম-বেশি অনুভব করেন। লাল, সাদা বা রংহীন এই ফোড়া খুবই ব্যথা-বেদনাদায়ক। কী করলে সমস্যার সমাধান হবে জানুন...
যোনিপথে ফোঁড়া দেখা দেয় যখন কোনও লোমকূপ বা তেল গ্রন্থি সংক্রামিত হয়, যার ফলে পুঁজে ভরা ফোলা, নরম পিণ্ড তৈরি হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে এগুলি ক্ষতিকারক বলে মনে হতে পারে, জটিলতা এড়াতে অন্তর্নিহিত কারণগুলি সমাধান করা অপরিহার্য। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
advertisement
advertisement
চিকিৎসক মহুয়া ভট্টাচার্যের মতে, অনেক সময় বিভিন্ন কারণে গ্রন্থির মুখটি বন্ধ হয়ে গেলে তরল ক্ষরণের প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিকভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে গ্রন্থিটি ফুলতে থাকে যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় 'বার্থোলিন সিস্ট'। এই বাধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে গ্রন্থির জমে থাকা তরল পদার্থটি ব্যাকটিরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত হয়। একে বলা হয় বার্থোলিন অ্যাবসেস।
advertisement
এই ফোড়ার উপসর্গগুলিও খুব কষ্টকর। জ্বর, যোনির প্রবেশদ্বারে ব্যথা, যৌনমিলনের সময় কষ্ট, বসতে বা হাঁটাচলা করতে গেলেও নিদারুণ ব্যথা অনুভব। প্রাথমিকভাবে বুঝবেন কীভাবে? নিম্নাঙ্গের বাঁদিক বা ডানদিকে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং ফোলা ভাব অনুভূত হয়। তবে প্রথমদিকে অবহেলা করলে যন্ত্রণা বাড়তে পারে। অনেক সময় এমনিতে ফোড়ার মতো ফেটেও যেতে পারে। তখন সাময়িকভাবে যন্ত্রণা কমে গেলেও রোগটি ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
advertisement
advertisement
advertisement
কখন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করবেন? যদিও ছোটখাটো সমস্যাগুলি ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে, তবে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ যদি: ফোড়া বড় হতে থাকে অথবা ক্রমশ যন্ত্রণাদায়ক হতে থাকে। বারবার ফোড়া দেখা দেয়। আপনি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ লক্ষ্য করবেন, যেমন জ্বর অথবা ফোড়ার কাছে লাল দাগ।
advertisement
ঘরোয়া উপায়ে এই ফোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন। উষ্ণ জল দিয়ে ১০ মিনিট বাদে বাদে দিনে চারবার ফোড়ার উপর সেঁক দিন। অ্যান্টিবায়োটিক সাবান দিয়ে ফোড়ার চারপাশে পরিষ্কার করুন। রোজ স্নান করুন। ফোড়াটা ঢেকে রাখুন পারলে। ব্যথা কমায় এমন মলম ব্যবহার করুন। ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য তোয়ালে গরম জলে কেচে পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।