Health Tips: এক চুমুকেই ভ্যানিশ...! এই ম্যাজিক রসই করবে কামাল, শরীর থেকে উপড়ে ফেলবে জটিল রোগ, ৭ দিন খেলেই বয়সের চাকা ঘুরবে উল্টোদিকে!

ইতিমধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। আর শীত পড়লেই স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার দায়িত্বটাও যেন কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। আসলে ঋতু পরিবর্তন হলে কিংবা ঠান্ডা পড়লেই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা যেন শরীরে জাঁকিয়ে বসে। আর ঘন-ঘন শরীর খারাপ যাতে না হয়, তার জন্য এই সময় থেকেই গাজরের জ্যুস বা গাজরের পান করা শুরু করে দেওয়া উচিত।

আসলে শীতকাল আসতে না আসতেই বাজারে চলে আসে বিট, গাজরের মতো পুষ্টিকর সবজি। এছাড়া এই সময়টায় বাজারে নানা ধরনের শীতকালীন শাকেরও দেখা পাওয়া যায়। তবে গাজরের মধ্যে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে। আর গাজরের এই পুষ্টিগুণের কথা হয়তো সকলেরই জানা।

লোকাল ১৮-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে অবস্থিত কায়কল্প হার্বাল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রাজকুমার (D.U.M.) বলেছেন যে, গাজরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এই সবজি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো উপকারী উপাদানেও সমৃদ্ধ । এই সমস্ত উপাদান শরীরকে এমন ফ্রি ব়্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

চোখের জন্য খুবই উপকারী গাজর: গাজরের মধ্যে থাকা এই পুষ্টিকর উপাদানগুলির কারণে আমাদের শরীর অনেক কঠিন রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে চান, তাহলে শীতকালে প্রতিদিন তাঁর গাজরের রস বা গাজরের জ্যুস পান করা উচিত। আসলে ভিটামিন এ চোখ সুস্থ রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ডা. রাজকুমার আরও বলেন যে, এখানেই শেষ নয়, গাজরের মধ্যে গাজরে প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতকালে মরশুমি রোগের হাত থেকে বাঁচতে গাজরের রস বা গাজরের জ্যুস একটি কার্যকরী সমাধান। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং আমরা রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকি।

এছাড়া গাজরের রস পান করলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই শীতকালে প্রতিদিন এক গ্লাস করে গাজরের জ্যুস পান করা উচিত। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে মরশুমি রোগের হাত থেকেও নিরাপদে থাকা সম্ভব।