Constipation: খালি পেটে শুধুই একটি 'পাতা'! কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ! মোমের মতো গলে মেদ...প্রেশার-সুগারেও দুর্দান্ত

*কারি পাতা আমাদের রান্নাঘরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। মূলত দক্ষিণ ভারতীয় রন্ধনপ্রণালীতে এই পাতার অধিক ব্যবহার থাকলেও, পাতাটি নিজের গন্ধ বা অ্যারোমার জন্য তা সব রাজ্যের মানুষের হেঁসেলেই জায়গা করে নিয়েছে। কারি পাতা শুধু খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে না, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সংগৃহীত ছবি।

*কারি পাতায় রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান, যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। সংগৃহীত ছবি।

*উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের 'রিজুভেনেশন হার্বাল ক্লিনিক'-এর ডঃ রাজকুমার (ডিইউএম) লোকাল ১৮-কে জানান, কারি পাতা একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। প্রতিদিনের ডায়েটে এটি অন্তর্ভুক্ত করার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কারি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম Murraya Koenigii। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। এটি শরীরে পুষ্টি জোগায়। সংগৃহীত ছবি।

*দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই জরুরি। এটি রাতকানা এবং চোখের অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। এটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হয় এবং চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সংগৃহীত ছবি।

*ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ কারি পাতা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। এটিতে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ভারসাম্যহীন থাকে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*হজমশক্তি শক্তিশালী করেঃ কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে এটি চিবিয়ে খেলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয় এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। সংগৃহীত ছবি।

*চুলের জন্য উপকারীঃ কারি পাতায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও প্রোটিন, যা চুলকে মজবুত করে। এটি মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেলে চুল লম্বা, ঘন ও মজবুত হয়। সংগৃহীত ছবি।

*হার্টের জন্য বিশেষ উপকারিঃ কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা হার্ট সুস্থ রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। সংগৃহীত ছবি।

*সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এগুলি জলের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে। কারি পাতার রস পান করাও উপকারী। এটি নিয়মিত খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন, উপকার পাবেন কয়েকদিনেই। সংগৃহীত ছবি।